ETV Bharat / state

স্মার্ট ফোন নেই, টিকাকরণে ব্রাত্য জলপাইগুড়ির গ্রাম থেকে চা বাগান

স্মার্ট ফোন না থাকায় অ্য়াপ ডাউনলোড করে করোনার টিকা পাওয়ার জন্য নাম নথিভুক্ত করাতে পারছেন না জলপাইগুড়ির গ্রামীণ এবং চা বাগান এলাকার মানুষ ৷ তাঁরা চাইছেন টিকাকরণের প্রক্রিয়া সরল করা হোক ৷ গ্রামে গ্রামে শিবির তৈরি করে দেওয়া হোক করোনার টিকা ৷

vaccination problem due to smart phone unavailability in rural Jalpaiguri
স্মার্ট ফোন নেই, টিকাকরণে ব্রাত্য জলপাইগুড়ির গ্রাম থেকে চা বাগান
author img

By

Published : Jun 8, 2021, 3:53 PM IST

Updated : Jun 8, 2021, 5:34 PM IST

জলপাইগুড়ি, 8 জুন : স্মার্টফোন নেই ৷ তাই করোনার টিকা নেওয়ার জন্য নাম নথিভুক্ত করাতে পারছেন না গ্রাম-গঞ্জের বহু মানুষ ৷ একই কারণে বিপাকে পড়েছেন চা বাগানের হতদরিদ্র শ্রমিকরাও ৷ তাঁরা চাইছেন, টিকাকরণের প্রক্রিয়া আরও সহজ করুক সরকার ৷ গ্রামের স্কুল বা অন্য কোথাও শিবির তৈরি করে দেওয়া হোক করোনার টিকা ৷ এমনটাই দাবি জলপাইগুড়ির চা বাগান এবং গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দাদের ৷

জলপাইগুড়িতে জানুয়ারি মাসের 13 তারিখ থেকে করোনার টিকাকরণ শুরু করেছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর ৷ গত কয়েক মাসে 2 লাখের কিছু বেশি মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে ৷ বস্তুত, টিকাকরণের নিরিখে জলপাইগুড়ি জেলা রাজ্যে তৃতীয় ৷ 2011 সালের জনগণনা অনুযায়ী, জলপাইগুড়ি জেলার মোট জনসংখ্যা 23 লাখ 81 হাজার 596 ৷ 2021 সালে নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় মোট ভোটার 18 লাখ 32 হাজার 938 জন।

এর মধ্যে মাত্র 2 লাখের কিছু বেশি মানুষকে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে ৷ পৌর এলাকাগুলিতে টিকাকরণ ভালোভাবে চললেও গ্রামাঞ্চলে সেই তুলনায় কাজের গতি অত্যন্ত শ্লথ বলে অভিযোগ ৷ জেলায় 80টি গ্রামপঞ্চায়েত, 29টি বনাঞ্চল এবং শতাধিক চা বাগান থাকলেও এর মধ্যে মাত্র 15টি এলাকায় টিকাকরণ শুরু হয়েছে ৷ তার উপর টিকার ভাণ্ডার পর্যাপ্ত না থাকায় এই এলাকাগুলিতে প্রতিদিন টিকাকরণ হচ্ছেও না ৷

চা বাগানের শ্রমিকদের অবস্থা সবথেকে খারাপ ৷ তাঁদের দৈনিক মজুরি মাত্র 202 টাকা মজুরি ৷ তাতে সংসার চালানোই দায় ৷ তাই স্মার্ট ফোন কেনার কথা স্বপ্নেও ভাবতে পারেন না তাঁরা ৷ তার উপর অ্য়াপ ডাউনলোড করে সেখানে নাম নথিভুক্ত করার পদ্ধতিও এই মানুষগুলোর পক্ষে অত্যন্ত কঠিন ৷

শহরাঞ্চলে, বিশেষ করে মালবাজার, জলপাইগুড়ি (সদর) ও ধূপগুড়ি, এই তিনটি পৌরসভার পাশাপাশি ব্লকের সদরগুলিতেও টিকাকরণের কাজ চলছে পুরোদমে ৷ কিন্তু, গ্রামাঞ্চলের মানুষ সেই তুলনায় টিকা পাচ্ছেন না ৷ জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ি জেলায় শিক্ষিতের হার 74 % ৷ ফলে বাকি 26 % মানুষের পক্ষে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশনের প্রক্রিয়া কার্যত অসম্ভব ৷

টিকাকরণে ব্রাত্য জলপাইগুড়ির গ্রাম থেকে চা বাগান

আরও পড়ুন : COVID 19 Vaccination Drive : কোচবিহারে বৃহন্নলাদের টিকাকরণ

এই অবস্থায় বাবুলাল বসাক, খোকন পাইন, মজনু মহম্মদরা জানান, তাঁরা দিন আনা, দিন খাওয়া মানুষ ৷ টিকা পাওয়ার জন্য স্মার্ট ফোন কেনা তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয় ৷ টিকা জরুরি হলেও এক্ষেত্রে কিছু করার নেই তাঁদের ৷ বদলে সরকারই যদি গোটা প্রক্রিয়াটিকে সরল করে গ্রামে গ্রামে টিকা নিয়ে পৌঁছে যায়, তো ভালো হয় ৷ সহমত স্মার্ট ফোন না থাকা সঞ্জীব ঘোষ, সৌরভ সরকার, শ্যামল বিশ্বাসরাও ৷

