ETV Bharat / state

Jhargram Incident: ক্যানেলে স্নান করা নিয়ে নাবালক ছেলেকে বকুনি, আত্মঘাতী সৎ মা

ক্যানেলে স্নান করা নিয়ে মা-ছেলের অশান্তি হয় ৷ এরপর বিষ খেয়ে আত্মঘাতী সৎ মা ৷ বেলপাহাড়ী গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় ওই মহিলার ৷ পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া ৷

Jhargram Incident
ছেলেকে বকুনি দিয়ে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী মা
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Nov 6, 2023, 12:20 PM IST

ঝাড়গ্রাম, 6 নভেম্বর: 8 বছরের ছেলের সঙ্গে রাগারাগি করে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী সৎ মা ৷ মৃত মহিলার নাম সুচিত্রা কর্মকার (26) ৷ বাঁকুড়ার বারিকুল এলাকার ঘটনা ৷ পরিবার সূত্রে খবর, ছেলেকে ক্যানেলে স্নান করতে যেতে বারণ করেছিলেন মা ৷ সেই কথা অবাধ্য করেই ছেলে ক্যানেলে স্নান করতে গিয়েছিল ৷ এর আগেও একাধিকবার মায়ের বারণ অমান্য করে ছেলে। শনিবারও একই ঘটনা ঘটে। ছেলে কথার অবাধ্য হয়ে ক্যানেলে স্নান করে। বাড়ি ফেরার পর এই নিয়ে দু'জনের মধ্যে প্রবল অশান্তি হয়। ছেলেকে ভয় দেখাতে মা বলেন, তিনি বিষ খাবেন। ঘরে থাকা ইঁদুর মারার বিষ খেয়েও ফেলেন ৷ তাতেই মৃত্যু হয় সুচিত্রা কর্মকারের ৷ পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ওই মহিলা আত্মহত্যা করেছেন।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় 3 বছর আগে জিতেন কর্মকারের সঙ্গে বেলপাহাড়ি থানার বড়ডিহা এলাকার বাসিন্দা সুচিত্রার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল । তাঁর প্রথম স্ত্রী’র মৃত্যুর পর সুচিত্রাকে বিয়ে করেন জিতেন ৷ জিতেনের প্রথম পক্ষের স্ত্রীর দুই মেয়ে ও এক ছেলে সন্তান রয়েছে । দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে গেলেও, বছর আটের ছেলেটি তাঁদের সঙ্গেই থাকত ৷ শনিবার দুপুরে ওই নাবালক স্থানীয় একটি ক্যানেলে স্নান করতে যায় । সেটা একেবারই অপছন্দ করতেন সুচিত্রা । তাই ফিরে আসার পর ছেলেকে বকাবকি শুরু করেন।

এরপর ওই নাবালক সৎ মায়ের সঙ্গে তর্ক জুড়ে দেয় । ছেলেকে শাসিয়ে বাড়িতে থাকা ইঁদুর মারার বিষ খেয়ে নেন সুচিত্রা । সেখানেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন । পরিবারের সদস্যরা উদ্ধার করে তাঁকে বেলপাহাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে ভরতি করেন । চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছে। রবিবার ঝাড়গ্রাম পুলিশ দেহটি ময়ানাতদন্তে পাঠায় ৷

আরও পড়ুন: স্ত্রী করবা চৌথের উপোস করেননি, অভিমানে আত্মঘাতী কনস্টেবল

ঘটনাপ্রসঙ্গেই মৃতার স্বামী জিতেন কর্মকার বলেন, "ছেলেটি প্রথম পক্ষের সন্তান হলেও, আমার দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল। সুচিত্রা ছেলেকে প্রায়ই ক্যানেলে স্নান করতে যেতে বারণ করত ৷ শনিবারও বারণ করেছিল ৷ তা নিয়ে দু'জনের মধ্যে তর্কাতর্কি হয় । ছেলেকে শাসিয়ে ঘরে থাকা ইঁদুর মারার বিষ খেয়ে নেয়।"

ঝাড়গ্রাম, 6 নভেম্বর: 8 বছরের ছেলের সঙ্গে রাগারাগি করে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী সৎ মা ৷ মৃত মহিলার নাম সুচিত্রা কর্মকার (26) ৷ বাঁকুড়ার বারিকুল এলাকার ঘটনা ৷ পরিবার সূত্রে খবর, ছেলেকে ক্যানেলে স্নান করতে যেতে বারণ করেছিলেন মা ৷ সেই কথা অবাধ্য করেই ছেলে ক্যানেলে স্নান করতে গিয়েছিল ৷ এর আগেও একাধিকবার মায়ের বারণ অমান্য করে ছেলে। শনিবারও একই ঘটনা ঘটে। ছেলে কথার অবাধ্য হয়ে ক্যানেলে স্নান করে। বাড়ি ফেরার পর এই নিয়ে দু'জনের মধ্যে প্রবল অশান্তি হয়। ছেলেকে ভয় দেখাতে মা বলেন, তিনি বিষ খাবেন। ঘরে থাকা ইঁদুর মারার বিষ খেয়েও ফেলেন ৷ তাতেই মৃত্যু হয় সুচিত্রা কর্মকারের ৷ পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ওই মহিলা আত্মহত্যা করেছেন।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় 3 বছর আগে জিতেন কর্মকারের সঙ্গে বেলপাহাড়ি থানার বড়ডিহা এলাকার বাসিন্দা সুচিত্রার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল । তাঁর প্রথম স্ত্রী’র মৃত্যুর পর সুচিত্রাকে বিয়ে করেন জিতেন ৷ জিতেনের প্রথম পক্ষের স্ত্রীর দুই মেয়ে ও এক ছেলে সন্তান রয়েছে । দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে গেলেও, বছর আটের ছেলেটি তাঁদের সঙ্গেই থাকত ৷ শনিবার দুপুরে ওই নাবালক স্থানীয় একটি ক্যানেলে স্নান করতে যায় । সেটা একেবারই অপছন্দ করতেন সুচিত্রা । তাই ফিরে আসার পর ছেলেকে বকাবকি শুরু করেন।

এরপর ওই নাবালক সৎ মায়ের সঙ্গে তর্ক জুড়ে দেয় । ছেলেকে শাসিয়ে বাড়িতে থাকা ইঁদুর মারার বিষ খেয়ে নেন সুচিত্রা । সেখানেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন । পরিবারের সদস্যরা উদ্ধার করে তাঁকে বেলপাহাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে ভরতি করেন । চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছে। রবিবার ঝাড়গ্রাম পুলিশ দেহটি ময়ানাতদন্তে পাঠায় ৷

আরও পড়ুন: স্ত্রী করবা চৌথের উপোস করেননি, অভিমানে আত্মঘাতী কনস্টেবল

ঘটনাপ্রসঙ্গেই মৃতার স্বামী জিতেন কর্মকার বলেন, "ছেলেটি প্রথম পক্ষের সন্তান হলেও, আমার দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল। সুচিত্রা ছেলেকে প্রায়ই ক্যানেলে স্নান করতে যেতে বারণ করত ৷ শনিবারও বারণ করেছিল ৷ তা নিয়ে দু'জনের মধ্যে তর্কাতর্কি হয় । ছেলেকে শাসিয়ে ঘরে থাকা ইঁদুর মারার বিষ খেয়ে নেয়।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.