জলপাইগুড়ি, 26 অগস্ট: বন্যপ্রাণ ও মানুষের সংঘাত এড়াতে একাধিক পরিকল্পনা নিল জেলা প্রশাসন (Jalpaiguri Special Squad)।পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ইকো সেন্সেটিভ জোন চিহ্নিতকরণের কাজও শুরু করা হল। বৃহস্পতিবার এনিয়ে একটি বৈঠক হয় জেলাশাসকের দফতরে ৷ সেখানে উপস্থিত ছিলেন চা বাগান মালিকপক্ষ থেকে শুরু করে বনবিভাগের আধিকারিকরা । ছিলেন জেলাশাসক মৌমিতা গোদারাও।
হাতির পাল তাড়াতে চা বাগানের বাসিন্দাদের নিয়েই স্কোয়াড তৈরির পরিকল্পনা হয়েছে ৷ তার জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে। এখন হাতির গতিবিধি চা বাগানের ম্যানেজমেন্ট জানতে পারছে না। তার জেরেই সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে বলে অভিযোগ চা-বাগান মালিক কর্তৃপক্ষের সম্পাদক সুমিত ঘোষের। এই বৈঠকেই জেলাশাসক জানান, চা বাগানের অনেক জায়গায় ব্লেড এবং তার দিয়ে ফেনিসিং দেওয়া রয়েছে সেগুলিও খুলে ফেলতে হবে । এছাড়া চা বাগানে স্বাস্থ্য-সহ বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ গুলো যাতে ঠিকমত হয় তা নিয়ে জেলাশাসক বনবিভাগ,স্বাস্থ্য,চা বাগান, খাদ্য দফতর-সহ বিভিন্ন দফতরের সঙ্গে নিয়ে বৈঠক হয় ৷
আরও পড়ুন: বিশ্ব হাতি দিবস পালন বেঙ্গল সাফারি পার্কে
গরুমারা জাতীয় উদ্যান ও চাপড়ামারি অভয়ারণ্য, মহানন্দা অভয়ারণ্য-এর চারপাশে যে সমস্ত কংক্রিট ও রিসর্ট বা সরকারি প্রকল্পের বাড়ি রয়েছে সেই সবকিছুতেই জিও ট্যাগিং করতে চলেছে বনবিভাগ। জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা জানান, ইকো সেন্সেটিভ জোন হিসেবে চিহ্নিত করণ করা হচ্ছে। গরুমারা জাতীয় উদ্যানের 1 কিলোমিটার, চাপড়ামারির অভয়ারণ্যের 2 কিলোমিটার ৷ ইকো সেন্সেটিভ জোনে কী কী চাষ হয় তাও তুলে ধরা হবে। আগামী 30 তারিখের মধ্যে একটা রিপোর্ট ফাইল করার শেষ তারিখ বলা হয়েছে।