জলপাইগুড়ি, 3 সেপ্টেম্বর: 100 দিনের কাজ দেওয়ার নাম করে বৃদ্ধার অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ৷ ঘটনার প্রতিবাদ করায় 70 বছরের এক বৃদ্ধাকে মারধরের অভিযোগ উঠলো একশো দিনের কাজের সুপারভাইজারের বিরুদ্ধে (Old Woman Allegedly Beaten by MGNREGA Supervisor) ৷ ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি ব্লকের ভোটপাট্টি এলাকায় ৷ আহত বৃদ্ধার নাম ময়না দাস (70) আশঙ্কাজনক অবস্থায় জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৷ অভিযুক্ত সুপারভাইজার তরুণ রায়ের নামে বৃদ্ধার মেয়ে ময়নাগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ৷ যদিও, সুপারভাইজার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ৷
বৃদ্ধা ময়না দাসের পরিবারের অভিযোগ, 100 দিনের কাজ দেওয়ার নাম করে, তাঁর কাছ থেকে ব্যাঙ্কের বই ও টাকা তোলার কাগজে বৃদ্ধার টিপ সই নেয় অভিযুক্ত তরুণ রায় ৷ এর পরেই বৃদ্ধার অ্যাকাউন্ট থেকে 10 হাজার টাকা গায়েব হয়ে যায় ৷ বিষয়টি প্রথমে বুঝতে পারেননি তিনি ৷ পরবর্তী সময়ে তাঁর মেয়ে মায়া দাসকে তরুণ রায়ের টিপ সই নেওয়ার বিষয়টি জানান বৃদ্ধা ৷ তখনই তাঁরা বুঝতে পারেন তরুণ ময়না দাসের অ্যাকাউন্ট থেকে ওই টাকা সরিয়েছেন ৷ এর পর ময়না দাস পুরো বিষয়টি স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যা পূর্ণিমা সরকারের স্বামী তথা স্থানীয় তৃণমূল নেতা অজিত সরকারকে জানান ৷ তিনিই বৃদ্ধার টাকা ফেরত পাওয়ার ব্যবস্থা করেন ৷
কিন্তু, গতকাল ময়না দাসের সঙ্গে তরুণ রায়ের দেখা হয় ৷ সেই সময় ময়না দাস তাঁকে এ সংক্রান্ত প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেন ৷ অভিযোগ, তখনই বৃদ্ধার উপর চড়াও হন তরুণ ৷ বৃদ্ধাকে বেধড়ক মারধর করেতে শুরু করেন তিনি (Old Woman Beaten) ৷ স্থানীয়রাই তরুণের হাত থেকে বাঁচায় বৃদ্ধাকে ৷ এরপর পরিবারের লোকজনকে খবর দেওয়া হলে ময়না দাসকে ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় ৷ সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে ৷ হাসপাতাল সূত্রে খবর, ময়না দাসের মুখে ও বুকে আঘাত লেগেছে ৷
আরও পড়ুন: ছেলে ও পুত্রবধূর অত্যাচারের অভিযোগে পুলিশের দ্বারস্থ বৃদ্ধা
ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ময়নাগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বৃদ্ধার মেয়ে মায়া দাস ৷ যদিও, টাকা চুরি ও বৃদ্ধাকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন একশো দিনের কাজের সুপারভাইজার তরুণ রায় ৷ অন্যদিকে, ময়নাগুড়ি 2 নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি শিবশঙ্কর দত্তের দাবি, তিনি পারিবারিক বিবাদের খবর পেয়েছেন ৷ বিষয়টি পুলিশ তদন্ত কর দেখছে ৷