ETV Bharat / state

খেজুর গুড় বানাতে ভিসা নিয়ে রাজ্যে ওপার বাংলার হোসেনরা - খেজুর গুড় বানাতে ভিসা নিয়ে এদেশে ওপার বাংলার মানুষ

জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ির এলাকাগুলোতে গুড় বানাতে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসেছেন বাবা ও ছেলে ৷ আইন মেনে ভিসা নিয়ে বাংলাদেশ থেকে এদেশে এসে গুড় বানিয়ে বিক্রি করে রোজগার করে নিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের বাসিন্দারা ৷

খেজুর গুড়
খেজুর গুড়
author img

By

Published : Nov 29, 2019, 11:50 PM IST

Updated : Dec 1, 2019, 9:01 PM IST

জলপাইগুড়ি, 1 ডিসেম্বর : শীতকালে বাঙালির পিঠে, পায়েস মানেই খেজুর গুড় ৷ পাড়ায় খেজুর গাছ থাকলেও তা কেটে খেজুর রস থেকে গুড় বানানোর লোক ছিল না ৷ এবার জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ির এলাকাগুলোতে গুড় বানাতে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসেছেন বাবা ও ছেলে ৷ আইন মেনে ভিসা নিয়ে বাংলাদেশ থেকে এদেশে এসে গুড় বানিয়ে বিক্রি করে রোজগার করে নিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের বাসিন্দারা ৷

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ ব্লকের দুধিয়া গ্রামে এসে উপস্থিত হয়েছেন ৷ তাঁরা বাংলাদেশের রাজশাহী জেলার বাগথানার মহম্মদ রহিম ও মহম্মদ আলমগির হোসেন ৷ সম্পর্কে বাবা-ছেলে ৷ চার বছর ধরে শীত পড়তেই রীতিমতো পাসপোর্ট বানিয়ে, ভিসা নিয়ে চ্যাংরাবান্দা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তিস্তা নদীর চরে দুধিয়া গ্রামে আসেন ৷ প্রতিদিন সকালে খেজুর গাছ কেটে, রস নামিয়ে, সেই রস জাল করে গুড় বানান তাঁরা ৷ সেই গুড় চলে যায় জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন বাজারে ৷

এরাজ্যে ভিনদেশি শিউলিরা কীভাবে গুড় বানান, দেখুন ভিডিয়োয়

বাড়িতে খেজুর গাছ থাকলেও গুড় বানিয়ে খাওয়া হত না ৷ কিন্তু বাংলাদেশের এই দুই ব্যক্তি এসে মুস্কিল আসান করে দিয়েছেন ৷ মহম্মদ রহিম জানান, প্রতিদিন 70টা খেজুর গাছ কেটে গড়ে 150 লিটার খেজুরের রস সংগ্রহ হয় ৷ তারপর তা জাল দিয়ে তৈরি হয় প্রায় 30 কিলোগ্রাম গুড় ৷ তিনি আরও বলেন, "বাংলাদেশে প্রচুর খেজুর গাছ রয়েছে ৷ কিন্তু, যার যার গাছ সেই কাটে, আর গুড় বানায় ৷ লোকের মুখে জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের দুধিয়া গ্রামে প্রচুর খেজুর গাছ রয়েছে ৷ কিন্তু গাছ কাটার বা গুড় করার লোক নেই খবর পেয়েই সোজা চলে আসা ৷"

রীতিমতো ভিসা নিয়ে বাড়ি ভাড়া নিয়ে তিন মাস থেকে গুড় বানিয়ে তা বিক্রি করে রোজগার করে বাড়ি ফেরেন রহিমরা ৷ রুটিরুজির টানে এপার বাংলায় এলেও সবাইকেই আপন করে নিয়েছেন তাঁরা ৷ মহম্মদ আলমগির হোসেন বলেন, বাংলাদেশে তিনি কিছুই করেন না ৷ ভারতে বাবার সঙ্গে গুড় বানাতে এসেছেন তিনি ৷ অক্টোবরে ভিসা তৈরি করে নভেম্বরের শুরুতেই চলে আসেন তাঁরা ৷

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, "হোসেনদের জন্য খাঁটি গুড় খেতে পারছি ৷ না হলে জলপাইগুড়ি, ওদলাবাড়ি সহ অন্য বাজার থেকে গুড় কিনতে হত আমাদের ৷ আর আমাদের গাছের খেজুরের রসের গুড় নিজেরাই খাচ্ছি এটা বড় প্রাপ্তি ৷ এমন কী, আত্মীয়দেরও গুড় দিচ্ছি ৷ খুব ভালো লাগছে ৷"

