ঝাড়গ্রাম, 26 জানুয়ারি : পদ্মশ্রী পাচ্ছেন সাঁওতালি সাহিত্য জগতের নক্ষত্র খেরওয়াল সরেন (Santali Literary Kherwal Soren Gets Padmasree Award) ৷ সাধারণতন্ত্র দিবসে কেন্দ্রের তরফে তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়েছে ৷ খেরওয়াল সরেনের প্রকৃত নাম কালিপদ সরেন ৷ তিনি ঝাড়গ্রাম শহরের রঘুনাথপুরের বাসিন্দা ৷ কিন্তু. সাঁওতালি সাহিত্য জগৎ তাঁকে খেরওয়াল সরেন নামে চেনে ৷ পদ্মশ্রী সম্মান প্রাপক খেরওয়াল সরেন তাঁর সমাজকে নেশা মুক্ত করার পণ নিয়েছেন ৷ তাঁর মতে, সাঁওতাল সমাজ যদি হাঁড়িয়া এবং মদকে ত্যাগ না-করে, তাহলে এই জনজাতি ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়ে যাবে ৷
1957 সালে অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার ঝাড়গ্রাম মহকুমার রঘুনাথপুরে জন্ম খেরওয়াল সরেনের ৷ জীবন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বড় হয়ে ওঠেন তিনি ৷ নিজের চেষ্টাতেই পঠন-পাঠন চালিয়ে গিয়েছেন ৷ 1977 সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন ৷ তার পর সেবা ভারতী মহাবিদ্যালয় থেকে 1981 সালে স্নাতক হন ৷ 1984 সালে কলকাতার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্র বিজ্ঞানে স্নাতকত্তর পাশ করেন ৷
আরও পড়ুন : Buddhadeb rejects Padma award : পদ্ম-প্রত্যাখ্যান বুদ্ধের, বিবৃতিতে জানালেন নিজেই
স্নাতকত্তর পাশ করার পর প্রশিক্ষণ নিয়ে কলকাতায় একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে কর্মজীবন শুরু করেন খেরওয়াল সরেন ৷ ব্যাংকের চাকরির মাঝেই তিনি তাঁর সাহিত্যচর্চা চালিয়ে যান ৷ 1984 সালে সাঁওতালি ভাষায় ‘রিমিল’ নামে একটি পত্রিকা প্রকাশিত করেন ৷ এই ভাবেই সাঁওতালি সাহিত্যে তাঁর যাত্রাপথ শুরু হয় ৷ সাঁওতালি ভাষায় নাটক, সাহিত্য, কবিতা রচনা করছেন খেরওয়াল সরেন ৷ ধীরে ধীরে মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি ৷
আরও পড়ুন : Sandhya Mukherjee rejects Padmashree : পদ্মশ্রী ফেরালেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়
1992 সালে খেরওয়াল সরেন প্রথম পুরস্কার পান ৷ অল ইন্ডিয়া সাঁওতালি রাইটার অ্যাসোসিয়েশন তাঁকে পুরস্কৃত করে ৷ 2004 সালে পণ্ডিত রঘুনাথ মুর্মু পুরস্কারে সম্মানিত হন ৷ 2005 সালে সাঁওতালি অ্যাকাডেমি সদস্য পদ পান খেরওয়াল সরেন ৷ 2007 সালে তিনি সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কার পান ৷ এবার তিনি পদ্মশ্রী পুরস্কার পাচ্ছেন ৷ ঝাড়গ্রাম জেলায় খেরওয়াল সরেন প্রথম পদ্মশ্রী পুরস্কার প্রাপক ৷