ঝাড়গ্রাম, 30 অগস্ট: ফের পূর্ণবয়স্ক হাতি মৃত্যুর ঘটনা ঘটল ঝাড়গ্রামে । তবে কী কারণে হাতিটির মৃত্যু হয়েছে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে ৷ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বনদফতর । শুক্রবার ভোরে ঝাড়গ্রাম বন বিভাগের অন্তর্গত ঝাড়গ্রাম রেঞ্জের বাঁদরভুলা বিটের জুয়ালভাঙ্গার জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায় হাতি মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটে ৷ একটি বরবটি চাষের জমিতে হাতিটিকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান গ্রামবাসীরা । এরপরেই হাতি মৃত্যুর বিষয়টি জানানো হয় বনদফতরকে । এই খবর জানাজানি হতেই হাতি দেখার জন্য জুয়ালভাঙ্গা, ভাওদা-সহ বিভিন্ন গ্রাম থেকে বহু মানুষজন ভিড় জমান সেখানে।
জুয়ালভাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা প্রিয়রঞ্জন মাহাতো ও শ্যামাপদ পাত্র বলেন, "খাবারের সন্ধানে প্রতিনিয়ত রাত হলেই গ্রামে হানা দিচ্ছে হাতির দল ৷ ধানচাষের জমি এবং সবজি ক্ষেত তছনছ করে দিচ্ছে । বনদফতরকে জানিয়েও কোনও লাভ হচ্ছে না । আজ সকালে দেখি বরবটি চাষের জমির কাছে একটি হাতি মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে ৷" জঙ্গলমহল তথা ঝাড়গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকায় বেশ কয়েকদিন ধরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে হাতির দল ৷ ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে তারা এই কাজ করছে । ঝাড়গ্রাম বনদফতর সূত্রে খবর, মঙ্গলবার ঝাড়গ্রাম বন বিভাগের অধীনে 109টি হাতি ছিল। বনদফতরের এক আধিকারিক বলেন, "কী কারণে হাতিটির মৃত্যু হয়েছে, তা ময়নাতদন্তের পরেই জানা যাবে ৷"
আরও পড়ুন: বিশ্বের প্রাচীনতম এশিয়াটিক হাতি বিজুলি প্রসাদের মৃত্যু
জানা গিয়েছে, লোধাশুলি ও ঝাড়গ্রাম রেঞ্জের বিস্তীর্ণ এলাকায় বেশ কয়েকদিন ধরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে কয়েকটি হাতির দল । বাঁদরভুলা বিটে মঙ্গলবার 27টি হাতির একটি দল ছিল । সম্ভবত ওই দলেরই অংশ মৃত হাতিটি । রাতে খাবারের সন্ধানে জঙ্গল থেকে বেরিয়ে বরবটি চাষের জমিতে হাতিটি ঢুকে পড়ে । জমিতে ঢোকার আগেই বড় আলে হাতিটি মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় । স্থানীয় গ্রামবাসীদের আশঙ্কা শারীরিক অসুস্থতার কারণে হাতিটির মৃত্যু হতে পারে ৷ এছাড়াও হাতির হাত থেকে ফসল রক্ষা করার জন্য বহু চাষি মাঝেমধ্যেই জমিতে বিদ্যুৎ সংযোগ করে থাকে ৷ তার ফলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হাতিটির মৃত্যু হলেও হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে । যদিও এদিন সকালে বরবটি খেতে কোন বৈদ্যুতিক তার দেখতে পাওয়া যায়নি ।