ডুয়ার্স, 17 অক্টোবর: ফের হাতির হানায় মৃত্যু ৷ উত্তেজনা নাগরাকাটা ব্লকে। লোকালয়ে ঢুকে হাতির হানায় ব্যক্তির মৃত্যুকে ঘিরে বনকর্মীদের উপর ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন এলাকাবাসীরা। এর পাশাপাশি বনকর্মীর হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টারও অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার সকাল 7টা নাগাদ ডুয়ার্সের নাগরাকাটা ব্লকের 1 নম্বর আংরাভাষা গ্রামপঞ্চায়েতের আপারকলাবাড়ি এলাকায় একটি বাড়ির সামনে হাতি চলে আসে ৷ আর ওই বাড়ির এক ব্যক্তিকে শুঁড়ে তুলে আছাড় মারে এক দলছুট বুনো হাতি। ডায়নার জঙ্গল থেকে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে দলছুট হাতি। তাতেই মৃ্ত্যু হয় ওই ব্যক্তির ৷ এ ঘটনায় এলাকায় নেমেছে শোকের ছায়া ৷
এই ঘটনার পরই গ্রামবাসীরা ক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠেন ৷ ব্যক্তির মৃতদেহ আটকে রেখে পুলিশ এবং বন্যপ্রাণ শাখার বনকর্মীদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। গ্রামের ক্ষুদ্ধ মহিলারা বনকর্মীর হাতের আগ্নেয়াস্ত্র টানাহ্যাঁচড়া করতে শুরু করেন। তাঁদের অভিযোগ, গত 20 দিনে বুনো হাতির হামলায় এ নিয়ে তিনজন প্রাণ হারালেও কারও কোনও পদক্ষেপ নেই। হাতি গ্রামে ঢুকে পড়লে তাড়ানোর কোনও ব্যবস্থা নেন না বনকর্মীরা। এছাড়াও হাতির হামলার ঘটনায় অতিষ্ঠ হয়ে চাষাবাদ বন্ধ করে গ্রামের বেশিরভাগ যুবক কাজের খোঁজে ভিন রাজ্যে পাড়ি দিয়েছেন।
গ্রামবাসীরা আরও জানিয়েছেন, উচ্চস্তরের বনাধিকারিকরা যদি না-আসে তাহলে তাঁরা কোনওমতেই মৃতদেহ নিয়ে যেতে দেবেন না। গ্রামবাসী ভক্ত বাহাদুর ছেত্রী বলেন, "এই ঘটনা বারবার ঘটছে। লোকালয়ে হাতির ঢুকে পড়া স্বাভাবিক ঘটনা তাঁদের কাছে। এ বিষয়ে বারবার জানিয়েও কোনও লাভ হচ্ছে না। তাই এই ঘটনার পর বনদফতরের আধিকারিকরা না-এলে দেহ তুলতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেয়। পরে বনদফতরের পক্ষ থেকে লিখিত দেওয়া হলে দেহ নিয়ে যেতে দেওয়া হয়।" যদিও বন দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, বনকর্মীরা দায়িত্ব পালন করেন।
আরও পড়ুন: পুজোর বাকি আর মাত্র ক'দিন, শপিংয়ের খরচা তুলতে রাস্তায় নামল 'রামলাল'