ঝাড়গ্রাম, 20 অগস্ট : চাষের জমিতে জল দেওয়ার জন্য দু'ফুট গভীর নালা খুঁড়ে ছিলেন এক চাষি। রাতের অন্ধকারে হাতির দল ওই পথ দিয়ে যেতেই ঘটল বিপত্তি। দু'ফুট গভীর নালায় উল্টো ভাবে পড়ে মৃত্যু হল এক পুরুষ হস্তিশাবকের। ঘটনাটি ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল রেঞ্জের সাঁকরাইল বিটের বীরভাষা গ্রামের ।
বাড়ি থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে জঙ্গল লাগোয়া প্রায় তিন বিঘা জমিতে করলা, ঝিঙা, লাউ, শশা সহ আরও সবজি চাষ করেছেন চিত্ত মাহাতো নামে এক চাষি । জমি রুক্ষ হওয়ার জলের সরবাহ ঠিক রাখতে দু'ফুট গভীর নালা কাটা হয়েছিল । আর এই নালাতেই ঘটে বিপত্তি ।
বন দফতর ও গ্রামবাসী সূত্রে জানা যায় , এদিন ভোর সাড়ে চারটের সময় জমির দিক থেকে হাতির চিৎকার শুনতে পান গ্রামবাসীরা । তা শুনে গ্রামবাসীরা গিয়ে দেখেন, তিনটি হাতি কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে আছে। আর নালার মধ্যে উল্টে থাকা একটি হাতির পা উপরের দিকে দেখা যাচ্ছে।
সামনে যেতেই তিনটি হাতি তাড়া করে তাঁদের। প্রাণের ভয়ে পালিয়ে এসে তখন গ্রামবাসীরা সাঁকরাইল বিট অফিসে খবর দেন । কিন্তু বন দফতরের কর্মীরা আসেননি বলেও অভিযোগ করেন গ্রামবাসীরা । তারপর তিনটি হাতি কিছুটা দূরে জঙ্গলের দিকে ফিরে যেতেই সামনে যান গ্রামবাসীরা। তারপর হস্তিশাবকটিকে গর্ত থেকে তোলা হয়।
আরও পড়ুন : Cultivation in Sundarban : জলে ভাসমান ভেলাতেই হবে চাষ, সুন্দরবনে দিশা দেখাচ্ছে এক সংস্থা
বাসিন্দারা জানান পাঁচটা নাগাদ ফোন করা হয়েছিল, বিট অফিসে কিন্তু কোনও বনকর্মী আসেনি। তাঁরা এসে দেখেন, হস্তিশাবকটি নালায় উল্টে গিয়ে পা উপরের দিকে হয়ে পড়ে রয়েছে। আর চিৎকার করছে। মুখে বালি চাপা পড়ে গিয়েছিল। তিনটি হাতি নালা থেকে তোলার চেষ্টা করলেও তাদের শুঁড়ের বালিতে শাবকটির মুখটি চাপা পড়ে গিয়েছিল।
সন্ধ্যায় শাবকটিকে নালা থেকে তোলেন গ্রামবাসীরা ৷ তারপর বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে আসেন। ততক্ষণে শাবকটি মারা গিয়েছে ৷ মৃত্যুর পর হাতিটিকে দেবতা হিসাবে ধূপ সিঁদুর দিয়ে পুজো করেন বহু মানুষ ৷