কালিম্পং, 31 অক্টোবর: সিকিমের লোনাক হ্রদের বাঁধ ভাঙার হড়পা বানে ক্ষতিগ্রস্থ কালিম্পংয়ের ত্রিবেণী হাসপাতাল ও ত্রিবেণী ক্যাম্প সাইট ৷ তা পুনরজ্জীবিত করার উদ্যোগ নিল গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়্যাল এডমিনিস্ট্রেশন বা জিটিএ। সোমবার ও মঙ্গলবার ক্ষতিগ্রস্ত ত্রিবেণী এলাকা পরিদর্শন করেন জিটিএ'র চিফ এগজিকিউটিভ অনিত থাপা, এনএইচপিসি, স্বাস্থ্য বিভাগ ও পর্যটন আধিকারিকরা। পরিদর্শনের পর ক্ষতিগ্রস্ত ক্যাম্প সাইট ফের কীভাবে ঠিকঠাক করা যায় সেই বিষয়ে আলোচনা সেরেছেন অনিত থাপা।
তিনি বলেন, "সিকিমের হড়পা মানে ক্ষতিগ্রস্তদের আমরা সব রকম ক্ষতিপূরণ দেব। তবে এই বন্যার ফলে ত্রিবেণী কোভিড হাসপাতালটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেটিকে দ্রুত মেরামত ও সংস্কারের কাজ করা হচ্ছে। ক্ষতির পরিমাণ জানতে ইতিমধ্যে কালিম্পংয়ের বিধায়ক রুদেন লেপচার নেতৃত্বে এনএইচপিসি, পূর্ত ও বিআরও আধিকারিকদের সমন্বয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা চলতি সপ্তাহে রিপোর্ট দেবে।"
4 অক্টোবর লোনাক হ্রদের বাঁধ ভেঙে হড়পা বান আসে ৷ সেই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয় ত্রিবেণী হাসপাতাল ও তিস্তা-রঙ্গিত নদীর সংযোগস্থলে থাকা ত্রিবেণী ক্যাম্প সাইট। গোটা ক্যাম্প সাইট জলের তলায় তলিয়ে যায়। অন্যদিকে, তিস্তার জল ঢুকে ক্ষতিগ্রস্ত হয় হাসপাতাল। নষ্ট হতে চলেছে প্রায় আড়াই কোটি টাকার অত্যাধুনিক সামগ্রী। বন্যার পর হাসপাতালের সিংহভাগ এখনও নদীতে ভেসে আসা পলি, বালি ও পাথরের তলায় চাপা পরে রয়েছে।
সেসব সামগ্রী সরানোর কাজ করছে জিটিএ। হাসপাতালের যন্ত্রাংশ কালিম্পং জেলা হাসপাতাল বা অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার নির্দেশ দিয়েছেন অনিত থাপা। করোনার সময় ত্রিবেণী হাসপাতালকে, কোভিড হাসপাতালে রূপান্তরিত করেছিল জিটিএ। মোট 100 বেডের ওই হাসপাতালটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সমস্যায় পরেছে পাহাড়বাসী ৷ তবে দ্রুত হাসপাতালটিকে আগের রূপে ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন অনিত থাপা।
আরও পড়ুন: ফাঁদে পড়বেন না ! গৃহবধূরা সাইবার অপরাধীদের মূল টার্গেট, এভাবে সতর্ক থাকুন
অন্যদিকে, ত্রিবেণী ক্যাম্প সাইটটির মাধ্যমে প্রায় 300 পরিবারের সংসার চলতো। ক্যাম্পিং, রিভার র্যাফটিং-সহ অন্যান্য অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজমের মাধ্যমে এলাকার আর্থ সামাজিক উন্নয়ন হয়ে আসছিল। কিন্তু তা এখন জলের তলায়। ফলে সেখানে বন্ধ রয়েছে ক্যাম্পিং করা। জানা গিয়েছে, হড়পা বানের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কালিম্পংয়ের প্রায় 533টি বাড়ি। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে 856টি পরিবার। এই অবস্থায় যাদের যা যা ক্ষতি হয়েছে তার সম্পূর্ণ ক্ষতিপূরণ দেবে জিটিএ বলে জানিয়েছেন অনিত থাপা।