ETV Bharat / state

Tree Celebration in Jhargram: গাছ বাঁচাও পরিবেশ বাঁচাও, দোলে 'রাঙাও এ প্রকৃতি' অনুষ্ঠান ঝাড়গ্রামে

গাছ কার্বন ডাই অক্সাইড নেয় ও পরিবেশে অক্সিজেন দেয় ৷ একথা বইয়ের পাতায় পড়লেও অনেকেরই মনের গভীরে পৌঁছয়নি ৷ এখনও জঙ্গল জ্বলছে, কেটে ফেলা হচ্ছে গাছ ৷ নষ্ট হচ্ছে বাস্তুতন্ত্র, অর্থনীতিও (Importance of Trees in Human Life and Ecosystem) ৷

Save Tree
গাছ বাঁচাও
author img

By

Published : Mar 10, 2023, 5:13 PM IST

দোলে 'রাঙাও এ প্রকৃতি' অনুষ্ঠান ঝাড়গ্রামে

জামবনী (ঝাড়গ্রাম), 10 মার্চ: এ অন্যরকম দোল ৷ প্রকৃতিকে রাঙানোর উৎসব ৷ চারপাশের পরিবেশে গাছের গুরুত্ব ভুলতে শুরু করেছে মানুষ ৷ সে কথা মনে করিয়ে দিতে এবার অভিনব আয়োজন সেবাভারতী মহাবিদ্যালয়ের ৷ সোমবার জামবনী ব্লকের অন্তর্গত কাপগাড়ির এই কলেজের ভূগোল বিভাগের উদ্যোগে 'রাঙাও এ প্রকৃতি' উৎসব পালন করেন পড়ুয়ারা। কলেজ ক্যাম্পাসে থাকা প্রাচীন গাছগুলিতে সাইনবোর্ড লাগিয়ে জানানো হল, তারা বছরে পরিবেশ থেকে কতটা কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করে (Trees take carbon dioxide and release Oxygen) ৷

এছাড়া কলেজ ক্যাম্পাসে থাকা প্রায় 55 বছরের পুরনো একটি বকুল গাছকে জঙ্গলমহলের প্রাচীন প্রথা মেনে পুজোর মাধ্যমে 'পবিত্র গাছ' হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয় ৷ এই উৎসবের মধ্য দিয়ে ভূগোল বিভাগের নবীন এবং প্রবীণদের মধ্যে পরিচয় হয় ৷ তারপরে জঙ্গলমহলের রীতি মেনে মাটির হাতি, ঘোড়াকে সঙ্গে নিয়ে দু'হাতে ধুনো জ্বালিয়ে ভূগোল বিভাগ থেকে শুরু করে বকুল গাছটি পর্যন্ত পদযাত্রা করে কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা । জঙ্গলমহলের আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রকৃতির আরাধনার নিয়ম মেনে প্রাচীন বকুল গাছকে পুজো করেন তাঁরা ৷ গাছটির গায়ে সাইনবোর্ডে তার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে ৷

প্রতিবছর এই বকুল গাছটি পরিবেশ থেকে 255 কিলো কার্বন ডাইঅক্সাইড শোষণ করে ৷ এর পরিবর্তে পরিবেশকে অক্সিজেন প্রদান করে ৷ ঠিক এইভাবে কলেজ ক্যাম্পাসে থাকা মেহগিনি, ছাতিম, কাজু, শিশু, সেগুন, বকুল ও আম- মোট সাতটি গাছ বছরে কত পরিমাণ কার্বন ডাইঅক্সাইড শোষণ করে, তাও সাইনবোর্ড লাগিয়ে জানানো হয়েছে ৷ একটি প্রাচীর মেহগিনি গাছ বছরে 512 কেজি কার্বন ডাইঅক্সাইড শোষণ করে ৷

আরও পড়ুন: মুকুল ভরতি 40টি আমগাছ কেটে বিতর্কে মালাদা বনদফতর

কলেজের ভূগোল বিভাগের প্রধান তথা পরিবেশবিদ প্রণব সাউ বলেন, "ঝাড়গ্রাম শহর থেকে কলেজে আসার সময় প্রায়শ দেখতে পাই, জঙ্গলের মধ্যে আগুন জ্বলছে ৷ এতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে জঙ্গলের বাস্তুতন্ত্র ৷ হারিয়ে যাচ্ছে বহু মূল্যবান গাছ ৷ কিন্তু পরিবেশে এই গাছগুলির মূল্য কতখানি, তা কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরতে একটি বিশেষ দল গড়া হয়েছে ৷ তারা গাছগুলির কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্রহণ করার প্রবণতা নির্ণয় করছে ৷ প্রাচীন গাছগুলিতে এই কার্বন ডাই অক্সাইড-এর সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে ৷ জঙ্গলমহলের প্রাচীন রীতি অনুযায়ী কলেজ ক্যাম্পাসে থাকা একটি 55 বছরের প্রাচীন বকুল গাছকে পবিত্র গাছ হিসেবে মর্যাদা প্রদান করা হয় ৷"

