জলপাইগুড়ি, 28 অক্টোবর : এশিয়াডে সোনা জয়ী স্বপ্না বর্মণের ভাইয়ের তাণ্ডবে অতিষ্ঠ জলপাইগুড়ির পাটকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘোষ পাড়ার বাসিন্দারা ৷ আজ সকালে কালীপুজোর মণ্ডপে গিয়ে প্রসাদের পাত্র ফেলে দিয়ে এক ব্যক্তিকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্বপ্না বর্মণের ভাই অসিত বর্মণের বিরুদ্ধে । অসিতের আঘাতে গুরুতর জখম নিতাই বর্মণ জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৷
আজ সকালে পাটকাটা ঘোষপাড়া জুনিয়র হাইস্কুলের মাঠে কালীপুজোর প্রসাদ বিতরণ হচ্ছিল । জখম নিতাই বর্মণের পুত্রবধূ প্রতিমা রায় বর্মণের অভিযোগ, সেই সময় হঠাৎই অসিত বর্মণ তাঁর স্বামী ভবেশ বর্মণকে মারধর শুরু করে । ছেলেকে বাঁচাতে আসেন নিমাই বর্মণ ৷ সেই সময় অসিত বাড়ি চলে যায় ৷
পরে বাড়ি থেকে এসে নিমাই বর্মণকেও আক্রমণ করে অসিত ৷ তাঁর বুকে লাথি মারে অসিত৷ পড়ে গিয়ে মাথায় চোট পান নিমাই বর্মণ ৷ অচৈতন্য ও রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ৷ সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৷ তাঁর পুত্রবধূ প্রতিমা রায় বর্মণের অভিযোগ স্বপ্না এশিয়াডে সোনা জেতার পর থেকেই অসিত বর্মণ এলাকায় অত্যাচার শুরু করেছে ৷
ঘটনার পরেই স্থানীয় তৃণমূল নেতা কৃষ্ণ দাস ও পাটকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান প্রধান হেমব্রম সালিশি সভা করতে আসেন । সভা চলাকালীম সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা সেখানে পৌঁছলে তাঁদের উপর চড়াও হন কৃষ্ণ দাস ও স্বপ্নার মা । তিনি সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন ৷ তাঁর বাড়িতে থাকা পুলিশের সিকিউরিটি গার্ড সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের ছবি মুছে ফেলতে বলেন । এদিকে স্থানীয় তৃণমূল নেতা কৃষ্ণ দাসও সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের হুমকি দেন, প্রধান হেমব্রম সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের ক্যামেরাও কেড়ে নেন ৷
স্বপ্নার মা বাসনা বর্মণ বলেন , "আমি আজ সকালে খাটালে গিয়েছিলাম । আমার ছেলে ফোন করে বলে, ওকে নিতাই বর্মণ পিটিয়েছে । এরপর আমি আমাদের সিকিউরিটির জন্য থাকা দুইজন পুলিশকে নিয়ে ঘটনাস্থানে যাই । আমার ছেলে কাউকে পেটায়নি ৷ আমার মেয়ে যাতে এই ঘটনা না জানতে পারে তাই আমি সংবাদ মাধ্যমের মোবাইল নিয়ে নিয়েছিলাম ৷ "