জলপাইগুড়ি, ২ এপ্রিল : যে অঞ্চলে দলের ফল সবথেকে ভালো হবে, সেখানকার নেতাদের পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হবে একটি বাইক। কর্মীসভায় এই ঘোষণা করলেন তৃণমূলের জলপাইগুড়ি সদর ব্লক ২-এর সভাপতি নিতাই কর।
জলপাইগুড়ির আসাম মোড়ের কাছে তৃণমূলের সদর ব্লক ২-এর অফিস। এই কার্যালয়েই আয়োজন করা হয়েছিল কর্মীসভার। ছিলেন জলপাইগুড়ির তৃণমূল প্রার্থী বিজয়চন্দ্র বর্মণ, রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায় সহ অন্য নেতা-নেত্রীরা।
কর্মীসভায় বক্তব্য রাখার সময় নিতাইবাবু বলেন, "জলপাইগুড়ি সাংগঠনিক সদর ব্লক ২-এ ছটি অঞ্চল(অরবিন্দ, বাহাদুর, বেলাকোবা, পাতকাটা, পাহাড়পুর ও বারোপোটিয়া) রয়েছে। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচন, ২০১৬-র বিধানসভা এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনেও এই ছটি অঞ্চল ভালো ফল করেছে। কিন্তু, এবারের লোকসভা নির্বাচনে এই ছটি অঞ্চলের মধ্যে যে অঞ্চল সবচেয়ে বেশি মার্জিনে আমাদের প্রার্থীকে জেতাবে, সেই অঞ্চলকে একটি মোটরবাইক দেওয়া হবে। তা ছাড়া যে বুথ সবচেয়ে বেশি মার্জিনে প্রার্থীকে জেতাবে সেই বুথ সভাপতিকেও ভালো উপহার দেওয়া হবে।"
এ প্রসঙ্গে তৃণমূল প্রার্থী বিজয়চন্দ্র বর্মণ বলেন, "কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ বাড়ানোর জন্যই এই প্রতিযোগিতা।"
জেলাশাসক তথা জলপাইগুড়ি জেলা নির্বাচন আধিকারিক শিল্পা গৌরিসারিয়া বলেন, "নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী কেউ এই ধরনের প্রতিশ্রুতি দিতে পারেন না। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।"
এর আগেও দলীয় কর্মীদের উজ্জীবিত করতে পুরস্কারের কথা ঘোষণা করেছেন অনেকেই। তৃণমূল নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি ঘোষণা করেছিলেন, "যে ওয়ার্ড পাঁচ হাজার লিড দিতে পারবে তারা এক কোটি টাকার অতিরিক্ত কাজ পাবে।" তাঁর এই ঘোষণাকে কেন্দ্র করে শুরু হয় বিতর্ক। তবে শুধু জিতেন্দ্র তিওয়ারি নন, এই তালিকায় রয়েছেন ফিরহাদ হাকিম, রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও অনুব্রত মণ্ডলও।
শুধু পশ্চিমবঙ্গই নয়, দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে এই পুরস্কার দেওয়ার চল অনেক পুরোনো। এই সারিতে উপরের দিকে রয়েছে তামিলনাড়ু। লিড বেশি হলে বেশি হয় উপহারের বহরও।