জলপাইগুড়ি, 8 জুন : স্মার্টফোন নেই ৷ তাই করোনার টিকা নেওয়ার জন্য নাম নথিভুক্ত করাতে পারছেন না গ্রাম-গঞ্জের বহু মানুষ ৷ একই কারণে বিপাকে পড়েছেন চা বাগানের হতদরিদ্র শ্রমিকরাও ৷ তাঁরা চাইছেন, টিকাকরণের প্রক্রিয়া আরও সহজ করুক সরকার ৷ গ্রামের স্কুল বা অন্য কোথাও শিবির তৈরি করে দেওয়া হোক করোনার টিকা ৷ এমনটাই দাবি জলপাইগুড়ির চা বাগান এবং গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দাদের ৷

জলপাইগুড়িতে জানুয়ারি মাসের 13 তারিখ থেকে করোনার টিকাকরণ শুরু করেছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর ৷ গত কয়েক মাসে 2 লাখের কিছু বেশি মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে ৷ বস্তুত, টিকাকরণের নিরিখে জলপাইগুড়ি জেলা রাজ্যে তৃতীয় ৷ 2011 সালের জনগণনা অনুযায়ী, জলপাইগুড়ি জেলার মোট জনসংখ্যা 23 লাখ 81 হাজার 596 ৷ 2021 সালে নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় মোট ভোটার 18 লাখ 32 হাজার 938 জন।

এর মধ্যে মাত্র 2 লাখের কিছু বেশি মানুষকে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে ৷ পৌর এলাকাগুলিতে টিকাকরণ ভালোভাবে চললেও গ্রামাঞ্চলে সেই তুলনায় কাজের গতি অত্যন্ত শ্লথ বলে অভিযোগ ৷ জেলায় 80টি গ্রামপঞ্চায়েত, 29টি বনাঞ্চল এবং শতাধিক চা বাগান থাকলেও এর মধ্যে মাত্র 15টি এলাকায় টিকাকরণ শুরু হয়েছে ৷ তার উপর টিকার ভাণ্ডার পর্যাপ্ত না থাকায় এই এলাকাগুলিতে প্রতিদিন টিকাকরণ হচ্ছেও না ৷

চা বাগানের শ্রমিকদের অবস্থা সবথেকে খারাপ ৷ তাঁদের দৈনিক মজুরি মাত্র 202 টাকা মজুরি ৷ তাতে সংসার চালানোই দায় ৷ তাই স্মার্ট ফোন কেনার কথা স্বপ্নেও ভাবতে পারেন না তাঁরা ৷ তার উপর অ্য়াপ ডাউনলোড করে সেখানে নাম নথিভুক্ত করার পদ্ধতিও এই মানুষগুলোর পক্ষে অত্যন্ত কঠিন ৷

শহরাঞ্চলে, বিশেষ করে মালবাজার, জলপাইগুড়ি (সদর) ও ধূপগুড়ি, এই তিনটি পৌরসভার পাশাপাশি ব্লকের সদরগুলিতেও টিকাকরণের কাজ চলছে পুরোদমে ৷ কিন্তু, গ্রামাঞ্চলের মানুষ সেই তুলনায় টিকা পাচ্ছেন না ৷ জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ি জেলায় শিক্ষিতের হার 74 % ৷ ফলে বাকি 26 % মানুষের পক্ষে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশনের প্রক্রিয়া কার্যত অসম্ভব ৷

টিকাকরণে ব্রাত্য জলপাইগুড়ির গ্রাম থেকে চা বাগান

আরও পড়ুন : COVID 19 Vaccination Drive : কোচবিহারে বৃহন্নলাদের টিকাকরণ

এই অবস্থায় বাবুলাল বসাক, খোকন পাইন, মজনু মহম্মদরা জানান, তাঁরা দিন আনা, দিন খাওয়া মানুষ ৷ টিকা পাওয়ার জন্য স্মার্ট ফোন কেনা তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয় ৷ টিকা জরুরি হলেও এক্ষেত্রে কিছু করার নেই তাঁদের ৷ বদলে সরকারই যদি গোটা প্রক্রিয়াটিকে সরল করে গ্রামে গ্রামে টিকা নিয়ে পৌঁছে যায়, তো ভালো হয় ৷ সহমত স্মার্ট ফোন না থাকা সঞ্জীব ঘোষ, সৌরভ সরকার, শ্যামল বিশ্বাসরাও ৷

Last Updated : Jun 8, 2021, 5:34 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.