ঝাড়গ্রাম, 26 অক্টোবর: ছেলেবেলা থেকেই চোখের সমস্যা ৷ দৃষ্টিশক্তি যেটুকু ছিল, 2005 এক পথ দুর্ঘটনায় পুরোপুরি তা হারিয়ে ফেলেন জঙ্গলমহলের শুভেন্দু মাহাতো ৷ কিন্তু ভাগ্যের পরিহাসকে নিজের দুর্বলতা বা অক্ষমতা ভেবে পিছিয়ে আসার পাত্র নন তিনি ৷ আর সে কারণেই গ্র্যাজুয়েশন সেরে বিএড পঠনরত শুভেন্দু ৷ কিন্তু চমকের শেষ এখানেই নয় ৷ আগামী 6 ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে চলা অন্ধদের টি-20 বিশ্বকাপে ভারতীয় দলে বাংলার একমাত্র প্রতিনিধি দরিদ্র পরিবারের এই ছেলে (Subhendu Mahato from Jhargram is ready to part at Blind T20 WC) ৷ তাই শুভেন্দুর ছটায় এখন জঙ্গলমহলে আশার আলো ৷
তাঁকে ঘিরে জঙ্গলমহলবাসীর যে প্রত্যাশার পারদ চড়েছে, তাতে সিলমোহর দিতে বদ্ধপরিকর শুভেন্দুও ৷ দৃষ্টিহীনতা তাঁর জীবনে কখনও আত্মবিশ্বাসের ঘাটতির কারণ হয়নি ৷ তাই বিরাট-রোহিতদের মতোই জঙ্গলমহলের শুভেন্দু এখন টি-20 বিশ্বকাপ ট্রফিজয়ের নেশায় বুঁদ ৷ দেখতে পান না, তাই কেবল কান খোলা রেখে শব্দ অনুধাবন করেই ব্যাটে চার-ছয়ের বোল তোলেন তিনি ৷
2014 মাধ্যমিক পাশের রাজ্যব্যাপী অন্ধ স্কুলের ছাত্রদের নিয়ে একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়। সেই ক্রিকেট টুর্নামেন্টে ভালো খেলে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন ফর ব্লাইন্ড অফ বেঙ্গল-এর নজরে আসে শুভেন্দু, তারপর থেকেই বাংলা দলের সদস্য শুভেন্দু । বাংলার হয়ে তিনি অসংখ্য খেলা খেলেছে । সেখান থেকেই জাতীয় দলের দরবার ৷
আরও পড়ুন: Dutch Skipper on Kohli: 'কোহলি যেন পাক ম্যাচের পুনরাবৃত্তি না করেন', আতঙ্কে ডাচ অধিনায়ক
6 ডিসেম্বর নেপালের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপে ভারতের প্রথম ম্য়াচ ফরিদাবাদে ৷ শুভেন্দুর পরিবারের সঙ্গে সমগ্র বাংলা এখন সাফল্যপ্রার্থী শুভেন্দুর জন্য ৷ শুভেন্দুর মা দিপালী মাহাতো বলেন,"অভাবের মধ্যে শুভেন্দুকে কিছুই দিতে পারেনি। ভালো ব্যাট-বল কিনে দিতে পারিনি। কিন্তু আজ আমার ছেলে দেশের হয়ে খেলছে, ভীষণ গর্ব হচ্ছে। "