ETV Bharat / state

Death Certificate: 6 বছরের সমস্যা মিটল মাত্র 20 দিনে, শ্বশুরের ডেথ সার্টিফিকেট পেলেন পুত্রবধূ

Woman gets father-in-law death certificate: 6 বছর ধরে সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার পর অবশেষে ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের প্রচেষ্টায় 20 দিনে সেই সমস্যা মিটল ৷ শ্বশুরের ডেথ সার্টিফিকেট হাতে পেলেন পুত্রবধূ ৷

Woman gets father-in-law death certificate
শ্বশুরের ডেথ সার্টিফিকেট পেলেন পুত্রবধূ
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Oct 16, 2023, 8:14 PM IST

শ্বশুরের ডেথ সার্টিফিকেট পেলেন পুত্রবধূ

ঝাড়গ্রাম, 16 অক্টোবর: 6 বছরের সমস্যার সমাধান হল মাত্র 20 দিনে ! আদালতের হস্তক্ষেপে শ্বশুরের ডেথ সার্টিফিকেট গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস থেকে হাতে পেলেন বিধবা পুত্রবধূ সুরেখা মাহাত ।

ঝাড়গ্রাম ব্লকের অন্তর্গত জিতুশোল গ্রামে বাড়ি সুরেখার । তাঁর স্বামী বিশ্বজিৎ মাহাতর জিতুশোলে একটি খাবারের হোটেল ছিল । 2010 সালে মাওবাদীরা তাঁর স্বামীকে তুলে নিয়ে গিয়ে কলাবনির রাস্তায় খুন করে ফেলে দেয় । তিন কন্যাকে নিয়ে অথৈ জলে পড়েন সুরেখা । শ্বশুর ও দেওরের পরিবারের সঙ্গে থেকে কোনও রকমে সংসার চালাচ্ছিলেন । এমনকী সুরেখাকে শ্বশুরবাড়িতে নানা অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে বলে অভিযোগ । 2016 সালের 25 সেপ্টেম্বর তাঁর শ্বশুর উপেন্দ্রনাথ মাহাতর মৃত্যু হয় ৷ শ্বশুরের নামে ব্যাংকে গচ্ছিত টাকা ও জমি-জায়গা রয়েছে ।

অবশেষে 2018 সালে মাওবাদী হানায় স্বামীর মৃত্যুর জেরে পুলিশের চাকরি পান বিধবা স্ত্রী সুরেখা । তারপর তিন কন্যাকে সঙ্গে ঝাড়গ্রামের ভাড়া বাড়িতে ওঠেন তিনি । শ্বশুর মারা যাওয়ার পর তাঁর দেওর পরিবারের ওয়ারিশ সার্টিফিকেট থেকেও তাঁর স্বামীর নাম বাদ দিয়ে দিয়েছিলেন । পরে বিষয়টি জানতে পেরে সুরেখা শালবনি গ্রাম পঞ্চায়েতে আবেদন করতে তাঁর স্বামীর নাম যুক্ত করে কর্তৃপক্ষ ।

এ দিকে, শ্বশুরের নামে গচ্ছিত টাকা ও জমি-জায়গার ভাগ যাতে তিনি না-পেতে পারেন সে জন্য শ্বশুরের ডেথ সার্টিফিকেট তাঁর হাতে দেননি দেওর এবং ননদ । এ হেন সমস্যার কথা তিনি লিখিত ভাবে পঞ্চায়েত দফতর থেকে শুরু করে নানা জায়গায় জানিয়েও কোনও সুরাহা পাননি । অবশেষে গত 26 সেপ্টেম্বর ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের সচিব তথা বিচারক সুক্তি সরকারের কাছে সমস্যার কথা লিখিত ভাবে আবেদন করেন সুরেখা মাহাত । তাঁর আবেদনের ভিত্তিতে বিচারক একটি প্রি-লিটিগেশন মামলা রুজু করেন । তারপর শালবনি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান লীলাবতী সিং-কে এবং সুরেখা মাহাতকে নোটিশ পাঠিয়ে ডেকে পাঠানো হয় আদালতে । এরপর আইনি সমাধানের কথা বিচারক প্রধানকে জানান সুরেখা ।

আরও পড়ুন: দেবীপক্ষে বৈরিতা ভুলে রাজভবনে বোস-ঘোষ 'সৌজন্য সাক্ষাৎ'

সোমবার প্রধান লীলাবতী সিং ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের সচিব তথা বিচারক সুক্তি সরকারের উপস্থিতিতে সুরেখা মাহাতকে তাঁর শ্বশুরের ডেথ সার্টিফিকেটের ডুপ্লিকেট কপি তুলে দেওয়া হয় । সুরেখা মাহাত বলেন, "শ্বশুরের ডেথ সার্টিফিকেট দিচ্ছিলেন না দেওর । অবশেষে আদালতের বিচারকের হস্তক্ষেপে ওই ডেথ সার্টিফিকেট হাতে পেয়েছি ।"

ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের সচিব তথা বিচারক সুক্তি সরকার এ বিষয়ে বলেন, "উভয় পক্ষকে নোটিশ দিয়ে ডেকে পাঠানোর পর প্রধানকে আইনি সমস্যা এবং সমাধানের কথা জানানো হয় ৷ এ দিন প্রধান সুরেখা মাহাতর হাতে তাঁর শ্বশুরের ডেথ সার্টিফিকেটের ডুপ্লিকেট কপি তুলে দিয়েছেন । ছ'বছর ধরে সুরেখা মাহাত ঘুরছিলেন এই কাজে, তা মাত্র 20 দিনে সমাধান করা সম্ভব হল ।"

শ্বশুরের ডেথ সার্টিফিকেট পেলেন পুত্রবধূ

ঝাড়গ্রাম, 16 অক্টোবর: 6 বছরের সমস্যার সমাধান হল মাত্র 20 দিনে ! আদালতের হস্তক্ষেপে শ্বশুরের ডেথ সার্টিফিকেট গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস থেকে হাতে পেলেন বিধবা পুত্রবধূ সুরেখা মাহাত ।

ঝাড়গ্রাম ব্লকের অন্তর্গত জিতুশোল গ্রামে বাড়ি সুরেখার । তাঁর স্বামী বিশ্বজিৎ মাহাতর জিতুশোলে একটি খাবারের হোটেল ছিল । 2010 সালে মাওবাদীরা তাঁর স্বামীকে তুলে নিয়ে গিয়ে কলাবনির রাস্তায় খুন করে ফেলে দেয় । তিন কন্যাকে নিয়ে অথৈ জলে পড়েন সুরেখা । শ্বশুর ও দেওরের পরিবারের সঙ্গে থেকে কোনও রকমে সংসার চালাচ্ছিলেন । এমনকী সুরেখাকে শ্বশুরবাড়িতে নানা অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে বলে অভিযোগ । 2016 সালের 25 সেপ্টেম্বর তাঁর শ্বশুর উপেন্দ্রনাথ মাহাতর মৃত্যু হয় ৷ শ্বশুরের নামে ব্যাংকে গচ্ছিত টাকা ও জমি-জায়গা রয়েছে ।

অবশেষে 2018 সালে মাওবাদী হানায় স্বামীর মৃত্যুর জেরে পুলিশের চাকরি পান বিধবা স্ত্রী সুরেখা । তারপর তিন কন্যাকে সঙ্গে ঝাড়গ্রামের ভাড়া বাড়িতে ওঠেন তিনি । শ্বশুর মারা যাওয়ার পর তাঁর দেওর পরিবারের ওয়ারিশ সার্টিফিকেট থেকেও তাঁর স্বামীর নাম বাদ দিয়ে দিয়েছিলেন । পরে বিষয়টি জানতে পেরে সুরেখা শালবনি গ্রাম পঞ্চায়েতে আবেদন করতে তাঁর স্বামীর নাম যুক্ত করে কর্তৃপক্ষ ।

এ দিকে, শ্বশুরের নামে গচ্ছিত টাকা ও জমি-জায়গার ভাগ যাতে তিনি না-পেতে পারেন সে জন্য শ্বশুরের ডেথ সার্টিফিকেট তাঁর হাতে দেননি দেওর এবং ননদ । এ হেন সমস্যার কথা তিনি লিখিত ভাবে পঞ্চায়েত দফতর থেকে শুরু করে নানা জায়গায় জানিয়েও কোনও সুরাহা পাননি । অবশেষে গত 26 সেপ্টেম্বর ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের সচিব তথা বিচারক সুক্তি সরকারের কাছে সমস্যার কথা লিখিত ভাবে আবেদন করেন সুরেখা মাহাত । তাঁর আবেদনের ভিত্তিতে বিচারক একটি প্রি-লিটিগেশন মামলা রুজু করেন । তারপর শালবনি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান লীলাবতী সিং-কে এবং সুরেখা মাহাতকে নোটিশ পাঠিয়ে ডেকে পাঠানো হয় আদালতে । এরপর আইনি সমাধানের কথা বিচারক প্রধানকে জানান সুরেখা ।

আরও পড়ুন: দেবীপক্ষে বৈরিতা ভুলে রাজভবনে বোস-ঘোষ 'সৌজন্য সাক্ষাৎ'

সোমবার প্রধান লীলাবতী সিং ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের সচিব তথা বিচারক সুক্তি সরকারের উপস্থিতিতে সুরেখা মাহাতকে তাঁর শ্বশুরের ডেথ সার্টিফিকেটের ডুপ্লিকেট কপি তুলে দেওয়া হয় । সুরেখা মাহাত বলেন, "শ্বশুরের ডেথ সার্টিফিকেট দিচ্ছিলেন না দেওর । অবশেষে আদালতের বিচারকের হস্তক্ষেপে ওই ডেথ সার্টিফিকেট হাতে পেয়েছি ।"

ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের সচিব তথা বিচারক সুক্তি সরকার এ বিষয়ে বলেন, "উভয় পক্ষকে নোটিশ দিয়ে ডেকে পাঠানোর পর প্রধানকে আইনি সমস্যা এবং সমাধানের কথা জানানো হয় ৷ এ দিন প্রধান সুরেখা মাহাতর হাতে তাঁর শ্বশুরের ডেথ সার্টিফিকেটের ডুপ্লিকেট কপি তুলে দিয়েছেন । ছ'বছর ধরে সুরেখা মাহাত ঘুরছিলেন এই কাজে, তা মাত্র 20 দিনে সমাধান করা সম্ভব হল ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.