ময়নাগুড়ি (জলপাইগুড়ি), 10 সেপ্টেম্বর: গাড়ি চালানো শিখতে গিয়ে বালককে পিষে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে ৷ ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি শহরের দেবীনগর এলাকায় ৷ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা ঘাতক গাড়িটিকে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ ৷ এমনকি পুলিশের বিরুদ্ধেও দেরিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর অভিযোগ উঠেছে ৷ জানা গিয়েছে, ঘটনায় অভিযুক্ত অমিতাভ ঘোষ দুর্ঘটনার পর 12 বছরের শুভজিৎ রায়কে হাসপাতালে নিয়ে যান ৷ তবে, তাকে বাঁচানো যায়নি ৷ পুলিশ গাড়িটিকে আটক করলেও, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি ৷
ময়নাগুড়ির দেবীনগরের বাসিন্দা সুকুমার রায়ের ছেলে শুভজিৎ ৷ সে আজ সকালে সাইকেল নিয়ে বাড়ির কাছেই দোকানে গিয়েছিল ৷ দোকান থেকে ফেরার পথে জল খাওয়ার জন্য রাস্তার পাশে দাঁড়িয়েছিল শুভজিৎ ৷ সেই সময় ময়নাগুড়ি বেসিক স্কুলের মাঠে একটি পণ্যবাহী গাড়িতে ড্রাইভিং শিখছিলেন অমিতাভ ঘোষ ৷ অভিযোগ সেই সময় তিনি গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে শুভজিৎকে ধাক্কা মারেন ৷ ঘটনার পর অমিতাভ ঘোষ নিজেই বাচ্চাটিকে উদ্ধার করে ময়নাগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে যান ৷ সেখান থেকে তাকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয় ৷
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে ওই বালককে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন ৷ অন্যদিকে, এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে ঘটনাস্থলে দেরিতে পৌঁছানোর অভিযোগ উঠেছে ৷ আর তার জেরে উত্তেজিত জনতা ঘাতক গাড়িটিতে ভাঙচুর চালায় ৷ সেটিতে আগুন ধরিয়ে দেয় ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ময়নাগুড়ি ফায়ার স্টেশন থেকে দমকলের ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নেভায় ৷ পুলিশ এই ঘটনায় পণ্যবাহী ঘাতক গাড়িটিকে হেফাজতে নিয়েছে ৷
আরও পড়ুন: হলদিয়ায় বেপরোয়া লরির ধাক্কার মৃত মহিলা-সহ 2, জখম 8
তবে, এই ঘটনায় অভিযুক্ত অমিতাভ ঘোষকে গ্রেফতার করা হয়নি ৷ পুলিশ জানিয়েছে, মৃত বালকের পরিবারের তরফে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি ৷ পাশাপাশি, অভিযুক্ত অমিতাভ ঘোষ এই মুহূর্তে হাসপাতালে মৃত শুভজিৎ রায়ের সঙ্গে রয়েছে ৷ পরিবারের সদস্যরাও রয়েছেন সেখানে ৷ ফলে এখনই পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি ৷ পরিবারের তরফে কোনও অভিযোগ দায়ের হলে, দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ ৷ তবে, পুলিশের দাবি তারা নিজেদের মতো করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ৷
কিন্তু, এই ঘটনায় শুভজিৎ রায়ের ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশকে দেহ নিজেদের হেফাজতে নিতে হবে ৷ সেক্ষেত্রে কীভাবে অমিতাভ ঘোষ মৃত বাচ্চাটির দেহের সঙ্গে হাসপাতালে থাকতে পারেন ? আর পুলিশই বা কেন স্বতঃপ্রণোদিতভাবে গাড়ি দুর্ঘটনার মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করছে না ? এমন একাধিক প্রশ্ন তুলেছে স্থানীয়রা ৷