ETV Bharat / state

Proxy Teacher at Jalpaiguri School: শিক্ষকতায় 'প্রক্সি' ! মায়ের বদলে ছেলে আর দাদার পরিবর্তে বোন, শো-কজ প্রধান শিক্ষিকা ও এসআইকে - জলপাইগুড়ি জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ

মা ও দাদা দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ৷ তাদের পরিবর্তে স্কুলে ক্লাস নিচ্ছেন পরিবারের সদস্যরা ৷ এও কি সম্ভব ? জলপাইগুড়ির পূর্ব গয়েরকাটা অ্যাডিশনাল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এমনটাই চলছে প্রায় একবছর ধরে (Jalpaiguri School Teaching Problem)৷

ETV Bharat
অভিযুক্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা
author img

By

Published : Feb 13, 2023, 2:30 PM IST

মায়ের বদলে ছেলে ও দাদার পরিবর্তে শিক্ষকতা করছেন বোন, এই বিষয়ে কী বললেন তাঁরা

জলপাইগুড়ি, 13 ফেব্রুয়ারি: চাকরি মায়ের ৷ কিন্তু তাঁর অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে দিব্যি সাতমাস ধরে স্কুলে মায়ের বদলে ক্লাস নিচ্ছেন ছেলে ৷ অন্যদিকে, দাদার অসুস্থতার কথা বলে দীর্ঘদিন ধরে স্কুলে দাদার হয়ে ক্লাস নিয়ে আসছেন বোন ৷ এসআইয়ের অনুমতিতেই চলছে এসব ৷ পূর্ব গয়েরকাটা অ্যাডিশনাল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা (Jalpaiguri News)। আর এই ঘটনার জেরেই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা-সহ সার্কেলের স্কুল পরিদর্শককে শোকজ করল জেলা প্রাথমিক স্কুল পরিদর্শক ।

জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাট ব্লকের পূর্ব গয়েরকাটা অ্যাডিশনাল প্রাথমিক বিদ্যালয় । এই স্কুলের শিক্ষক সুদীপ্ত কুমার দে । তিনি নাকি গত চার বছর ধরে অসুস্থ ৷ তাই তাঁর বদলে বোন রূপা দে শিক্ষিকার পদ সামলাচ্ছেন । শুধু তাই নয় । ওই স্কুলেরই আর এক শিক্ষিকা মলি পাল বোসের বদলে প্রায় সাতমাস ধরে তাঁর ছেলে প্রীতম বোস মায়ের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন । তিনিও নাকি অসুস্থ সাত মাস ৷ তাই নিজের শিক্ষকতার ভার দিয়েছেন মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিস দফতরে কর্মরত ছেলেকে ৷ দীর্ঘদিন ধরেই এই দুই শিক্ষক ও শিক্ষিকা স্কুলে আসেন না । আর তাঁদের জায়গায় স্কুলে 'প্রক্সি' দিচ্ছেন পরিবারের সদস্যরা (Proxy Teacher at Jalpaiguri School)। এমন ঘটনা চাউর হতেই চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে শিক্ষকমহলে ।

আরও পড়ুন : মর্জিমতো স্কুলে আসেন শিক্ষক, ক্লাস নেন মিড-ডে মিল রাঁধুনি

এখন প্রশ্ন উঠছে আদৌ কি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমনটা করা যায় ? কী করে একজন শিক্ষকের জায়গায় তার পরিবারের লোকেরা 'প্রক্সি' দেয় ? কী কারণে তাঁদের অনুমতি দিলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ও এসআই ? বিষয়টি নিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সঞ্চালি গাঙ্গুলি মুখোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করলে তিনি সাফ জানিয়ে দেন এসআইয়ের অনুমতি ছাড়া স্কুলের বিষয়ে কোনওরকম তথ্য তিনি বাইরে জানাতে পারবেন না ।

বিষয়টি জানার পরই জলপাইগুড়ি জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক শ্যামল রায় বলেন,"অবাক করা কাণ্ড । আমরা তদন্ত করছি । তদন্তের রিপোর্ট যথা সময়ে আমার দপ্তরে পাঠাব । এটা নিয়ে স্থানীয় স্কুল পরিদর্শক রাজদীপ সরকার ও প্রধান শিক্ষিকা সঞ্চালি গাঙ্গুলি মুখোপাধ্যায়কেও শোকজ করা হয়েছে । রিপোর্ট এলেই আমরা জানাব । আমাদের তদন্তকারী দল সেই স্কুলে গিয়ে তদন্ত করবে ।"

আরও পড়ুন : এক ছাত্র ও তিন শিক্ষক, জুনিয়র হাইস্কুলে ব্রাত্য দেশ ও বাণী বন্দনা

এদিকে দাদার বদলে 'প্রক্সি' দেওয়া 'শিক্ষিকা' রূপা দে বলেন, "আমার দাদা সুদীপ্ত কুমার দে এই স্কুলের শিক্ষক । দাদা দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ । আমি দাদার জায়গায় ক্লাস করে দিচ্ছি । এসআইয়ের অনুমতি নিয়েই ক্লাস নিচ্ছি ৷" একই দাবি মায়ের হয়ে স্কুলে শিক্ষকতায় 'প্রক্সি' দেওয়া ছেলে প্রীতম বোস জানান, তিনি একজন মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিস দফতরের কর্মী । মা অসুস্থ থাকায় আসতে পারছেন না । তাই তিনি স্কুল কর্তৃপক্ষ ও এসআইয়ের লিখিত অনুমতি নিয়ে ক্লাস নিচ্ছেন ।

এদিকে জলপাইগুড়ি জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান লক্ষ্যমোহন রায়কে বলেন,"বিষয়টি নিয়ে আমি কিছুই জানতাম না । খোঁজ নিতে বলেছি । এখনও রিপোর্ট আসেনি । এমন হলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে । বিষয়টা বাঞ্ছনীয় নয় । একজনের কাজ অন্যজন করবে এটা হতে পারে না ।"

আরও পড়ুন : শিক্ষকের সংখ্যা 1, স্কুলে পুজো বন্ধে মুখভার পড়ুয়াদের

মায়ের বদলে ছেলে ও দাদার পরিবর্তে শিক্ষকতা করছেন বোন, এই বিষয়ে কী বললেন তাঁরা

জলপাইগুড়ি, 13 ফেব্রুয়ারি: চাকরি মায়ের ৷ কিন্তু তাঁর অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে দিব্যি সাতমাস ধরে স্কুলে মায়ের বদলে ক্লাস নিচ্ছেন ছেলে ৷ অন্যদিকে, দাদার অসুস্থতার কথা বলে দীর্ঘদিন ধরে স্কুলে দাদার হয়ে ক্লাস নিয়ে আসছেন বোন ৷ এসআইয়ের অনুমতিতেই চলছে এসব ৷ পূর্ব গয়েরকাটা অ্যাডিশনাল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা (Jalpaiguri News)। আর এই ঘটনার জেরেই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা-সহ সার্কেলের স্কুল পরিদর্শককে শোকজ করল জেলা প্রাথমিক স্কুল পরিদর্শক ।

জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাট ব্লকের পূর্ব গয়েরকাটা অ্যাডিশনাল প্রাথমিক বিদ্যালয় । এই স্কুলের শিক্ষক সুদীপ্ত কুমার দে । তিনি নাকি গত চার বছর ধরে অসুস্থ ৷ তাই তাঁর বদলে বোন রূপা দে শিক্ষিকার পদ সামলাচ্ছেন । শুধু তাই নয় । ওই স্কুলেরই আর এক শিক্ষিকা মলি পাল বোসের বদলে প্রায় সাতমাস ধরে তাঁর ছেলে প্রীতম বোস মায়ের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন । তিনিও নাকি অসুস্থ সাত মাস ৷ তাই নিজের শিক্ষকতার ভার দিয়েছেন মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিস দফতরে কর্মরত ছেলেকে ৷ দীর্ঘদিন ধরেই এই দুই শিক্ষক ও শিক্ষিকা স্কুলে আসেন না । আর তাঁদের জায়গায় স্কুলে 'প্রক্সি' দিচ্ছেন পরিবারের সদস্যরা (Proxy Teacher at Jalpaiguri School)। এমন ঘটনা চাউর হতেই চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে শিক্ষকমহলে ।

আরও পড়ুন : মর্জিমতো স্কুলে আসেন শিক্ষক, ক্লাস নেন মিড-ডে মিল রাঁধুনি

এখন প্রশ্ন উঠছে আদৌ কি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমনটা করা যায় ? কী করে একজন শিক্ষকের জায়গায় তার পরিবারের লোকেরা 'প্রক্সি' দেয় ? কী কারণে তাঁদের অনুমতি দিলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ও এসআই ? বিষয়টি নিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সঞ্চালি গাঙ্গুলি মুখোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করলে তিনি সাফ জানিয়ে দেন এসআইয়ের অনুমতি ছাড়া স্কুলের বিষয়ে কোনওরকম তথ্য তিনি বাইরে জানাতে পারবেন না ।

বিষয়টি জানার পরই জলপাইগুড়ি জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক শ্যামল রায় বলেন,"অবাক করা কাণ্ড । আমরা তদন্ত করছি । তদন্তের রিপোর্ট যথা সময়ে আমার দপ্তরে পাঠাব । এটা নিয়ে স্থানীয় স্কুল পরিদর্শক রাজদীপ সরকার ও প্রধান শিক্ষিকা সঞ্চালি গাঙ্গুলি মুখোপাধ্যায়কেও শোকজ করা হয়েছে । রিপোর্ট এলেই আমরা জানাব । আমাদের তদন্তকারী দল সেই স্কুলে গিয়ে তদন্ত করবে ।"

আরও পড়ুন : এক ছাত্র ও তিন শিক্ষক, জুনিয়র হাইস্কুলে ব্রাত্য দেশ ও বাণী বন্দনা

এদিকে দাদার বদলে 'প্রক্সি' দেওয়া 'শিক্ষিকা' রূপা দে বলেন, "আমার দাদা সুদীপ্ত কুমার দে এই স্কুলের শিক্ষক । দাদা দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ । আমি দাদার জায়গায় ক্লাস করে দিচ্ছি । এসআইয়ের অনুমতি নিয়েই ক্লাস নিচ্ছি ৷" একই দাবি মায়ের হয়ে স্কুলে শিক্ষকতায় 'প্রক্সি' দেওয়া ছেলে প্রীতম বোস জানান, তিনি একজন মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিস দফতরের কর্মী । মা অসুস্থ থাকায় আসতে পারছেন না । তাই তিনি স্কুল কর্তৃপক্ষ ও এসআইয়ের লিখিত অনুমতি নিয়ে ক্লাস নিচ্ছেন ।

এদিকে জলপাইগুড়ি জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান লক্ষ্যমোহন রায়কে বলেন,"বিষয়টি নিয়ে আমি কিছুই জানতাম না । খোঁজ নিতে বলেছি । এখনও রিপোর্ট আসেনি । এমন হলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে । বিষয়টা বাঞ্ছনীয় নয় । একজনের কাজ অন্যজন করবে এটা হতে পারে না ।"

আরও পড়ুন : শিক্ষকের সংখ্যা 1, স্কুলে পুজো বন্ধে মুখভার পড়ুয়াদের

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.