কলেজের ভূগোল বিভাগের প্রাক্তন ছাত্রী সোনালি দণ্ডপাঠ কলেজের এই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে এসেছিলেন ৷ তিনি বলেন, "আজকের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পেরে আমার ভালো লাগছে ৷ বকুল গাছটি পরিবেশ থেকে কতটা কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্রহণ করে, পরিবর্তে আমাদের অক্সিজেন দেয় ৷ আমার পরিচিতদের আবেদন, সবাই গাছ সম্পর্কে আরও সচেতন হন ৷"

আরও পড়ুন: বায়ুদূষণ নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ মেয়রের, 25 লাখ গাছ লাগানোর টার্গেট

দোলে 'রাঙাও এ প্রকৃতি' অনুষ্ঠান ঝাড়গ্রামে

জামবনী (ঝাড়গ্রাম), 10 মার্চ: এ অন্যরকম দোল ৷ প্রকৃতিকে রাঙানোর উৎসব ৷ চারপাশের পরিবেশে গাছের গুরুত্ব ভুলতে শুরু করেছে মানুষ ৷ সে কথা মনে করিয়ে দিতে এবার অভিনব আয়োজন সেবাভারতী মহাবিদ্যালয়ের ৷ সোমবার জামবনী ব্লকের অন্তর্গত কাপগাড়ির এই কলেজের ভূগোল বিভাগের উদ্যোগে 'রাঙাও এ প্রকৃতি' উৎসব পালন করেন পড়ুয়ারা। কলেজ ক্যাম্পাসে থাকা প্রাচীন গাছগুলিতে সাইনবোর্ড লাগিয়ে জানানো হল, তারা বছরে পরিবেশ থেকে কতটা কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করে (Trees take carbon dioxide and release Oxygen) ৷

এছাড়া কলেজ ক্যাম্পাসে থাকা প্রায় 55 বছরের পুরনো একটি বকুল গাছকে জঙ্গলমহলের প্রাচীন প্রথা মেনে পুজোর মাধ্যমে 'পবিত্র গাছ' হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয় ৷ এই উৎসবের মধ্য দিয়ে ভূগোল বিভাগের নবীন এবং প্রবীণদের মধ্যে পরিচয় হয় ৷ তারপরে জঙ্গলমহলের রীতি মেনে মাটির হাতি, ঘোড়াকে সঙ্গে নিয়ে দু'হাতে ধুনো জ্বালিয়ে ভূগোল বিভাগ থেকে শুরু করে বকুল গাছটি পর্যন্ত পদযাত্রা করে কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা । জঙ্গলমহলের আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রকৃতির আরাধনার নিয়ম মেনে প্রাচীন বকুল গাছকে পুজো করেন তাঁরা ৷ গাছটির গায়ে সাইনবোর্ডে তার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে ৷

প্রতিবছর এই বকুল গাছটি পরিবেশ থেকে 255 কিলো কার্বন ডাইঅক্সাইড শোষণ করে ৷ এর পরিবর্তে পরিবেশকে অক্সিজেন প্রদান করে ৷ ঠিক এইভাবে কলেজ ক্যাম্পাসে থাকা মেহগিনি, ছাতিম, কাজু, শিশু, সেগুন, বকুল ও আম- মোট সাতটি গাছ বছরে কত পরিমাণ কার্বন ডাইঅক্সাইড শোষণ করে, তাও সাইনবোর্ড লাগিয়ে জানানো হয়েছে ৷ একটি প্রাচীর মেহগিনি গাছ বছরে 512 কেজি কার্বন ডাইঅক্সাইড শোষণ করে ৷

আরও পড়ুন: মুকুল ভরতি 40টি আমগাছ কেটে বিতর্কে মালাদা বনদফতর

কলেজের ভূগোল বিভাগের প্রধান তথা পরিবেশবিদ প্রণব সাউ বলেন, "ঝাড়গ্রাম শহর থেকে কলেজে আসার সময় প্রায়শ দেখতে পাই, জঙ্গলের মধ্যে আগুন জ্বলছে ৷ এতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে জঙ্গলের বাস্তুতন্ত্র ৷ হারিয়ে যাচ্ছে বহু মূল্যবান গাছ ৷ কিন্তু পরিবেশে এই গাছগুলির মূল্য কতখানি, তা কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরতে একটি বিশেষ দল গড়া হয়েছে ৷ তারা গাছগুলির কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্রহণ করার প্রবণতা নির্ণয় করছে ৷ প্রাচীন গাছগুলিতে এই কার্বন ডাই অক্সাইড-এর সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে ৷ জঙ্গলমহলের প্রাচীন রীতি অনুযায়ী কলেজ ক্যাম্পাসে থাকা একটি 55 বছরের প্রাচীন বকুল গাছকে পবিত্র গাছ হিসেবে মর্যাদা প্রদান করা হয় ৷"

কলেজের ভূগোল বিভাগের প্রাক্তন ছাত্রী সোনালি দণ্ডপাঠ কলেজের এই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে এসেছিলেন ৷ তিনি বলেন, "আজকের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পেরে আমার ভালো লাগছে ৷ বকুল গাছটি পরিবেশ থেকে কতটা কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্রহণ করে, পরিবর্তে আমাদের অক্সিজেন দেয় ৷ আমার পরিচিতদের আবেদন, সবাই গাছ সম্পর্কে আরও সচেতন হন ৷"

আরও পড়ুন: বায়ুদূষণ নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ মেয়রের, 25 লাখ গাছ লাগানোর টার্গেট

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.