ঝাড়গ্রাম, 21 ডিসেম্বর: ঝাড়গ্রামে রয়েছে বেড়ানোর এক নতুন ঠিকানা । শাল গাছে ঘেরা জঙ্গলের মাঝে দাঁড়িয়ে রয়েছে সাদা পাথরের বড় বড় চাই । যার আশেপাশের অপরূপ দৃশ্য এবং মনোরম পরিবেশ মোহিত করবে । চারিদিকে সবুজে সবুজ ৷ বিরাজ করছে এক অদ্ভুত শান্তি । জায়গাটির নাম ডুংরি (Dungri) ৷ খুব পরিচিত বা পর্যটক কেন্দ্র হিসাবে স্বীকৃতি পায়নি এখনও ৷ তবে প্রতিবছর শীতের মরশুমে এখানে সমাগম ঘটে বহু পর্যটকের ৷ তবে শুধু এ সময় নয়, প্রায় সারা বছরই পর্যটকের আনাগোনা রয়েছে জঙ্গলমহলের ঝাড়গ্রাম জেলার এই অরণ্যসুন্দরীতে (New Tourist Spot ) ।
ঝাড়গ্রাম জেলার জামবনি ব্লকের রানিপাল গ্রামে রয়েছে এই পর্যটনস্থল ডুংরি । ঝাড়গ্রাম শহর থেকে মাত্র 19 কিলোমিটারের মধ্যেই ডুংরিতে বেড়াতে পারবেন পর্যটকেরা । ঝাড়গ্রাম শহর থেকে জামবনি রাস্তা ধরে চিল্কিগড় কনক দুর্গা মন্দির যাওয়ার পথে বাজার থেকে দক্ষিণ দিকে বাহিরগ্রামের রাস্তা ধরলেই 6 কিলোমিটারের মাথায় রানিপাল গ্রাম । রানিপাল গ্রামের পিচ রাস্তা থেকে শাল জঙ্গলের মধ্যে দুই মিনিটের হাঁটা পথ ৷ তা পেরোলেই পর্যটকেরা পৌঁছে যাবে ডুংরি ।
পাহাড় জঙ্গলে ঘেরা বেলপাহাড়ি, কখনও আবার নয়াগ্রামের তপবন, গোপীবল্লভপুরের ঝিল্লির পাখিরালয়, ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ি বেড়ানোর পাশাপাশি চিল্কিগড় কনক দুর্গা মন্দির ও কর্নক অরণ্যের টানে প্রতিবছর বহু পর্যটক বেড়াতে আসে । এবার থেকে চিল্কিগড় বেড়ানোর পাশাপাশি পর্যটকেরা বাড়তি পাওনা হিসেবে পাবেন ডুংরি । স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, প্রশাসনের উদ্যোগে ডুংরি'কে পর্যটন কেন্দ্র (Tourist Spot) হিসেবে গড়ে তুললে এলাকার আর্থিক অবস্থা সচ্ছল হবে ।
স্থানীয় বাসিন্দা নবকুমার মাহাতো বলেন, "শাল জঙ্গলে ঘেরা সাদা পাথরের এই চাই দেখার জন্য স্থানীয় মানুষজন ভিড় করে । যারা ডুংরি সম্পর্কে জানে তারাই এখানে বেড়াতে আসে । প্রশাসনের উদ্যোগে ডুংরিকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করলে চিল্কিগড় বেড়াতে আসা পর্যটকেরা ডুংরি বেড়াতে পারবেন । জঙ্গলমহলে বেড়াতে আসা পর্যটকের জন্য এটি একটি বাড়তি পাওনা হবে ।"
আরও পড়ুন: কাঁপছে উত্তর ভারত, বঙ্গে ঊর্ধ্বমুখী পারদ
রানিপাল গ্রামের তাপস নায়েক বলেন, "চিল্কিগড়ের মতো করে ডুংরিটিকে মানুষের কাছে তুলে ধরলে বহু পর্যটক এখানে বেড়াতে আসবে । যার ফলে আমরা দোকান করে ব্যবসা করতে পারব ৷ আমাদের কর্মসংস্থান তৈরি হবে এখানে ।" অপর এক গ্রামবাসী মির্জা মুর্মু বলেন, "যারা জানে তারা এখানে বেড়াতে আসে ৷ সকলেই জানে না এই জায়গাটা সম্পর্কে । প্রশাসনের উদ্যোগে এটিকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুললে আমাদের রোজগার হবে ।"