কালিম্পং, 18 ডিসেম্বর: শীতের মরশুম । কুয়াশায় ঘেরা পাহাড় । সবুজ ঘন বন । আর হাতে দার্জিলিং চায়ের পেয়ালা কিংবা রাতে ঝি ঝি পোকার ডাকের মাঝে হাতের সামনে কাঠের আগুনে বারবিকিউ । এ যেন এক আলাদাই আমেজ । আর এই শীতে এই সবকিছুর আমেজ নিতে হলে অবশ্যই যেতে হবে কালিম্পংয়ের বঙ বস্তি গোকুলে ।
পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গোকুলে একেবারেই নতুন। সচরাচর সেখানে এতদিন সেভাবে পর্যটকদের দেখা মিলত না । তবে এখন পাহাড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হওয়ায় পাহাড়ের মোটামুটি সব জায়গায় যাতায়াত সম্ভব হয়েছে । আর যাতায়াত সহজ হতেই এখন পর্যটকদের আগমন শুরু হয়েছে ওই পাহাড়ি গ্রামে ।
গোকুলে যেতে হলে নিউ জলপাইগুড়ি রেল স্টেশন কিংবা বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে গাড়ি করে চলে যেতে হবে সোজা কালিম্পং । সেখানে মাথাপিছু খরচ হবে 700 থেকে 800 টাকা । তারপর কালিম্পং মোটর স্ট্যান্ড থেকে ধরতে ছোট চারচাকা গাড়ি । ছোট চারচাকা গাড়িতে খুব বেশি হলে ভাড়া লাগবে 50 থেকে 60 টাকা । কালিম্পং মোটর স্ট্যান্ড থেকে গোকুলে যেতে সময় লাগবে খুব বেশি হলে 30 মিনিট । গোকুলে একটি সম্পূর্ণ অর্গ্যানিক গ্রাম । সেখানে রয়েছে একাধিক হোম-স্টে ।
অপরূপ পাহাড়ি গ্রামে রয়েছে নৈসর্গিক সৌন্দর্য। পাহাড়ের ঢালে রয়েছে ফসল । ওই গ্রামের বেশিরভাগ মানুষের জীবন ও জীবিকা হল কৃষিকাজ । সেজন্য খাবারদাবারও দারুণ স্বাদের । হোম-স্টেগুলিতে রয়েছে সুইমিং পুল, বারবিকিউয়ের ব্যবস্থা ।
এক হোম স্টে ব্যবসায়ী গুঞ্জন তামাং বলেন, "এখন পর্যটকদের হোম-স্টে খুব পছন্দের । অফবিট লোকেশন তারা খুব পছন্দ করেন । পাহাড়ি গ্রামে সম্পূর্ণ অর্গ্যানিক গ্রামে এখন পর্যটকরা আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন । এখন সেভাবে কোনও অসুবিধা হবে না ৷"
আরও পড়ুন: