ঝাড়গ্রাম, 21 ফেব্রুয়ারি: মাত্র 48 টাকা জমা দিয়েছিল ইন্সুরেন্স বাবদ ব্যাংকে । তারপরেই পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল গ্রাহকের । ব্যাংকের 17তম প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে দু'লক্ষ টাকার সাহায্য তুলে দেওয়া হল পথ দুর্ঘটনায় মৃত ব্যাংকের গ্রাহকের পরিবারের হাতে (2 lakh assistance to family of deceased customer) । মঙ্গলবার বঙ্গীয় গ্রামীণ বিকাশ ব্যাংকের 17তম প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপিত হয় সেবায়তন শাখায় । 17 বছর পূর্তি উপলক্ষে ব্যাংকে এদিন সতেরোটি নতুন সেভিংস অ্যাকাউন্ট খোলা হয় । 17টি অটল পেনশন যোজনা, 17টি প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বীমা যোজনা এবং 17টি প্রধানমন্ত্রীর জীবনজ্যোতি যোজনাও চালু করা হয় ।
2007 সালে মল্লভূমি নামে এই ব্যাংক পথ চলা শুরু করেছিল । মূলত গ্রামের সাধারণ মানুষকে ব্যাংকের আয়তায় নিয়ে আসার লক্ষ্যেই শুরু হয়েছিল এই ব্যাংক । পরবর্তীকালে নাম পরিবর্তন করে বঙ্গীয় গ্রামীণ বিকাশ ব্যাংক হয় । এদিন ব্যাংকের মধ্যে কেক কেটে 17তম প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন করা হয় ৷ পাশাপাশি ব্যাংকের গ্রাহকদের বিভিন্ন পরিষেবা তুলে দেওয়া হয় ৷ আরও কীভাবে উন্নত করা যায় সেই প্রসঙ্গে গ্রাহকদের মতামত গ্রহণ করে ব্যাংক ।
ম্যানেজার নরেশ মাহাতো জানান, এলেম চন্দ্র মাহাতো নামের এক ব্যক্তি প্রতি বছর 12 টাকার প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বিমা যোজনার প্রকল্প চালু করেছিলেন । তিনি বিমার মাত্র চারটি কিস্তি অর্থাৎ 48 টাকা জমা করেছিলেন । গত বছরই পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির । আজ ব্যাংকের পক্ষ থেকে দু'লক্ষ টাকা সাহায্য এলেম চন্দ্র মাহাতোর স্ত্রী লক্ষীর হাতে তুলে দেওয়া হয় । লক্ষ্মী মাহাতো বলেন, "সাহায্যের টাকা পেয়ে খুবই ভালো লাগছে । আমাকে কিছুই করতে হয়নি ব্যাংক তাদের দায়িত্ব নিয়ে আমার হাতে টাকা তুলে দিল । এই টাকা দিয়ে আমি আমার ছেলেমেয়েদের পড়াশুনা চালিয়ে যেতে পারব ৷"
এছাড়াও এলাকার স্ব-সহায়ক দলের মহিলাদের হাতে ব্যবসা করার জন্য লোন তুলে দেওয়া হয় ৷ এলাকার যুবকদেরও ব্যবসা করার জন্য লোন প্রদান করে বঙ্গীয় গ্রামীণ বিকাশ ব্যাংক । মাটিহানা গীতাঞ্জলি স্ব-সহায়ক দলের সদস্য খুললোনা মাহাতো বলেন, "এই ব্যাংক সবসময় আমাদের পাশে রয়েছে । সহজ সরলভাবেই আমাদেরকে লোন প্রদান করে । যার ফলে আমরা ব্যবসা করে স্বনির্ভর হতে পারছি ৷"
আরও পড়ুন: ফিল্মি কায়দায় ডাকাতি কৃষি উন্নয়ন সমিতিতে, লুট টাকা ও গয়না
