ঝাড়গ্রাম, 31 জুলাই: তরুণীকে ধর্ষণের দায়ে সাত বছর সশ্রম কারাদণ্ড হল প্রতিবেশীর । সোমবার ঝাড়গ্রামের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক জীমূতবাহন বিশ্বাস এই সাজা শোনান । সাজাপ্রাপ্ত তাপস পাণ্ডাকে কারাদণ্ডের পাশাপাশি নগদ 50 হাজার টাকা আর্থিক জরিমানাও করেছেন বিচারক । জরিমানার টাকা আদায় হলে তার নব্বই শতাংশ নির্যাতিতাকে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন তিনি ।
সরকারি আইনজীবী প্রশান্ত রায় জানান, 2015 সালের 15 মে ঝাড়গ্রাম জেলার বেলিয়াবেড়া থানার একটি গ্রামের বছর একুশের এক তরুণী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে নির্জন এলাকায় গিয়েছিলেন । ফেরার পথে তাঁকে একা পেয়ে প্রতিবেশী তাপস তাঁকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ । পরদিনই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার বাবা । অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ । অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পুলিশ 376 এবং 506 ধারায় মামলা রুজু করে ঝাড়গ্রাম আদালতে পেশ করে । ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করে বেলিয়াবেড়া থানার পুলিশ ।
আরও পড়ুন: প্রেমের ফাঁদে ফেলে সহবাস ! অভিযুক্ত বিয়েতে অস্বীকার করায় আত্মহত্যার চেষ্টা যুবতীর
অভিযোগ দায়ের হওয়ার 75 দিনের মধ্যে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্তকারী অফিসার । ওই বছরই ডিসেম্বরে মামলার বিচার শুরু হয় । অভিযুক্ত জামিনে ছাড়া পেয়ে যায় । 11 জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে আদালত । শুক্রবার তাপসকে দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক জীমূতবাহন বিশ্বাস । আদালতের নির্দেশে ওই দিন তাপসকে জেল হেফাজতে নেওয়া হয় । সোমবার বিচারক সাজা ঘোষণা করেন ।
ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপার অরিজিৎ সিনহা বলেন, "মহিলা ঘটিত যে কোনও অপরাধের ঘটনা যেগুলি বিচার প্রক্রিয়ায় রয়েছে, সেগুলি বিশেষ গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে । কয়েক মাসের মধ্যে পকসো ও ধর্ষণ এবং ধর্ষণ করে খুনের মতো ঘটনায় বেশ কয়েকটি সাজা ঘোষণা করাতে পেরেছি । আগামী দিনেও মহিলা ঘটিত যে কোনও অপরাধের ঘটনা গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে এবং বিচারব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে দোষীদের সাজার ব্যবস্থা করব ৷"