জলপাইগুড়ি, 31মে : সারা দেশ জুড়ে লাফে লাফে বাড়ছে কোরোনা সংক্রমণ ৷ কোরোনা মোকাবিলার পাশাপাশি দেশের গতি ফেরাতে ক্রমাগত পাল্টাচ্ছে সরকারের পরিকল্পনা ৷ সংক্রমণ রুখতে কপালে ভাঁজ পড়ছে বিশেষজ্ঞদের ৷ যতদিন না কোরোনার ওষুধ আবিষ্কার হচ্ছে মানুষকেই সচেতন হতে হবে ৷ মাস্ক পরা, হাত স্যনিটাইজ়ড করা, সোশাল ডিস্টেন্স বজায় রাখা ৷ এই নিয়মগুলি জীবনের সাথে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে নিয়ে বাঁচতে হবে ৷ একথা বারে বারে জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থেকে প্রধানমন্ত্রী ৷ কিন্তু তা মানুষ মেনে চলছে কই ! ময়নাগুড়ি BDO অফিসে দেখা গেল তেমনই এক উল্টো দৃশ্য ৷
জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়িতে দু’জনের কোরোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে । সংক্রমিত এলাকাকে কনটেইনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন । সংক্রমিত এলাকাকে কনটেইনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন । কিন্তু সাধারণ মানুষের কোন হেলদোল নেই। মুখে মাস্ক নেই । নেই দুরত্ব বজায় রেখে কাজ করার উদ্যোগ । সিভিক ভলেন্টিয়ার থাকলেও তারাও নিরব দর্শক । ময়নাগুড়ির BDO অফিসে এমন বেশ কিছু চিত্র ধরা পড়ল । সকাল থেকেই BDO অফিসে রেশন কার্ডের কুপনের জন্য লাইন দিয়ে সাধারণ মানুষ থাকলেও কোন সামাজিক দুরত্ব মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ । এমনকী সাধারণ মানুষকে অত্যন্ত সংকীর্ন জায়গায় দাড় করিয়ে টয়লেটের যাবার রাস্তা দিয়ে রেশন কার্ডের প্রক্রিয়া কুপন দেওয়া হচ্ছে ।
এক গ্রাহক উৎপল রায় অভিযোগ করেন আমরা রেশন কার্ডের জন্য লাইনে দাড়িয়ে আছি কিন্তু আমাদের টয়লেটে যাবার রাস্তা দিয়ে লাইনে দাঁড় করিয়ে রাখা হচ্ছে । অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে আমাদের লাইনে দাঁড় করানো হয়েছে ।
রীতা মুখার্জি নামে এক মহিলা অভিযোগ করে বলেন, ‘‘BDO অফিসেই কোন সোশ্যাল ডিস্টেন্স মানা হচ্ছে না । রেশন কার্ডের জন্য অনেকেই আসছে । কেউ সোস্যাল ডিস্টেন্স মানছেন না । অনেকেরই মুখে মাস্ক নেই । আমরা আতঙ্কিত । মানুষ যদি সচেতন না হয় এখানে ভয়ংকর পরিস্থিতি হয়ে দাঁড়াবে ৷