জলপাইগুড়ি, 1 ডিসেম্বর : শীতকালে বাঙালির পিঠে, পায়েস মানেই খেজুর গুড় ৷ পাড়ায় খেজুর গাছ থাকলেও তা কেটে খেজুর রস থেকে গুড় বানানোর লোক ছিল না ৷ এবার জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ির এলাকাগুলোতে গুড় বানাতে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসেছেন বাবা ও ছেলে ৷ আইন মেনে ভিসা নিয়ে বাংলাদেশ থেকে এদেশে এসে গুড় বানিয়ে বিক্রি করে রোজগার করে নিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের বাসিন্দারা ৷

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ ব্লকের দুধিয়া গ্রামে এসে উপস্থিত হয়েছেন ৷ তাঁরা বাংলাদেশের রাজশাহী জেলার বাগথানার মহম্মদ রহিম ও মহম্মদ আলমগির হোসেন ৷ সম্পর্কে বাবা-ছেলে ৷ চার বছর ধরে শীত পড়তেই রীতিমতো পাসপোর্ট বানিয়ে, ভিসা নিয়ে চ্যাংরাবান্দা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তিস্তা নদীর চরে দুধিয়া গ্রামে আসেন ৷ প্রতিদিন সকালে খেজুর গাছ কেটে, রস নামিয়ে, সেই রস জাল করে গুড় বানান তাঁরা ৷ সেই গুড় চলে যায় জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন বাজারে ৷

এরাজ্যে ভিনদেশি শিউলিরা কীভাবে গুড় বানান, দেখুন ভিডিয়োয়

বাড়িতে খেজুর গাছ থাকলেও গুড় বানিয়ে খাওয়া হত না ৷ কিন্তু বাংলাদেশের এই দুই ব্যক্তি এসে মুস্কিল আসান করে দিয়েছেন ৷ মহম্মদ রহিম জানান, প্রতিদিন 70টা খেজুর গাছ কেটে গড়ে 150 লিটার খেজুরের রস সংগ্রহ হয় ৷ তারপর তা জাল দিয়ে তৈরি হয় প্রায় 30 কিলোগ্রাম গুড় ৷ তিনি আরও বলেন, "বাংলাদেশে প্রচুর খেজুর গাছ রয়েছে ৷ কিন্তু, যার যার গাছ সেই কাটে, আর গুড় বানায় ৷ লোকের মুখে জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের দুধিয়া গ্রামে প্রচুর খেজুর গাছ রয়েছে ৷ কিন্তু গাছ কাটার বা গুড় করার লোক নেই খবর পেয়েই সোজা চলে আসা ৷"

রীতিমতো ভিসা নিয়ে বাড়ি ভাড়া নিয়ে তিন মাস থেকে গুড় বানিয়ে তা বিক্রি করে রোজগার করে বাড়ি ফেরেন রহিমরা ৷ রুটিরুজির টানে এপার বাংলায় এলেও সবাইকেই আপন করে নিয়েছেন তাঁরা ৷ মহম্মদ আলমগির হোসেন বলেন, বাংলাদেশে তিনি কিছুই করেন না ৷ ভারতে বাবার সঙ্গে গুড় বানাতে এসেছেন তিনি ৷ অক্টোবরে ভিসা তৈরি করে নভেম্বরের শুরুতেই চলে আসেন তাঁরা ৷

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, "হোসেনদের জন্য খাঁটি গুড় খেতে পারছি ৷ না হলে জলপাইগুড়ি, ওদলাবাড়ি সহ অন্য বাজার থেকে গুড় কিনতে হত আমাদের ৷ আর আমাদের গাছের খেজুরের রসের গুড় নিজেরাই খাচ্ছি এটা বড় প্রাপ্তি ৷ এমন কী, আত্মীয়দেরও গুড় দিচ্ছি ৷ খুব ভালো লাগছে ৷"

