ঝাড়গ্রাম, 1 ফেব্রুয়ারি: লালগড়ের নেতাইয়ে শুভেন্দু অধিকারীর সভার পালটা সভা করলেন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা । বুধবার দুপুরে লালগড়ের এসআই চক থেকে নেতাই পর্যন্ত পদযাত্রা করেন বীরবাহা । তাঁর সঙ্গে এদিন উপস্থিত ছিলেন ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূলের জেলা সভাপতি দুলাল মুর্মু, ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূলের চেয়ারপার্সন বীরবাহা সরেন টুডু, বিনপুরের বিধায়ক দেবনাথ হাঁসদা, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী চূড়ামণি মাহাতো, ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের সভাধিপতি মাধবী বিশ্বাস-সহ তৃণমূলের একাধিক নেতৃত্ব । নেতাই শহিদ স্মৃতি রক্ষা কমিটির শহিদ বেদিতে এদিন মাল্যদান করেন বীরবাহা ।
শুভেন্দুর সভার যেখানে মঞ্চ তৈরি হয়েছিল সেখানেই মঞ্চে দাঁড়িয়ে এদিন বীরবাহা হাঁসদা বলেন, "শুভেন্দু হয়তো আজকে ভুলে গিয়েছে সবার সামনেই আমার নামে কুৎসা করতে চাইছে । সবার সামনে বলতে চাই সিপিএমের আন্দোলনকে জর্জরিত করার মূলে যে রক্তটি ছিল সেই রক্তই এই শরীরে বইছে । এই এলাকাকে আর অশান্ত করতে দেব না । শুভেন্দুর মতো নেতা যদি এই এলাকায় আসে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বার করব (Birbaha Hansda on Suvendu Adhikari)। কেউ যদি পাশে না থাকে একা দাঁড়িয়ে লড়াই করব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেত্রী হয়ে এই এলাকার মানুষের সুরক্ষার দায়িত্ব নিয়েছি । আর কোনও অশান্তি করতে দেব না । কারণ শুভেন্দু অধিকারীর কোনও ভরসা নেই । যখন তিনি তৃণমূলে ছিলেন, মন্ত্রীত্ব ভোগ করেছেন । অনেক কিছু করে নিয়েছেন তার পরে বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খারাপ । এখন বলছে মোদি ভালো । সবকিছু পেয়ে যাবার পর তখন বলবে মোদি ভালো না । তখন বলবে অন্য কেউ ভালো । তাদের কথায় যাবেন না ।"
প্রসঙ্গত, 30 জানুয়ারি লালগড় থেকে নেতাই পর্যন্ত পদযাত্রা করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । তারপর নেতাইয়ের শহিদ বেদিতে শহিদ তর্পণ করে তার পাশেই পথসভা করেন তিনি ৷ সেই পথসভা থেকে তিনি বীরবাহা হাঁসদার নাম না করেই তাকে 'হালি' নেতা বলে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু । সেই প্রসঙ্গ টেনে বীরবাহা হাঁসদা একদিন বলেন ,"হালি নেত্রী, হালি নেতাটাকে সবাই বুঝতে পারছেন । সবার কাছে বলতে চাই এই হালি নেত্রীটাই দেড় বছরে সবার কাছে ক্ষমতা দেখিয়েছে ৷ আপনাকে দেড় বছরে লালগড়ে ঢুকতে দেয়নি । দেড় বছরে আপনার যদি এই অবস্থা করি তাহলে আপনি বুঝে গিয়েছেন আগামী দিনে কী অবস্থা করব । এই হালি নেত্রীর ক্ষমতাটা আপনি বুঝেছেন তাই জঙ্গলমহলে ঢুকতে গেলেই এই হালি নেত্রীর কুৎসাটা আপনাকে করতেই হয় । উনি পরশু দিন আসবেন আমি খবর নিচ্ছিলাম । কোথাও কেউ কিছু বলছিল না । বিজেপি প্রকাশ্যে বলছিল না যে শুভেন্দু আসছে । যদি জানতাম শুভেন্দু নেতাই আসছে । তবে একা দাঁড়িয়ে লড়তাম । এই এলাকায় তাকে ঢুকতে দিতাম না । কারণ আপনার মত গদ্দারকে এই এলাকায় ঢুকতে দিয়ে অশান্ত করতে চাই না ।"
আরও পড়ুন : মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার বাড়িতে পরবে তৈরি হচ্ছে মাংসপিঠে