জলপাইগুড়ি, 20 অক্টোবর: মহাষষ্ঠীর দিনে নিজের বাড়িতেই গুলি করে আত্মঘাতী হলেন জেলা জজের নিরাপত্তা রক্ষী । জানা গিয়েছে, আজ ভোর রাতে নিজেকে গুলি করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন জলপাইগুড়ির ওই পুলিশকর্মী । আশংকাজনক অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষ রক্ষা হয়নি ৷ হাসপাতালে যাওয়ার পথেই তাঁর মৃত্যু হয় ৷
পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে যে, নিজের সার্ভিস রিভলভার দিয়ে নিজেকে গুলি করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ওই পুলিশ কনস্টেবল । তাঁর নাম রঞ্জিত রাজবংশী । তিনি জেলা জজের নিরাপত্তা রক্ষী হিসেবে কর্মরত ছিলেন । তবে কী কারণে এমন ঘটনা ঘটল, তা ভেবেই পাচ্ছেন না পুলিশ মহল থেকে শুরু করে প্রতিবেশীরা । কীভাবে কেন এমন ঘটনা ঘটল, তার উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারী পুলিশকর্মীরা ।
জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ি রেসকোর্স পাড়ার হাউজিং কমপ্লেক্সে থাকতেন রঞ্জিত রাজবংশী । আজ ভোর রাতে হঠাৎ গুলির আওয়াজ পান স্থানীয়রা । ছুটে যান রঞ্জিত রাজবংশীর ঘরে । গিয়ে দেখেন. বাড়ির খাটের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন রঞ্জিত । এরপর অ্যাম্বুলেন্স ডেকে তাঁকে প্রথমে জলপাইগুড়ি গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার স্পেশালিটি বিভাগে যাওয়া হয় । কিন্তু পরিস্থিতি জটিল হওয়ায় সেখান থেকে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে । তবে সেখানে নিয়ে যাওয়ায় পথেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ওই পুলিশকর্মী ।
আরও পড়ুন: প্রেমের সম্পর্কের জের, নাবালক খুড়তুতো ভাই-বোনের দেহ উদ্ধার
জলপাইগুড়ি রেসকোর্স পাড়ার হাউজিং কমপ্লেক্সের রঞ্জিত রাজবংশীর প্রতিবেশী অ্যাঞ্জ জর্জ বলেন, "হঠাৎ রাতে আমরা চিৎকার শুনতে পাই । ডাকাডাকি শুরু হয় । আমরা গিয়ে দেখি ঘরের বিছানায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন রঞ্জিত রাজবংশী । এরপর অ্যাম্বুলেন্স ডেকে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ।"
পুলিশ কর্মীর শ্যালক সমীর রায় জানান, "এমন জামাই হয় না । খুব ভালো মানুষ ছিলেন । কিন্তু কেন এমন ঘটনা ঘটাল আমরা ভাবতেই পারছি না । গতকাল বোনের সঙ্গে কথা বলে রাতে ঘুমিয়ে পড়েন ৷ কিন্তু পরে পাশের ঘরে গিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন । কীভাবে হল তা দেখতে হবে ।"
জলপাইগুড়ি কোতয়ালি থানার আইসি অর্ঘ সরকার বলেন, "কেন এমন ঘটনা ঘটল তার তদন্ত হচ্ছে । রঞ্জিত রাজবংশী জেলা জজের নিরাপত্তা রক্ষীর কাজ করতেন । কেন তিনি গুলি করে আত্মহত্যা করলেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।"