ঝাড়গ্রাম, 9 মে: বিশ্বকবি সবুজ ভালোবাসতেন। প্রকৃতির প্রতিটি অঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন কবিগুরু। জন্মজয়ন্তীতে শ্রদ্ধা জানাতে গাছের পাতায় কবিগুরুর আবক্ষ ছবি আঁকলেন ঝাড়গ্রামের চিত্রশিল্পী গোপাল দাস। বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে রবিঠাকুরের 162তম জন্মজয়ন্তী। মঙ্গলবার সকাল থেকে ঝাড়গ্রাম শহরে বিভিন্ন সংস্থার পাশাপাশি প্রশাসনের উদ্যোগে পালিত হয়েছে কবিগুরুর জন্মজয়ন্তী ৷ রবীন্দ্র পার্কে বিশ্বকবির মূর্তিতে মাল্যদান করেন রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। এছাড়াও ঝাড়গ্রামের জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের উদ্যোগে পালিত হয়েছে কবিগুরুর জন্মজয়ন্তী ।
সবুজের অপর নাম অরণ্যসুন্দরী ঝাড়গ্রাম। আর এই অরণ্যসুন্দরী ঝাড়গ্রামের বুক থেকে দিনের পর দিন হারিয়ে যাচ্ছে সবুজ। বেয়াব্রু হয়ে পড়ছে অরণ্যসুন্দরী। ঝাড়গ্রামে সবুজ রক্ষার বার্তা দিতে বিশ্বকবির জন্মদিনে গাছের পাতায় বিশ্বকবির ছবি এঁকে সবুজ রক্ষার বার্তা দিলেন ঝাড়গ্রাম শহরের 6 নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বছর পঁয়ত্রিশের গোপাল দাস। গোপাল পেশায় একজন চিত্রশিল্পী। 20 বছর ধরে ছবি আঁকার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। নিজের একটি আঁকার স্কুল রয়েছে।
তিনি ছোট থেকেই আঁকতে খুব ভালোবাসতেন। তাই তিনি এই চিত্রকলাকেই পেশা বানিয়ে নেন। গোপালের পরিবারে দাদা, বউদি, মা, বোন ও ভাই সকলেই রয়েছেন। বাবা কয়েক বছর আগে গত হয়েছেন। এদিন গোপাল বলেন, "কবিগুরু সবুজ ভালোবাসতেন তাই তিনি বীরভূমের শান্তিনিকেতনে সময় কাটিয়েছেন। আমাদের ঝাড়গ্রাম অরণ্যসুন্দরী নামে পরিচিত। বর্তমান দিনে অরণ্যসুন্দরীর বুক থেকে হারিয়ে যাচ্ছে সবুজ। প্রকৃতির প্রতিটি অঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেম কবিগুরু। তাই কবিগুরুকে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে এবং গাছের গুরুত্ব মানুষের কাছে তুলে ধরতে গাছের পাতায় আজ আমি কবিগুরুর ছবি এঁকেছি।"
আরও পড়ুন: রূপোলি পর্দার রহস্যে মুগ্ধ হয়েছিলেন কবিগুরুও, ফিরে দেখা তাঁর লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশন কাহিনি
তিনি আরও বলেন, "অরণ্যসুন্দরীর গাছগুলি রক্ষা না-করলে একদিন গাছশূন্য হয়ে পড়বে ঝাড়গ্রাম। আমি যখন ছোট ছিলাম তখন দেখতাম আমাদের ঝাড়গ্রামে অনেক গাছ ছিল। এখন গাছের সংখ্যা প্রচুর কমে গিয়েছে।" চিত্রশিল্পী এর আগে, প্যারাসিটেমল ট্যাবলেট এবং কুমড়োর বীজের উপর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি এঁকেছেন ৷