Intro:জলপাইগুড়ি ঃঃ ওরা পাসপোর্ট ভিসা নিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসেন খেঁজুরের রস কাটতে। বাঙালির পিঠে, পায়েস মানেই খেঁজুরে গুড়।এই খেঁজুরের গুড় ছাড়া শীতকালে পিঠে, পায়েস, পুলির কথা চিন্তাই করা যায় না।এলাকায় খেঁজুর গাছ থাকলেও খেঁঁজুরের রস থেকে গুড় বানানোর লোক ছিল না। এবার জলপাইগুড়ি,শিলিগুড়ির নোলেন গুড়ের রসনা তৃপ্ত করাতে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসে খেঁজুরের রস গাছ থেকে পেরে গুড় বানাচ্ছেন বাবা ও ছেলে।বাংলাদেশ থেকে আইন মেনে পাসপোর্ট ভিসা নিয়ে এদেশে এসে গুড় খাইয়ে রোজগার করে নিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের বাসিন্দারা।Body:ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে জলপাইগুড়ি র রাজগঞ্জ ব্লকের দুধিয়া গ্রামে এসে উপস্থিত শীতের অতিথিরা। বাংলাদেশের রাজশাহী জেলার বাগথানার মহ রহিম আর মহম্মদ আলমগীর হোসেন ।সম্পর্কে বাবা আর ছেলে।গত চারবছর ধরে শীত পড়তেই রীতিমতো ভিসা পাসপোর্ট বানিয়ে চ্যারাবান্দা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তিস্তা নদীর চরে দুধিয়া গ্রামে চলে আসেন ।প্রতিদিন সকালে খেঁজুর গাছ কেটে, রস নামিয়ে, সেই রস জাল করে সুস্বাদু গুড় বানান তারা।সেই গুর চলে যায় জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন বাজারে। বাড়ির খেঁজুর গাছ থাকলেও গুড় বানিয়ে খাওয়া বা রস কাটার হয়ে উঠত না।কিন্তু বাংলাদেশের অতিথিরা এসে মুস্কিল আসান করে দিচ্ছেন।খেঁজুর গাছও কাটা হচ্ছে আর খেঁজুরের গুড়ও খাওয়া হচ্ছে।Conclusion:মহ; রহিম জানান, প্রতিদিন ৭০ টা খেঁজুর গাছ কেটে গড়ে ১৫০ লিটার খেঁজুরের রস সংগ্রহ হয়।তার পর তা জাল করে তৈরি হয় প্রায় ৩০ কেজি গুড়।আগে পিঠে পায়েস বানানোর জন্য খেঁজুরের গুড় কিনতে বিভিন্ন বাজারে যেতে হত কিন্তু এবার গ্রামেই পাওয়া যাচ্ছে গুড়।
মহম্মদ রহিম জানান, বাংলাদেশে প্রচুর খেঁজুর গাছ।যার যার গাছ সেই কাটে আর গুড় বানান।লোকের মুখে জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জের দুধিয়া গ্রামে প্রচুর খেজুর গাছ রয়েছে।কিন্তু গাছ কাটার বা গুড় করার লোক নেই।এমন খবর পান তারপর সোজা চলে আসা।রীতিমত পাসপোর্ট ভিসা নিয়ে বাড়ি ভাড়া নিয়ে তিন মাস থেকে গুড় বানিয়ে বিক্রি করে রোজগার করে বাড়ি ফেরেন রহিমরা। তাই রুটিরুজির টানে এপার বাংলায় এলেও সবাইকে আপন করে নিয়েছে তারা।


রহিমের ছেলে মহম্মদ আলমগীর হোসেন জানান বাংলাদেশে তিনি কিছুই করেন না। ভারতে এসেছেন বাবার সাথে গুড় বানাতে। অক্টোবর মাসেই পাসপোর্ট ভিসা তৈরি করে নভেম্বরের শুরুতেই চলে আসেন ভারতে।ভালোই লাগে। রোজগারও হয়।আবার শীতের শেষে বাড়ি চলে যান।

স্থানীয় বাসিন্দা উত্তম রায়, যোগেশ্বর রায়, জয়মালা সরকার জানান বাংলাদেশের এই মানুষ গুলোর জন্যই আমাদের খাটি গুড় খেতে পারছি।না হলে জলপাইগুড়ি, ওদলাবাড়ি সহ অন্য বাজার থেকে গুড় কিনতে হিত আমাদের।আর আমাদের গাছের খেঁজুরের রসের গুড় নিজেরাই খাচ্ছি এটা বড় প্রাপ্তি।আমরা রস দিচ্ছি আর রহিম আমাদের গুড় বানিয়ে খাওয়াচ্ছে।এমনকি আত্মীয় স্বজন্দেরও গুড় দিচ্ছি।রহিমের ব্যবসাও হচ্ছে আমাদের গুড় খাওয়াও হচ্ছে। খুব ভালো লাগছে
Last Updated : Dec 1, 2019, 9:01 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.