জলপাইগুড়ি, 10 সেপ্টেম্বর : জলপাইগুড়িতে পরপর দু'দিনে একই পরিবারের দুই বৃদ্ধের মৃত্যু । একজন মারা যান 8 সেপ্টেম্বর । বয়স সত্তরের আশেপাশে । অন্যজন কোরোনায় আক্রান্ত হয়ে 5 সেপ্টেম্বর থেকে জলপাইগুড়ির রানিনগরের সরকারি সেফ হোমে ছিলেন । গতরাতে মৃত্যু হয় 62 বছরের ওই কোরোনা আক্রান্তের । যদিও প্রথম জনের কোরোনা পরীক্ষা করা হয়নি । ওই পরিবারেরই অন্য এক সদস্যও 5 সেপ্টেম্বর থেকে রানিনগরের সেফ হোমে রয়েছেন ।
পরপর দু'দিনে একই পরিবারের দুই সদস্যের মৃত্যুতে এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে । এদিকে ঘটনায় চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন জলপাইগুড়ি পৌরসভার 24 নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর অম্লান মুন্সি ।
গতকাল সন্ধে থেকেই কোরোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত ওই বৃদ্ধের বুকে ব্যাথা ও শ্বাসকষ্ট শুরু হয় । চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে তাঁকে জলপাইগুড়ি বিশ্ববাংলা ক্রীড়াঙ্গনে স্থানান্তরিত করা হয় । স্থানান্তরিত করার সময় পথেই ওই কোরেনা আক্রান্তের মৃত্যু হয় বলে জানান জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের সুপার গয়ারাম নস্কর । তিনি বলেন, “কী কারনে তাঁর মৃত্যু হল তা বলা মুশকিল । তবে ওই এলাকায় কোভিড টেস্ট ও ব়্য়াপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করানো হবে। ”
আরও পড়ুন : বিশ্বে একদিনে কোরোনায় আক্রান্ত 2 লাখ 99 হাজার 914
অন্যদিকে 24 নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর ও তথা পৌরসভার কো-অর্ডিনেটর অম্লান মুন্সির অভিযোগ, চিকিৎসায় গাফিলতির কারনেই মৃত্যু হয়েছে কোরোনা আক্রান্ত ওই রোগীর । রোগীকে সঠিক সময়ে অক্সিজেন দেওয়া হলে তিনি বেঁচে যেতেন বলেও মনে করছেন তিনি ।
এদিকে ওই কোরোনা আক্রান্ত যে এলাকার বাসিন্দা, সেখানে এর আগেও দু'জন কোরোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছিলেন । এবার এই কোরোনা আক্রান্ত ও তাঁর পরিবারের এক সদস্যের মৃত্যতে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে এলাকায় ।
আরও পড়ুন : রাজ্যে কোরোনায় মৃত্যু 32 বছরের চিকিৎসকের