জলপাইগুড়ি, 29 জুন : জলপাইগুড়ি পৌরসভার তৃণমূল পরিচালিত পৌরবোর্ড অবৈধভাবে বিল্ডিং প্ল্যান অনুমোদন করেছে । এই অভিযোগ করলেন প্রশাসক বোর্ডের সদস্য সৈকত চট্টোপাধ্যায় । পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান মোহন বোস অবৈধভাবে এই অনুমোদন দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেন তিনি । এই বিষয়ে তদন্তের দাবি করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানান ।
পৌরবোর্ডের বর্তমান প্রশাসকমণ্ডলীতে যে পাঁচজন আছেন, তাঁরাই ছিলেন বিদায়ি পৌরবোর্ডে ৷ বর্তমান প্রশাসক বোর্ডের প্রশাসক পদে রয়েছেন পাপিয়া পাল এবং প্রশাসক বোর্ডের সদস্য রয়েছেন সন্দীপ মাহাত ও সৈকত চট্টোপাধ্যায় । বিদায়ী বোর্ডে পাপিয়া পাল ভাইস চেয়ারম্যান পদে, চেয়ারম্যান-ইন-কাউন্সিল (বিল্ডিং) পদের দায়িত্বে ছিলেন সন্দীপ মাহাত ও বিল্ডিং কমিটির এক গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন সৈকত চট্টোপাধ্যায়ও ।
আজ সৈকত চট্টোপাধ্যায় আগের বোর্ডের কাজ কর্ম নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ৷ তাঁর অভিযোগ, 16 মে বেশ কিছু বিল্ডিং প্ল্যান পাস হয়েছে । তার মধ্যেই BJP-র পার্টি অফিসের বিল্ডিং প্ল্যান পাস করা হয়েছিল । তিনি বলেন, "বিল্ডিং প্ল্যান বেশ কিছু পদ্ধতি মেনে পাস করতে হয় কিন্তু সেটা হয়নি । তাই আমরা রাজ্য সরকারের দ্বারস্থ হয়েছি । যাতে সব প্ল্যানগুলো ফের খতিয়ে দেখা হয় তার দাবি করেছি । মোহন বোস যেভাবে জেলা সভাপতিকে কটাক্ষ করেছেন তা মেনে নেওয়া যায় না । BJP চালাকির আশ্রয় নিয়ে বিল্ডিং প্ল্যান পাস করেছে ।"
ইতিমধ্যেই জলপাইগুড়ি BJP জেলা অফিসের জমিতে ওয়াকফ বোর্ডের এবং জলপাইগুড়ি পৌরসভার বিল্ডিং অবৈধভাবে পাস করেছিল এমন অভিযোগ এনে তৃণমূলের জেলা সভাপতি কিষান কল্যাণী বিতর্কের ঝড় তুলেছেন । এমন পরিস্থিতিতে BJP-ও তৃনমূল জেলা সভাপতির বক্তব্যকে চ্যালেঞ্জ করে বলেছে, তাদের জমির কাগজ রয়েছে । সরকারি সমস্ত নিয়ম মেনেই টাকা জমা করে বিল্ডিং পাস করেছেন । তৃণমূলের দম থাকলে প্ল্যান আটকে দেখাক ।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি কার্যত তৃণমূল পরিচালিত পৌরবোর্ডের চেয়ারম্যানের দিকেই আঙুল তুলেছেন । পালটা পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান মোহন বোসও জেলা সভাপতিকে আক্রমণ করেছেন ।
এদিকে BJP-র জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী বলেন, "আমরা 2002 সালে দুই ধাপে সাড়ে ছয় এবং সাড়ে তিন কাঠা করে মোট 11 কাঠা জমি কিনেছি । সেখানেই দলীয় কার্যালয় করা হবে । ওয়াকফ সম্পত্তি হলে সরকারিভাবে জমির কাগজ করা হল কেন । আমরা সাধারণ মানুষের থেকে জমি কিনেছি । তৃণমূল প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে ।" এদিকে মোহন বোস বলেন, "কেউ বিল্ডিং প্ল্যান নিয়ে এলে তা খতিয়ে দেখে তারপর পৌরসভা প্ল্যান পাস করে ৷ তার কয়েকটি পদ্ধতি আছে । সে যেই প্ল্যানে সই করুক না কেন, তাতে সমস্যা কোথায় । জমির মালিক কে তা ভূমি রাজস্ব দপ্তরে গেলেই পরিষ্কার হয়ে যায় । আসলে কিষান কল্যাণী আবোল তাবোল বকছেন ।"