ধূপগুড়ি, 22 অক্টোবর : অসময়ের বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি ধানজমিতে । বৃহস্পতিবার সকালে বৃষ্টি কমতেই ধূপগুড়ি ব্লকের বারোঘরিয়া, ঝাল আলতাগ্রাম 1 ও 2 নং গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা-সহ সমগ্র ব্লকের বিভিন্ন জায়গায় এই চিত্রই ধরা পড়ল ৷ ক্ষতিগ্রস্ত বিঘার পর বিঘা ধানজমি । জেলার বিভিন্ন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করলেও চাষের জমিতে এখনও দাঁড়িয়ে জল । পাকা ধানগাছ-সহ গোটা জমিই জলের নিচে । যার ফলে ক্ষতির মুখে এলাকার কৃষকরা ।
কোথাও পাকা ধান মাটিতে লুটিয়ে রয়েছে তো কোথাও আবার ধান গাছের গোড়ায় জল জমে তাতে পচন ধরতে শুরু করেছে । ধান মাড়াইয়ের জন্য গাছ কেটে জমিতে রাখার ফলে তাও ডুবেছে হাঁটু জলে । মূলত এটা ধানকাটারই সময় । তবে এভাবে বৃষ্টি আর ঝোড়ো হাওয়ার দাপটে সব ধানগাছ পড়ে যাওয়ায় অধিকাংশ ধানই নষ্ট হয়ে যাবে বলে আশঙ্কায় চাষিরা । ব্লক কৃষি অধিকর্তার দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ধূপগুড়ি ব্লকে প্রায় 21 হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়ে থাকে । যার মধ্যে প্রায় তিন হাজার হেক্টর জমির ধান ক্ষতির মুখে ।
আরও পড়ুন : Bankura Cultivation : টানা বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত চাষের জমি, মাথায় হাত সোনামুখীর চাষিদের
এই বিষয়ে বারোঘরিয়া এলাকার চাষি প্রফুল্ল রায় বলেন, "ছয় বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছিলাম । কিন্তু দুদিনের বৃষ্টিতে প্রায় তিন বিঘা জমির ধান নষ্ট হওয়ার পথে ৷ গাছের গোড়ায় জল জমে তাতে পচন ধরেছে । সেই গাছ থেকে এখন ধান বের করা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে ।"
খুরদুশ আলি নামে এক কৃষক জানান, প্রায় তিন বিঘা জমির ধান কেটে রাখা অবস্থাতেই জমিতে জল দাঁড়িয়ে যায় । এতে ধানে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে । প্রচুর আর্থিক ক্ষতিও হয়েছে । আগামীতে কীভাবে চাষবাস করবেন তা নিয়ে আশঙ্কায় দিন গুনছেন । যদি কোনও সরকারি সাহায্য মেলে তার আশায় দিন গুনছেন ।
ব্লক কৃষি অধিকর্তা তিলক বর্মন জানান, বিষয়টি নিয়ে কৃষি প্রযুক্তি সহায়ক এবং সার্ভে করতে আসা বিভিন্ন এজেন্সিরা যৌথভাবে জমিগুলি পরিদর্শন করছেন ।এই মুহূর্তে ফসল বিমা যোজনা অনুযায়ী তাঁরা যদি আওতায় আসে তাহলে ক্ষতিপূরণ পাবে । এছাড়াও একটি রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে । যদি কোনও নির্দেশিকা আসে তাহলে অবশ্যই দেখা হবে । যে সমস্ত ফসল এখনও কাটা হয়নি সেগুলিতে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হবে গাছে ছত্রাকনাশক স্প্রে করার ৷ তাতে ধান গাছ বাঁচবে এবং চাষিরা লাভবান হবেন ৷
আরও পড়ুন : Cultivation in Sundarban : জলে ভাসমান ভেলাতেই হবে চাষ, সুন্দরবনে দিশা দেখাচ্ছে এক সংস্থা