জলপাইগুড়ি, 30 অগস্ট: যাঁরা পাহাড় ভালোবাসেন এবং চিরাচরিত পাহাড়ি গন্তব্যের বাইরে ভিন্ন স্বাদ খুঁজে বেড়ান, তাঁদের কাছে অফবিট ডেস্টিনেশন হিসেবে পরিচিতি পেতে পারে ডুয়ার্স সংলগ্ন বিভিন্ন জায়গা ৷ ডুয়ার্সে ঘুরতে এলে কেউ লাভা যাবেন না, এটা হতেই পারে না। ডুয়ার্সের সঙ্গে লাভা-লোলেগাঁওয়ের যোগটা যেন একটা আত্মিক ব্যপার। 'লাভা' নামটা শুনলেই শীতকালের ঘন কুয়াশায় ঘেরা কনকনে ঠান্ডা এবং হাতের কাছে মেঘেদের আনাগোনার ছবি ভেসে আসে। তাই নির্জনতায় পুজোর কয়েকটা দিন কাটিয়ে নিজেকে রিফ্রেশ করতে ঢুঁ মারতেই পারেন এখানে...
- এবার পুজোয় যাবেন নাকি লাভায়?
কালিম্পং জেলার ছোট্ট জনপদ লাভা। ডুয়ার্স থেকে লাভা ঘুরতে যাওয়াটা খুবই সহজ। ডুয়ার্সের মালবাজার থেকে লাভার দূরত্ব 56 কিলোমিটার। মালবাজার শহর থেকে চা বাগান ঘেরা রাস্তা দিয়ে পাহাড়ি এলাকায় প্রবেশ। পাহাড়ের আঁকাবাঁকা পথ দিয়েই যেতে হয় লাভা। ছোট থেকে বড় সব রকমের গাড়িই যাতায়াত করে লাভা যাওয়ার পাহাড়ি রাস্তায়। রাস্তা ভালো থাকার কারণে সহজেই নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছে যাওয়া যায়।
পাহাড়ি রাস্তার মাঝেই দেখা যায় ভিউ পয়েন্ট অ্যামবিওক। সেখানকার নামের ফলক ঘিরে ফটো তোলার হিড়িক লক্ষ্য করা যায় পাহাড়ে ঘুরতে যাওয়া সাধারণ মানুষের মধ্যে। তার পাশেই রয়েছে একটি ছোট্ট বিশ্রামের জায়গা। অ্যামবিওক থেকে আকাশের দিকে তাকালে দেখা যায় মেঘ আর বেশি দূরে নেই। সেখান থেকে পাহাড়ি রাস্তার পথ ধরে যত উপরে উঠতে হয় আর সেখান থেকে নীচে তাকালেই দেখা যায় বিশালাকার পাথর ও নদী।
- কী কী দেখবেন?
লাভা ভিউ পয়েন্ট, লাভা থেকে রিসপ যাওয়া খুবই সহজ। সেখানে রয়েছে লাভা মনেস্ট্রি। পাহাড়ের এক উঁচু টিলায় দাঁড়িয়ে চোখের সামনে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার একটা আলাদা অনুভূতি।
- কীভাবে যাবেন?
এনজেপি স্টেশনে নেমে সেখান থেকে ছোট গাড়িতে করে মালবাজার। মালবাজার থেকে বাঁ-দিকের চা বাগান ঘেরা জায়গা দিয়ে যেতে হবে। তারপর সেখান থেকে ডান দিকে কিছুটা এগিয়ে যেতেই পাহাড়ি রাস্তা শুরু হয়। সেটিই লাভা যাওয়ার সঠিক পথ।
- কোথায় থাকবেন?
কালিম্পং জেলার লাভা ভিউ পয়েন্টের কিছুটা আগেই রয়েছে একটি ছোট বাজার। সেখানে রয়েছে সব ধরনের দোকানপাট ও ছোট-বড় হোটেল ও হোম-স্টে। হোটেল ভাড়া মাথা পিছু কমবেশি 700 টাকার মধ্যে। খাওয়ার সব ধরনের পাওয়া যায়। হোটেলের ভিতর থেকেই পাহাড়ের অপরূপ সৌন্দর্য দেখা যায়। খাওয়া খরচ জন প্রতি 400-600 টাকা।
আরও পড়ুন: পাহাড় ভালোবাসেন ? তাহলে এবার পুজোয় আপনার গন্তব্য হোক দার্জিলিং কিংবা সিকিম