ETV Bharat / state

Howrah-Barbil Jan Shatabdi Express: ঝাড়গ্রাম স্টেশনে স্টপেজ পেল হাওড়া-বারবিল জনশতাব্দী এক্সপ্রেস - Jhargram MP Kunar Hembram

Howrah-Barbil Jan Shatabdi Express: ঝাড়গ্রাম রেল স্টেশনে নতুন স্টপেজ পেল হাওড়া-বারবিল জনশতাব্দী এক্সপ্রেস ৷ সপ্তাহের সাতদিন চলা এই ট্রেনটি আজ থেকে ঝাড়গ্রাম স্টেশনে থামবে ৷ সকালে হাওড়া থেকে আসার সময় ট্রেন থামবে ৷ আর বারবিল থেকে আসা ট্রেন থামবে সন্ধ্যায় ৷

Jan Shatabdi Express Stoppage at Jhargram ETV BHARAT
Jan Shatabdi Express Stoppage at Jhargram
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Sep 6, 2023, 5:01 PM IST

হাওড়া বারবিল জনশতাব্দী এক্সপ্রেস

ঝাড়গ্রাম, 6 সেপ্টেম্বর: পুজোর আগে পর্যটকদের জন্য খুশির খবর। মাত্র দু'ঘণ্টায় হাওড়া থেকে ঝাড়গ্রাম পৌঁছনো যাবে এবার ৷ ঝাড়গ্রাম রেল স্টেশনে নতুন স্টপেজ পেল হাওড়া-বারবিল জনশতাব্দী এক্সপ্রেস (আপ ও ডাউন) ৷ বুধবার সকাল 6টা 20 মিনিটে হাওড়া স্টেশন থেকে এই ট্রেনটি ছাড়ে ৷ এর পর 8টা 24 মিনিটে ঝাড়গ্রাম স্টেশনে পৌঁছায় ৷ সেখানে জনশতাব্দী এক্সপ্রেসকে স্বাগত জানান ঝাড়গ্রামের সাংসদ কুনার হেমব্রম, দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়গপুর ডিভিশনের ডিআরএম আর কে চৌধুরি, সিনিয়র কমার্শিয়াল ম্যানেজার ওম প্রকাশ-সহ রেলের আধিকারিকরা ৷

হাওড়া থেকে সপ্তাহের সাতদিন ওড়িশার বারবিল পর্যন্ত চলে জনশতাব্দী এক্সপ্রেস ৷ যে ট্রেনটি এবার থেকে ঝাড়গ্রাম স্টেশনেও দাঁড়াবে ৷ ফলে ঝাড়গ্রাম তথা জঙ্গলমহলের একটা বিস্তীর্ণ অংশের মানুষের যাতায়াতের সুবিধা হল ৷ সকালে হাওড়া থেকে যেমন ঝাড়গ্রামে আসা যাবে ৷ তেমনি সন্ধেবেলা ঝাড়গ্রাম স্টেশন থেকে হাওড়ার উদ্দেশেও রওনা দেওয়া যাবে ৷ এমনকি ওড়িশা যাওয়ার ক্ষেত্রেও ঝাড়গ্রামবাসীদের অনেকটাই সুবিধে হল ৷

হাওড়া থেকে রোজ সকাল 6টা 20 মিনিটে ট্রেনটি ছাড়বে ৷ আর সকাল 8টা 24 মিনিটে সেটি ঝাড়গ্রাম স্টেশনে পৌঁছনোর কথা ৷ তেমনি দুপুরে ওড়িশা থেকে আসা ট্রেনটি সন্ধে 6টা 8 মিনিটে হাওড়ায় রওনা দেবে ৷ সেটি রাত 8টা 55 মিনিটে হাওড়া পৌঁছবে ৷ সামনেই রাজ্যে উৎসবের মরশুম ৷ এই সময় ঝাড়গ্রাম তথা জঙ্গলমহলে পর্যটকদের আনাগোনা লেগেই থাকে ৷ তবে, জনশতাব্দী এক্সপ্রেসের স্টপেজ পাওয়ায় সেই সংখ্যাটা আরও বাড়বে বলে আশা করছে স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ীরা ৷

আরও পড়ুন: পটনা-হাওড়া বন্দে ভারতের ট্রায়াল রান, আসানসোলে দ্রুতগতির ট্রেন দেখতে উৎসুক মানুষের ভিড়

এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যেও উৎসাহ ছিল দেখার মতো ৷ জনশতাব্দীর প্রথম স্টপেজের দিনেই টাটানগরের বাসিন্দা ঈশিতা ঘোষ তাঁর মায়ের সঙ্গে ট্রেন সফর করলেন ৷ তাঁর আগে ঝাড়গ্রামে জনশতাব্দীর স্টপেজ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "ঝাড়গ্রামে জনশতাব্দীর স্টপেজ দিয়েছে খুবই ভালো লাগছে ৷ এখানে আমার মামা বাড়ি সহজে চলে আসতে পারব এবং ফিরতেও পারব ৷ আগের তুলনায় ট্রেনের সংখ্যা আরও বাড়ল ঝাড়গ্রামে ৷ প্রথমদিনেই যাত্রা করছি এটা ভেবেই আমার খুব আনন্দ লাগছে ৷"

ঝাড়গ্রামের সাংসদ কুনার হেমব্রম বলেন, "ঝাড়গ্রামের মানুষের একটি বড় চাহিদা পূরণ করতে পেরে খুবই ভালো লাগছে ৷ আগামী দিনে পুরী, মুম্বই ও দিল্লি যাওয়ার ট্রেনগুলির স্টপেজ দেওয়ার জন্য আমি রেলমন্ত্রীকে জানিয়েছি ৷ আগামী দিনে ঝাড়গ্রামের মানুষ এই ট্রেনগুলিও উপহার পাবেন ৷" তিনি জানান, ঝাড়গ্রাম শহরের কদমকানন রেলগেটে আন্ডার পাস তৈরির দাবি দীর্ঘদিনের ৷ সেই প্রস্তাব ইতিমধ্যেই পাস হয়ে গেছে এবং কিছুদিনের মধ্যে কাজ শুরু হবে বলে জানান সাংসদ ৷

হাওড়া বারবিল জনশতাব্দী এক্সপ্রেস

ঝাড়গ্রাম, 6 সেপ্টেম্বর: পুজোর আগে পর্যটকদের জন্য খুশির খবর। মাত্র দু'ঘণ্টায় হাওড়া থেকে ঝাড়গ্রাম পৌঁছনো যাবে এবার ৷ ঝাড়গ্রাম রেল স্টেশনে নতুন স্টপেজ পেল হাওড়া-বারবিল জনশতাব্দী এক্সপ্রেস (আপ ও ডাউন) ৷ বুধবার সকাল 6টা 20 মিনিটে হাওড়া স্টেশন থেকে এই ট্রেনটি ছাড়ে ৷ এর পর 8টা 24 মিনিটে ঝাড়গ্রাম স্টেশনে পৌঁছায় ৷ সেখানে জনশতাব্দী এক্সপ্রেসকে স্বাগত জানান ঝাড়গ্রামের সাংসদ কুনার হেমব্রম, দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়গপুর ডিভিশনের ডিআরএম আর কে চৌধুরি, সিনিয়র কমার্শিয়াল ম্যানেজার ওম প্রকাশ-সহ রেলের আধিকারিকরা ৷

হাওড়া থেকে সপ্তাহের সাতদিন ওড়িশার বারবিল পর্যন্ত চলে জনশতাব্দী এক্সপ্রেস ৷ যে ট্রেনটি এবার থেকে ঝাড়গ্রাম স্টেশনেও দাঁড়াবে ৷ ফলে ঝাড়গ্রাম তথা জঙ্গলমহলের একটা বিস্তীর্ণ অংশের মানুষের যাতায়াতের সুবিধা হল ৷ সকালে হাওড়া থেকে যেমন ঝাড়গ্রামে আসা যাবে ৷ তেমনি সন্ধেবেলা ঝাড়গ্রাম স্টেশন থেকে হাওড়ার উদ্দেশেও রওনা দেওয়া যাবে ৷ এমনকি ওড়িশা যাওয়ার ক্ষেত্রেও ঝাড়গ্রামবাসীদের অনেকটাই সুবিধে হল ৷

হাওড়া থেকে রোজ সকাল 6টা 20 মিনিটে ট্রেনটি ছাড়বে ৷ আর সকাল 8টা 24 মিনিটে সেটি ঝাড়গ্রাম স্টেশনে পৌঁছনোর কথা ৷ তেমনি দুপুরে ওড়িশা থেকে আসা ট্রেনটি সন্ধে 6টা 8 মিনিটে হাওড়ায় রওনা দেবে ৷ সেটি রাত 8টা 55 মিনিটে হাওড়া পৌঁছবে ৷ সামনেই রাজ্যে উৎসবের মরশুম ৷ এই সময় ঝাড়গ্রাম তথা জঙ্গলমহলে পর্যটকদের আনাগোনা লেগেই থাকে ৷ তবে, জনশতাব্দী এক্সপ্রেসের স্টপেজ পাওয়ায় সেই সংখ্যাটা আরও বাড়বে বলে আশা করছে স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ীরা ৷

আরও পড়ুন: পটনা-হাওড়া বন্দে ভারতের ট্রায়াল রান, আসানসোলে দ্রুতগতির ট্রেন দেখতে উৎসুক মানুষের ভিড়

এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যেও উৎসাহ ছিল দেখার মতো ৷ জনশতাব্দীর প্রথম স্টপেজের দিনেই টাটানগরের বাসিন্দা ঈশিতা ঘোষ তাঁর মায়ের সঙ্গে ট্রেন সফর করলেন ৷ তাঁর আগে ঝাড়গ্রামে জনশতাব্দীর স্টপেজ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "ঝাড়গ্রামে জনশতাব্দীর স্টপেজ দিয়েছে খুবই ভালো লাগছে ৷ এখানে আমার মামা বাড়ি সহজে চলে আসতে পারব এবং ফিরতেও পারব ৷ আগের তুলনায় ট্রেনের সংখ্যা আরও বাড়ল ঝাড়গ্রামে ৷ প্রথমদিনেই যাত্রা করছি এটা ভেবেই আমার খুব আনন্দ লাগছে ৷"

ঝাড়গ্রামের সাংসদ কুনার হেমব্রম বলেন, "ঝাড়গ্রামের মানুষের একটি বড় চাহিদা পূরণ করতে পেরে খুবই ভালো লাগছে ৷ আগামী দিনে পুরী, মুম্বই ও দিল্লি যাওয়ার ট্রেনগুলির স্টপেজ দেওয়ার জন্য আমি রেলমন্ত্রীকে জানিয়েছি ৷ আগামী দিনে ঝাড়গ্রামের মানুষ এই ট্রেনগুলিও উপহার পাবেন ৷" তিনি জানান, ঝাড়গ্রাম শহরের কদমকানন রেলগেটে আন্ডার পাস তৈরির দাবি দীর্ঘদিনের ৷ সেই প্রস্তাব ইতিমধ্যেই পাস হয়ে গেছে এবং কিছুদিনের মধ্যে কাজ শুরু হবে বলে জানান সাংসদ ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.