জলপাইগুড়ি, 16 ডিসেম্বর: প্রশ্নপত্রের ছবি তুললেই জানা যাবে ছবিটি কে তুলেছে ? কোন স্কুলের কোন ছাত্রের কাছ থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে সেটাও জানা যাবে অবিলম্বে। প্রশ্নপত্র ফাঁস রুখতে এমনই অভিনব উদ্যোগ নিল মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদ। এই উদ্যোগ রাজ্যে প্রথমবার নেওয়া হচ্ছে বলে জানালেন পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়। শুক্রবার এই বিযয়ে জলপাইগুড়িতে পর্ষদ সভাপতির নেতৃত্বে একটি বৈঠক হয় ৷
এই প্রথম পর্ষদের পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রের সিরিয়াল নম্বর রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি থাকছে জলছবিও। প্রশ্নপত্রের ছবি তুললেই জলছবি দেখেই অ্যাপের মাধ্যমে বের করা যাবে কোন সিরিয়াল নম্বর থেকে প্রশ্নটির ছবি তোলা হয়েছে। মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ নতুন নয়। সেই অভিযোগ এড়াতে এবং কোথা থেকে ফাঁস হল তা জানার জন্যই অভিনব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি প্রশ্ন পত্রের উপরে নির্দিষ্ট একটা নম্বর থাকবে।
তাতে কোনও প্রশ্নপত্রের ছবি কেউ তুলে পাঠালে, কত নম্বর প্রশ্নপত্র বাইরে ফাঁস হল তা যেমন জানা যাবে, তেমনি সংখ্যা দেখে চিহ্নিতকরণ করা যাবে প্রশ্নপত্রটি কাকে দেওয়া হয়েছিল। শুক্রবার জলপাইগুড়িতে এসে এমনটাই জানালেন, রাজ্য মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন জলপাইগুড়ি জেলাশাসকের দফতরে একটি বৈঠক হয়। তাতে সুষ্ঠুভাবে মাধ্যমিক পরীক্ষা করানোর জন্য সংশ্লিষ্ট দফতর গুলো যেমন জেলার শিক্ষা দফতরের জেলা পরিদর্শক, অতিরিক্ত জেলাশাসক, বিদ্যুৎ দফতর-সহ জেলার বিভিন্ন দফতরের সঙ্গে আলোচনা করেন পর্ষদ সভাপতি।
গতবার মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময় হাতির হানায় টাকিমারির এক মাধ্যমিক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছিল। এবার যাতে এমন কোনও ঘটনা না-ঘটে তার জন্য আগাম ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন পর্ষদ সভাপতি। পাশাপাশি প্রত্যন্ত এলাকা, জঙ্গল সংলগ্ন এলাকার ছাত্রদের পরীক্ষা পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছনোর জন্য কোথা থেকে তাদের গাড়িতে তোলা হবে, তারও ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয় এদিন। গতকাল সদর বালিকা বিদ্যালয়ের এক ছাত্রী মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার ফর্ম ফিল-আপ করতে পারেনি। পর্ষদ সভাপতি সেই ছাত্রীকে ফর্ম ফিল আপ করানোর ব্যবস্থা করেন। মাধ্যমিক পরীক্ষা যাতে শান্তিপূর্ণভাবে হয়, সেই সমস্ত ব্যবস্থার জন্য নির্দেশ দিয়ে গিয়েছেন সভাপতি।
আরও পড়ুন: