ETV Bharat / state

Housewife Murder: কন্যাসন্তানের জন্ম দেওয়ায় বধূকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ, গ্রেফতার স্বামী ও শ্বশুর

author img

By

Published : May 22, 2023, 10:25 PM IST

বিয়ের পর থেকে পণের জন্য অত্যাচার চলত ৷ মেয়ে হতেই সেই অত্যাচার দ্বিগুণ হয় ৷ অবশেষে অত্যাচারের শেষ হল বধূর মৃত্যুতে ৷ বাপের বাড়ির অভিযোগে গ্রেফতার বধূর স্বামী ও শ্বশুর ৷ পলাতক শাশুড়ি ৷

Etv Bharat
প্রতীকী ছবি

ঝাড়গ্রাম, 22 মে: কন্যাসন্তানের জন্ম দেওয়ায় অপরাধ । বিয়ের এক বছরের মাথায় গৃহবধূর অপমৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী ও শ্বশুরকে গ্রেফতার করল লালগড় থানার পুলিশ । আজ সোমবার তাদের আদালতে তোলা হয় ৷ মৃতার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার রাতে লালগড়ের বৈতা অঞ্চলের বালিশিরা গ্রাম থেকে অভিযুক্ত স্বামী অঞ্জন চালক ও তার বাবা অমৃত চালককে গ্রেফতার করা হয় । অপর অভিযুক্ত অঞ্জনের মা চৈতালি পলাতক । মৃত বধূর নাম সবিতা চালক (20)।

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর এপ্রিল মাস নাগাদ ঝাড়গ্রাম থানার চুবকা অঞ্চলের বেনাডি গ্রামের বাসিন্দা সোনু চালকের বড় মেয়ে সবিতার সঙ্গে বালিশিরা গ্রামের অঞ্জনের সম্বন্ধ করে বিয়ে হয় । বিয়ের সময় মেয়ে ও জামাইকে সাধ্য মতো দান সামগ্রী ও যৌতুক দিয়েছিলেন সোনু । তবে পাত্রপক্ষ নগদ 50 হাজার টাকা দাবি করেছিল । কিন্তু বালি খাদানের শ্রমিকের কাজ করা সোনুর পক্ষে ওই টাকা দেওয়া সম্ভব হয়নি । তবে বিয়েতে তিনি খাট, আলমারি, গয়না ও জামাইকে একটি সাইকেল দিয়েছিলেন ।

বিয়ের পর থেকেই পণের টাকার দাবিতে সবিতার উপর অত্যাচার শুরু হয় বলে অভিযোগ । আড়াই মাস আগে সবিতা কন্যাসন্তান প্রসব করায় অত্যাচারের মাত্রা চরমে ওঠে । বাড়িতে ফোন করে সে কথা জানাতেন সবিতা । সোনুও জামাইকে ফোন করে মিলেমিশে থাকার অনুরোধ করতেন । রবিবার দুপুর দেড়টা নাগাদ সবিতা তাঁর মা প্রতিমা চালককে ফোন করে জানিয়েছিল, জামাইষষ্ঠীর জন্য কাউকে নিতে আসার দরকার নেই । ওই দিন স্বামীর সঙ্গে নিজেই বাপের বাড়িতে যাবে ।

এরপর দুপুর সাড়ে তিনটা নাগাদ প্রতিমা ফোন পান মেয়ের শ্বশুরবাড়ি বালিশিরা থেকে । ফোনে ওই গ্রামবাসী জানান, তাঁদের মেয়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে । তড়িঘড়ি সোনু ও প্রতিমা সন্ধ্যায় ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছন । সেখানে পৌঁছে তাঁরা জানতে পারেন সবিতার দেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে । শ্বশুরবাড়ির লোকেদের অবশ্য কাউকে হাসপাতাল চত্বরে খুঁজে পাওয়া যায়নি ।

এই বিষয়ে সবিতার মা প্রতিমা চালক বলেন, "বিয়ের সময় 50 হাজার টাকা দাবি করেছিল ৷ কিন্তু আমরা দিতে পারিনি । তাই মেয়ের উপর মাঝেমধ্যেই তার শ্বশুর, শাশুড়ি ও স্বামী অত্যাচার করত । কয়েকমাস আগে মেয়ের কন্যাসন্তান হয়েছে । মেয়ের কেন ছেলে হল না মেয়ে হল এই জন্য শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার উপর প্রচুর অত্যাচার শুরু করেছিল । আমার মেয়েকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে ।"

আরও পড়ুন : পুত্রসন্তানের জন্ম দিতে অপারগ স্ত্রী'কে শ্বাসরোধ করে হত্যা স্বামীর

রবিবার রাতেই লালগড় থানায় গিয়ে মেয়ের শ্বশুর, শাশুড়ি ও স্বামীর বিরুদ্ধে খুন-সহ বধূ নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেন বাবা সোনু চালক । মৃতার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে রাতেই সবিতার স্বামী অঞ্জন ও শ্বশুর অমৃতকে গ্রেফতার করা হয় । ধৃতদের সোমবার ঝাড়গ্রাম আদালতে তোলা হলে অঞ্জনকে 3 দিনের পুলিশ হেফাজত ও তার বাবাকে 14 দিনের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক । এই বিষয়ে ঝাড়গ্রামের এসডিপিও অনিন্দ্যসুন্দর ভট্টাচার্য বলেন, "অভিযোগের ভিত্তিতে দু'জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, এখনও পলাতক রয়েছে একজন । ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে ।"

ঝাড়গ্রাম, 22 মে: কন্যাসন্তানের জন্ম দেওয়ায় অপরাধ । বিয়ের এক বছরের মাথায় গৃহবধূর অপমৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী ও শ্বশুরকে গ্রেফতার করল লালগড় থানার পুলিশ । আজ সোমবার তাদের আদালতে তোলা হয় ৷ মৃতার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার রাতে লালগড়ের বৈতা অঞ্চলের বালিশিরা গ্রাম থেকে অভিযুক্ত স্বামী অঞ্জন চালক ও তার বাবা অমৃত চালককে গ্রেফতার করা হয় । অপর অভিযুক্ত অঞ্জনের মা চৈতালি পলাতক । মৃত বধূর নাম সবিতা চালক (20)।

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর এপ্রিল মাস নাগাদ ঝাড়গ্রাম থানার চুবকা অঞ্চলের বেনাডি গ্রামের বাসিন্দা সোনু চালকের বড় মেয়ে সবিতার সঙ্গে বালিশিরা গ্রামের অঞ্জনের সম্বন্ধ করে বিয়ে হয় । বিয়ের সময় মেয়ে ও জামাইকে সাধ্য মতো দান সামগ্রী ও যৌতুক দিয়েছিলেন সোনু । তবে পাত্রপক্ষ নগদ 50 হাজার টাকা দাবি করেছিল । কিন্তু বালি খাদানের শ্রমিকের কাজ করা সোনুর পক্ষে ওই টাকা দেওয়া সম্ভব হয়নি । তবে বিয়েতে তিনি খাট, আলমারি, গয়না ও জামাইকে একটি সাইকেল দিয়েছিলেন ।

বিয়ের পর থেকেই পণের টাকার দাবিতে সবিতার উপর অত্যাচার শুরু হয় বলে অভিযোগ । আড়াই মাস আগে সবিতা কন্যাসন্তান প্রসব করায় অত্যাচারের মাত্রা চরমে ওঠে । বাড়িতে ফোন করে সে কথা জানাতেন সবিতা । সোনুও জামাইকে ফোন করে মিলেমিশে থাকার অনুরোধ করতেন । রবিবার দুপুর দেড়টা নাগাদ সবিতা তাঁর মা প্রতিমা চালককে ফোন করে জানিয়েছিল, জামাইষষ্ঠীর জন্য কাউকে নিতে আসার দরকার নেই । ওই দিন স্বামীর সঙ্গে নিজেই বাপের বাড়িতে যাবে ।

এরপর দুপুর সাড়ে তিনটা নাগাদ প্রতিমা ফোন পান মেয়ের শ্বশুরবাড়ি বালিশিরা থেকে । ফোনে ওই গ্রামবাসী জানান, তাঁদের মেয়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে । তড়িঘড়ি সোনু ও প্রতিমা সন্ধ্যায় ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছন । সেখানে পৌঁছে তাঁরা জানতে পারেন সবিতার দেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে । শ্বশুরবাড়ির লোকেদের অবশ্য কাউকে হাসপাতাল চত্বরে খুঁজে পাওয়া যায়নি ।

এই বিষয়ে সবিতার মা প্রতিমা চালক বলেন, "বিয়ের সময় 50 হাজার টাকা দাবি করেছিল ৷ কিন্তু আমরা দিতে পারিনি । তাই মেয়ের উপর মাঝেমধ্যেই তার শ্বশুর, শাশুড়ি ও স্বামী অত্যাচার করত । কয়েকমাস আগে মেয়ের কন্যাসন্তান হয়েছে । মেয়ের কেন ছেলে হল না মেয়ে হল এই জন্য শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার উপর প্রচুর অত্যাচার শুরু করেছিল । আমার মেয়েকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে ।"

আরও পড়ুন : পুত্রসন্তানের জন্ম দিতে অপারগ স্ত্রী'কে শ্বাসরোধ করে হত্যা স্বামীর

রবিবার রাতেই লালগড় থানায় গিয়ে মেয়ের শ্বশুর, শাশুড়ি ও স্বামীর বিরুদ্ধে খুন-সহ বধূ নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেন বাবা সোনু চালক । মৃতার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে রাতেই সবিতার স্বামী অঞ্জন ও শ্বশুর অমৃতকে গ্রেফতার করা হয় । ধৃতদের সোমবার ঝাড়গ্রাম আদালতে তোলা হলে অঞ্জনকে 3 দিনের পুলিশ হেফাজত ও তার বাবাকে 14 দিনের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক । এই বিষয়ে ঝাড়গ্রামের এসডিপিও অনিন্দ্যসুন্দর ভট্টাচার্য বলেন, "অভিযোগের ভিত্তিতে দু'জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, এখনও পলাতক রয়েছে একজন । ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.