কালিম্পং, 10 জানুয়ারি: শীতের ছুটি মানেই একটু পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে নির্জনে সময় কাটানো। আর সেই সময়টা যদি কাটানো যায় পাহাড়ে, তাহলে তো কথাই নেই। আর পাহাড়ের অফবিট ডেস্টিনেশন এখন পর্যটকদের সব থেকে ফেভারিট। এই সময় সমতল থেকে পাহাড়ে জাঁকিয়ে শীত পড়ে। ভাগ্য ভালো থাকলে তুষারপাতও পেতে পারেন পর্যটকরা। তবে অফবিট লোকেশনে নিরিবিলি পাহাড়ি গ্রামবাংলা হলে কেমন হয়? এমনই এক অপরূপ জায়গা হল কালিম্পংয়ের ডুকা ভ্যালি।
পাহাড়ের পর্যটনে এখনও সেভাবে নাম উঠে না-আসলেও আগামীতে পর্যটকের অন্যতম পছন্দের জায়গা হতে চলেছে এই ডুকা ভ্যালি। প্রকৃতির কোলে গড়ে উঠেছে এই ডুকা ভ্যালি। স্থানীয় একটি জলপ্রপাত ডুকা ফলসের নামে জায়গাটির নামকরণ করা হয়েছে। এই গ্রামে রয়েছে লেপচা জাতির ঐতিহাসিক নানা নিদর্শন। চারদিক থেকে নৈসর্গিক দৃশ্য যেন ঘিরে ধরেছে উপত্যকাটিকে। সবুজ পাহাড়ে ঘেরা গ্রাম সঙ্গে মেঘের হাতছানি। হাতের কাছেই এসব উপভোগ করতে পারবেন পর্যটকরা।
ওই গ্রামে পাহাড়ের ঢালে চোখে পড়বে ঝুম চাষের অপূর্ব দৃশ্য। পাহাড়ি পরিবেশে শোনা যাবে ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক। দূর থেকে ভেসে আসবে চার্চের প্রার্থনার সুর। দু'দিন অনায়াসে কাটানো যাবে ডুকা ভ্যালিতে। সেই সঙ্গে হাতের কাছেই রয়েছে লাভা, রিশপ, দাঁড়াগাঁও, কোলাখাম, রামধুরা, মারুনগাঁও, তেন্দ্রা বঙ, মিলন টপের মতো জায়গাগুলি।
কেমন খরচ হবে সেখানে যেতে? ডুকা ভ্যালিতে প্রতিরাতে মাথাপিছু খরচ খুব বেশি হলে 1500 টাকা। কটেজে থাকলে খরচ একটু বেশি। সঙ্গে ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ, ডিনার এবং সন্ধের স্ন্যাকস এই প্যাকেজের মধ্যেই থাকছে। সঙ্গে বারবিকিউ তো অবশ্যই।
কীভাবে যাবেন ডুকা ভ্যালি? শিলিগুড়ি থেকে ডুকা ভ্যালির দূরত্ব প্রায় 50 কিলোমিটার। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন কিংবা বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে চারচাকা গাড়ি করেই পৌঁছে যাওয়া যায় সেখানে। অথবা ব্রেক জার্নি করেও যাওয়া যায় ৷ শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পং, এরপর কালিম্পং থেকে আবার গাড়ি ভাড়া করে ত্রিকোণ পার্ক, আলগাড়া হয়ে সেখানে পৌঁছতে হয়। গাড়ি করে যেতে মাথাপিছু খরচ হবে 800 টাকার মতো।
আরও পড়ুন: