ধূপগুড়ি, 7 মে : আগামিকাল আর্ন্তজাতিক মাতৃদিবস ৷ আর মাতৃদিবসকে কেন্দ্র করে জলপাইগুড়ি জেলাতে এক অভিনব উদ্যোগ নেওয়া হল ৷ ধূপগুড়ি ব্লকের বারোঘরিয়া বটতলী স্বর্ণময়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উদ্যোগে 'মা পুজো' অনুষ্ঠিত হয় (puja perform in dhupguri On occasion of Mother's Day) ।
মূলত বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক জয় বসাক এই উদ্যোগের দায়িত্ব নেন। প্রায় দু'শো জন ছাত্র-ছাত্রী ও তাদের মাকে নিয়ে এই অনুষ্ঠান পালন হয়। শনিবার পড়ুয়ারা তাদের মায়েদের পা ধুইয়ে- মুছিয়ে মুখে মিষ্টান্ন তুলে দেয়। বাচ্চারা মায়েদের মুখে মিষ্টান্ন তুলে দেওয়ার পর মায়েরা তাঁর সন্তানের মুখে মিষ্টান্ন তুলে দেন। পাশাপাশি মায়ের পায়ে প্রণাম করে ভবিষ্যত জীবনে মা, বাবার আনুগত্য এবং দেখাশোনার দায়িত্বভার নিয়ে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয় তারা ।
দীর্ঘদিন থেকেই এই স্কুল ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক জয় বসাকের হাত ধরে বহু সুনাম কুড়িয়েছে। শিক্ষারত্ন সম্মানে ভূষিত বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী এবং স্কুলের শিক্ষকদের নিয়ে আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও স্কুলের সুন্দর পরিবেশ গড়ে তুলেছে ৷ যার কারণে সার্টিফিকেট অফ এপ্রিসিয়েশন, জেলার সেরা শিরোপা অর্জন করে এই বিদ্যালয়। এ দিনের ভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানে স্বাদ পেয়ে গ্রামাঞ্চল এলাকার মায়েরাও যেমন খুশি তেমনি ছাত্র-ছাত্রী কচিকাঁচারাও যথেষ্ট খুশি।
আরও পড়ুন : আড়াই বছর বন্ধ ভুটান গেট ! চামুর্চিতে বিপাকে ব্যবসায়ীরা
এই 'মা পুজো'- তে মায়েরা বসে এত ছোট-ছোট সন্তানের থেকে এই ধরনের পুজো পেয়ে আবেগঘন হয়ে ওঠেন বেশ কিছু মা। কমলা রায় এবং পুস্প রায় নামে দুই ছাত্র-ছাত্রীর মায়েরা জানান, খুব ভাল লাগছে। এখনকার সন্তানরা বড় হয়ে বৃদ্ধ বাবা, মা কে দেখে না। তাদের অবহেলা করে। ছোটবেলা থেকে বাচ্চাদের মধ্যে সেই নীতিবোধ, দায়িত্বশীলতা এবং বাবা মায়ের প্রতি ভালবাসা শেখাতে এই ধরনের উদ্যোগ যথেষ্ট কাজে লাগবে।
বিদ্যালয়ের এক পড়ুয়া সুরস্মৃতি রায় বলে, "খুব ভাল লাগল মাকে পুজো করে। মায়ের ভালর জন্য এবং ভবিষ্যতে বাবা, মায়ের প্রতি আরও দায়িত্বশীল হওয়ার প্রতিজ্ঞা নিয়েছি।"
আরও পড়ুন : 4 রয়্যাল বেঙ্গল শাবকের ভিডিয়ো প্রকাশ করল বেঙ্গল সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষ
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক তথা শিক্ষারত্ন জয় বসাক বলেন, "এই ধরনের 'মা পুজো' ইন্দোনেশিয়ার প্রতিটা স্কুলে হয়ে থাকে এবং সেখানে কোনও বৃদ্ধাশ্রম নেই। তারপরই ভেবেছি আমাদের বিদ্যালয়ে এই পুজো করলে বাচ্চাদের বাবা মায়ের প্রতি আরও দায়িত্বশীল করে গড়ে তোলা যাবে।"