ETV Bharat / state

Chel River: চেল নদীতে সেতুর দাবি পদ্মশ্রী করিমুল হকের, প্রয়োজনে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি

চেল নদীতে সেতুতে না থাকার ফলে বিপাকে পদ্মশ্রী করিমুল হকের গ্রাম-সহ গোটা ব্লক । রাজ্য ও কেন্দ্রের দ্বারস্থ হয়েও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ তাঁর ।

author img

By

Published : May 29, 2023, 11:08 PM IST

Chel River
চেল নদীতে সেতুর দাবি
চেল নদীতে সেতুর দাবি পদ্মশ্রী করিমুল হকের

জলপাইগুড়ি, 29 মে: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কথা দিয়ে কথা রাখেননি । পদ্মশ্রী পাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে চেল নদীর ওপর সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছিলেন 'অ্যাম্বুলেন্স দাদা' নামে খ্যাত জলপাইগুড়ির করিমুল হক । কিন্তু আজও সেই সেতু নির্মাণ হল না । এখনও ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয় নদীর উপর দিয়ে ৷ বর্ষাকালে হাল আরও বেহাল হয় ৷ জল বেড়ে যাওয়ায় ঘুর পথে গাড়ি, বাইক-সহ অ্যাম্বুলেন্সে করে রোগী নিয়ে যেতে হয় হাসপাতালে ৷ এর জেরে 15 কিলোমিটার রাস্তা 40 কিলোমিটার ঘুরে যেতে হয় । তাতে সময় বেশি লাগে আবার খরচও বাড়ে ।

ক্রান্তি থেকে মালবাজার যাতায়াতের মাঝে পড়ে এই চেল নদী ৷ এই নদীর ওপর সেতু নির্মাণের দাবি বাসিন্দাদের বহুদিনের ৷ কিন্তু সেই সেতু এখনও নির্মাণ না হওয়ায় বেজায় বিপাকে পড়েছে ক্রান্তি ও মালবাজার ব্লকের বাসিন্দারা । তবে চেল নদীর ওপর সেতু না থাকায় মালবাজার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রোগী নিয়ে চিকিৎসা করাতে যাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি সমস্যার সম্মুখীণ হতে হয় ।

ওই রাস্তা দিয়েই করিমূল হক রোগী নিয়ে যান বাইকে করে ৷ বাইক অ্যাম্বুলেন্সে করে রোগী নিয়ে নদীর ওপর দিয়ে যাতায়াতে ঝুঁকি বেড়ে যায় ৷ ফলে সেতু হলে বাইক অ্যাম্বুলেন্স করে রোগী নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে যেমন সুবিধা হবে ৷ তেমনই ক্রান্তি ও মালবাজারের মধ্যে যাতায়াতের সুবিধাও হবে । এই চেল নদীতে সেতু হয়ে গেলে ক্রান্তি থেকে মালাবাজারে যেতে হলে কমপক্ষে 40 কিলোমিটার রাস্তা কমে যাবে । অন্যদিকে কাঠামবাড়ি জঙ্গল দিয়ে মালবাজার যাওয়ায় সময় বন্যপ্রাণীর হানার আশংকাও থাকে । কিন্তু এত কিছুর পরেও সেতু করার উদ্যোগ রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকেও নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের ।

আরও পড়ুন: প্রতিশ্রুতিই সার, টাঙ্গন নদী পেরোতে দেউড়িয়ার বাসিন্দাদের ভরসা সেই বাঁশের সাঁকো

পদ্মশ্রী করিমুল হক বলেন, "আমি পদ্মশ্রী পাওয়ার পর থেকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমার দু'বার দেখা হয়েছে । আমি দু'বারই আমার বাড়ির এলাকার চেল নদীর ওপর সেতুর দাবি জানিয়েছিলাম । আমাকে প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছিলেন সেতুর ব্যবস্থা করে দেবেন । কিন্তু এত বছরেও সেতু হল না । আমি রাজ্য সরকারের কাছেও চেল নদীর ওপর সেতুর দাবি করেছিলাম ৷ কিন্তু লাভ হয়নি ।"

তিনি জানান, তিনি বাইকে করে রোগী নিয়ে যাতায়াত করেন । চেল নদীর উপর জল কম থাকায় গরমের সময় যাতায়াত করা যায় ৷ কিন্তু বর্ষাকালে জল বেড়ে যাওয়ার ফলে যাতায়াত করা দায় হয়ে দাঁড়ায় । এই চেল নদীর ওপর সেতু হয়ে গেলে কয়েক লক্ষ মানুষের সুবিধা হবে । এক্ষেত্রে ক্রান্তি ও মালবাজারের মধ্যে যাতায়াতের ক্ষেত্রে অনেক সময় কম লাগবে এবং দুরত্বও কমবে । প্রতিদিন হাজার হাজার গাড়ি চলাচল করে এখান থেকে । তাদের মালবাজারের 15 কিলোমিটার রাস্তা 40 কিলোমিটার ঘুরে যেতে হয় ।

করিমুল হক বলেন, "প্রধানমন্ত্রী জিজ্ঞাসা করেছিলেন সেতু হয়েছে কি না । আমি পরিষ্কার বলেছি কেউ দেখতেও আসেনি সেতু হওয়া তো দূর । আমি চাই প্রধানমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করে আমাদের সেতুটা তৈরি করে দিক । তা না হলে আমাদের আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব ।"

