জলপাইগুড়ি, 26 ফেব্রুয়ারি : সবুজনিধন যজ্ঞ ! কেটে ফেলা হচ্ছে চল্লিশ বছরের পুরোনো মেহগিন, শিশু সহ নদীর ধারের 20টির বেশি গাছ ৷ গড়ালবাড়ি শোভারহাট এলাকার ঘটনা ৷ সরকারি খাস জমির গাছ বেআইনিভাবে কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে । একইসঙ্গে ওই গাছকাটার অনুমতি দেওয়ায় অভিযুক্ত অঞ্চল সদস্য সহ পঞ্চায়েত প্রধান । গোটা ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছে স্থানীয়রা । তবে গাছ কাটায় বাধা দেওয়ার পর সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে কাজ ৷
স্থানীয় বাসিন্দা এনামুল হক, নফিজার রহমানদের অভিযোগ, একের পর এক নদীর পাড়ের সরকারি জমির গাছ কাটা হচ্ছে । তাঁদের কথায়, অভিযোগ করেও লাভ হয়নি । তাই বাধা দেওয়া হয়েছে ।
এনামুল হক বলেন, "জানি না কীভাবে গাছগুলো কাটা হচ্ছে ৷ নদীর জমির গাছ কাটার অনুমতিই বা দেওয়া হল কী করে ! আমরা বাধা দিয়েছি ৷"
আরও খবর: বিনা অনুমতিতে গাছ কাটার অভিযোগ স্বাস্থ্যকর্মীর বিরুদ্ধে
অভিযুক্ত ব্যবসায়ী অরিন্দম বক্সি জানান, নদীর জমি নয় ৷ ওই জমির কাগজ আছে তাঁর কাছে ৷ তৃণমূলের লোকেরা অকারণ ঝামেলা করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি ৷ বলেন, "বনবিভাগ ও পঞ্চায়েতের অনুমতি নিয়েই গাছ কাটা হচ্ছিল । আমরাই এই গাছগুলো লাগিয়েছিলাম । গাছ কেটে ওই জায়গায় চাষের কাজ করব ৷"
এদিকে গড়ালবাড়ি পঞ্চায়েত প্রধান গিরোবালা রায়ের সাফাই, "অঞ্চল সদস্যের অনুমতিপত্র দেখে অনুমতি দিয়েছিলাম ৷ জানতাম না খাস জমির গাছ কাটা হচ্ছে । বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব । বনবিভাগকেও খতিয়ে দেখার জন্য বলব ।"