জলপাইগুড়ি, 22 নভেম্বর: জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারের সাংসদ তাদের লোকসভা কেন্দ্রে একটি ইটও পোঁতেননি । যদি দেখাতে পারেন তাহলে রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নেব । জল্পেশ মেলার মাঠে কিষাণ ক্ষেত মজদুর তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েতি রাজ সম্মেলনে গিয়ে এমনই চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী (Sourav Chakraborty) । পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এমন কিষান ক্ষেতমজুর তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) এই পঞ্চায়েতি রাজ সম্মেলন করাটা প্রাসঙ্গিক বলে জানান জেলা তৃণমূল সভাপতি (TMC Meeting in Jalpaiguri) ।
অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসের জেলার প্রাক্তন জেলা সভাপতি চন্দন ভৌমিক বলেন, "আমাদের তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত স্তরে নেতাদের যোগাযোগ নেই । সবাই নেতাদের পিছন পিছন ঘুরে বেড়ান । পঞ্চায়েতে জিততে হলে সবাইকে মানুষের কাছে পৌঁছতে হবে । আমাদের ময়নাগুড়ি বিধানসভায় আমরা ভালো জায়গায় ছিলাম । কিন্তু আমাদের কিছু মানুষের গদ্দারির জন্য আমরা হেরেছি । তাদের চিহ্নিতকরণ করতে হবে । বুথ লেভেলে আমাদের কাজ করতে হবে ।"
আরও পড়ুন: নিশীথের নামে 'চোর ধরো, জেল ভরো' ব্যানার, তৃণমূল-বিজেপি তরজা তুঙ্গে
এদিন জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি মহুয়া গোপ বলেন, "বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বারলা ও নিশীথ প্রামানিকের গ্রেফতারের দাবিতে জেলা জুড়ে প্রচারের দাবিতে আন্দোলনে নামতে চলেছে জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল কংগ্রেস ।"
এদিন জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি জানান, অখিল গিরি একটা খারাপ কথা বলেছিল বলে মুখ্যমন্ত্রী ক্ষমা চেয়েছিলেন । তা নিয়ে বিজেপি রাস্তায় নেমেছিল এবার আমরা জন বারলা ও নিশীথ প্রামানিককে গ্রেফতারের দাবিতে রাস্তায় নামব । আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের শক্তি বৃদ্ধিতে সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে চলার দাওয়াই দিলেন জেলা নেতারা । এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি দুলাল দেবনাথ, প্রাক্তন সাংসদ বিজয় চন্দ্র বর্মন, অনন্তদেব অধিকারী, চন্দন ভৌমিক ।
আরও পড়ুন: তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে বসিরহাটে ধুন্ধুমার, গুলিবিদ্ধ কনস্টেবল; গ্রেফতার 41