জলপাইগুড়ি, 5 ফেব্রুয়ারি : স্কুলের নিয়ম অনুযায়ী সঠিক জুতো পরেনি। তাই এক ছাত্রকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল জলপাইগুড়ির ফণীন্দ্রদেব স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৷ যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, প্রয়োজনে ওই ছাত্রকে জুতো কিনে দেওয়া হবে ৷
স্কুল মানেই কঠোর নিয়মের বেড়াজাল ৷ রোজ ইউনিফর্ম পরে, কাঁধে ব্যাগ নিয়ে স্কুলের পথে ছুটতে হয় পড়ুয়াদের ৷ সবার জন্য এক নিয়ম৷ তাতে ফাঁকি দেওয়ার জো নেই ৷ কিন্তু, নিয়ম পালনে একটু ভুল হয়েছিল জলপাইগুড়ির ফণীন্দ্রদেব স্কুলের ক্লাস সেভেনের এক ছাত্রের৷ স্কুলে অন্য জুতো পরে গিয়েছিল সে। বাবা পেশায় টোটোচালক ৷ অন্যের টোটো চালিয়ে রুজি-রুটি জোগাড় করেন ৷ এই পরিস্থিতিতে ছেলেকে স্কুলের জুতো কিনে দিতে পারেননি ৷ তাই পুজোয় বাবার কিনে দেওয়া অন্য একটি জুতো পরে স্কুলে গিয়েছিল ওই ছাত্র ৷ আর তাতেই তাকে স্কুল থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৷ দু’দিন পরপর এভাবে তাকে বের করে দেওয়ায়, ছাত্রের মা ও এক পরিচিত স্কুলে যান ৷ প্রধান শিক্ষককে বুঝিয়ে বলেন তাঁদের আর্থিক পরিস্থিতির কথা ৷ এমনকী মাসখানেক সময় চেয়ে নেন ছেলের নতুন জুতো কিনে দেওয়ার জন্য ৷
![Fanindradev school of Jalpaiguri](https://etvbharatimages.akamaized.net/etvbharat/prod-images/5967669_wb_student.png)
জলপাইগুড়ির একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সভাপতি নব্যেন্দু মৌলিক অভিযোগ করেন, ওদের আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ ৷ তা জেনেও কেন বের করে দেওয়া হচ্ছে জানি না ৷ সরকার থেকে যেখানে বলা হচ্ছে স্কুলছুটের সংখ্যা কমাতে, সেখানে ওই ছাত্রকে পরপর দু’দিন বের করে দেওয়া হল স্কুল থেকে ৷ এভাবে চলতে থাকলে ও এরপর স্কুলে যেতেই চাইবে না ৷
যদিও প্রধান শিক্ষক প্রকাশ কুণ্ডু বলেন, ‘‘ ক্লাস সেভেনের ওই ছাত্রের বিষয়টি আমার প্রথমে জানা ছিল না ৷ তার মা আমার সঙ্গে এসে কথা বলার পর তাঁকে দরখাস্ত দিতে বলেছি ৷ আমরা চাই, স্কুলের সব পড়ুয়া একই নিয়মের মধ্যে চলুক ৷ কিন্তু কেউ জুতো কিনতে না পারলে আমরা তাকে স্কুল থেকে বের করে দেব না ৷ অনেকের স্কুল ফি আমরা মকুব করে দিই ৷ তারাও তো স্কুলে পড়াশোনা করছে ৷ কাউকে স্কুল থেকে বের করে দেওয়ার ঘটনা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং ভুয়ো খবর ৷’’