আরও পড়ুন: 2013 সাল থেকে থমকে কুলিক নদীর উপর নির্মিয়মাণ সেতুর কাজ

স্থানীয় বাসিন্দা আতাউর রহমান ও সরিফুল ইসলাম জানান, চেল নদীর ওপর সেতু না থাকার কারণে তেসিমলা, বড়দিঘি, মালাবাজার, কাঠালগুড়ি এলাকার মানুষের খুব সমস্যা হয় । চেল নদীর ওপর সেতু হলে সুবিধা হত তাদের ।

চেল নদীতে সেতুর দাবি পদ্মশ্রী করিমুল হকের

জলপাইগুড়ি, 29 মে: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কথা দিয়ে কথা রাখেননি । পদ্মশ্রী পাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে চেল নদীর ওপর সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছিলেন 'অ্যাম্বুলেন্স দাদা' নামে খ্যাত জলপাইগুড়ির করিমুল হক । কিন্তু আজও সেই সেতু নির্মাণ হল না । এখনও ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয় নদীর উপর দিয়ে ৷ বর্ষাকালে হাল আরও বেহাল হয় ৷ জল বেড়ে যাওয়ায় ঘুর পথে গাড়ি, বাইক-সহ অ্যাম্বুলেন্সে করে রোগী নিয়ে যেতে হয় হাসপাতালে ৷ এর জেরে 15 কিলোমিটার রাস্তা 40 কিলোমিটার ঘুরে যেতে হয় । তাতে সময় বেশি লাগে আবার খরচও বাড়ে ।

ক্রান্তি থেকে মালবাজার যাতায়াতের মাঝে পড়ে এই চেল নদী ৷ এই নদীর ওপর সেতু নির্মাণের দাবি বাসিন্দাদের বহুদিনের ৷ কিন্তু সেই সেতু এখনও নির্মাণ না হওয়ায় বেজায় বিপাকে পড়েছে ক্রান্তি ও মালবাজার ব্লকের বাসিন্দারা । তবে চেল নদীর ওপর সেতু না থাকায় মালবাজার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রোগী নিয়ে চিকিৎসা করাতে যাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি সমস্যার সম্মুখীণ হতে হয় ।

ওই রাস্তা দিয়েই করিমূল হক রোগী নিয়ে যান বাইকে করে ৷ বাইক অ্যাম্বুলেন্সে করে রোগী নিয়ে নদীর ওপর দিয়ে যাতায়াতে ঝুঁকি বেড়ে যায় ৷ ফলে সেতু হলে বাইক অ্যাম্বুলেন্স করে রোগী নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে যেমন সুবিধা হবে ৷ তেমনই ক্রান্তি ও মালবাজারের মধ্যে যাতায়াতের সুবিধাও হবে । এই চেল নদীতে সেতু হয়ে গেলে ক্রান্তি থেকে মালাবাজারে যেতে হলে কমপক্ষে 40 কিলোমিটার রাস্তা কমে যাবে । অন্যদিকে কাঠামবাড়ি জঙ্গল দিয়ে মালবাজার যাওয়ায় সময় বন্যপ্রাণীর হানার আশংকাও থাকে । কিন্তু এত কিছুর পরেও সেতু করার উদ্যোগ রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকেও নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের ।

আরও পড়ুন: প্রতিশ্রুতিই সার, টাঙ্গন নদী পেরোতে দেউড়িয়ার বাসিন্দাদের ভরসা সেই বাঁশের সাঁকো

পদ্মশ্রী করিমুল হক বলেন, "আমি পদ্মশ্রী পাওয়ার পর থেকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমার দু'বার দেখা হয়েছে । আমি দু'বারই আমার বাড়ির এলাকার চেল নদীর ওপর সেতুর দাবি জানিয়েছিলাম । আমাকে প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছিলেন সেতুর ব্যবস্থা করে দেবেন । কিন্তু এত বছরেও সেতু হল না । আমি রাজ্য সরকারের কাছেও চেল নদীর ওপর সেতুর দাবি করেছিলাম ৷ কিন্তু লাভ হয়নি ।"

তিনি জানান, তিনি বাইকে করে রোগী নিয়ে যাতায়াত করেন । চেল নদীর উপর জল কম থাকায় গরমের সময় যাতায়াত করা যায় ৷ কিন্তু বর্ষাকালে জল বেড়ে যাওয়ার ফলে যাতায়াত করা দায় হয়ে দাঁড়ায় । এই চেল নদীর ওপর সেতু হয়ে গেলে কয়েক লক্ষ মানুষের সুবিধা হবে । এক্ষেত্রে ক্রান্তি ও মালবাজারের মধ্যে যাতায়াতের ক্ষেত্রে অনেক সময় কম লাগবে এবং দুরত্বও কমবে । প্রতিদিন হাজার হাজার গাড়ি চলাচল করে এখান থেকে । তাদের মালবাজারের 15 কিলোমিটার রাস্তা 40 কিলোমিটার ঘুরে যেতে হয় ।

করিমুল হক বলেন, "প্রধানমন্ত্রী জিজ্ঞাসা করেছিলেন সেতু হয়েছে কি না । আমি পরিষ্কার বলেছি কেউ দেখতেও আসেনি সেতু হওয়া তো দূর । আমি চাই প্রধানমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করে আমাদের সেতুটা তৈরি করে দিক । তা না হলে আমাদের আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব ।"

আরও পড়ুন: 2013 সাল থেকে থমকে কুলিক নদীর উপর নির্মিয়মাণ সেতুর কাজ

স্থানীয় বাসিন্দা আতাউর রহমান ও সরিফুল ইসলাম জানান, চেল নদীর ওপর সেতু না থাকার কারণে তেসিমলা, বড়দিঘি, মালাবাজার, কাঠালগুড়ি এলাকার মানুষের খুব সমস্যা হয় । চেল নদীর ওপর সেতু হলে সুবিধা হত তাদের ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.