জলপাইগুড়ি, 10 অগস্ট : জয়চাঁদ আগরওয়াল (Jaychand Agarwal) ও জন বারলার (John Barla) বিরুদ্ধে তাঁর কোনও অভিযোগ নেই । আদালতকে জানালেন অভিযোগকারিণী । তাঁর বয়ানের ভিত্তিতে শারীরিক নিগ্রহের মামলায় জামিন পেলেন বানারহাটের ব্যবসায়ী জয়চাঁদ আগরওয়াল । জন বারলার বিরুদ্ধেও তাঁর কোনও অভিযোগ নেই বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি । এর আগে সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি বলেছিলেন, "আমি কোনও এফআইআর করিনি ৷ সাংসদ জন বারলার ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য আমাকে ব্যবহার করা হয়েছে । আমাকে রাজনীতিতে জড়ানো হচ্ছে । আমাকে মোহরা বানানো হয়েছে ।" এই কথাগুলিই আজ জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) আদালতকে জানান ওই মহিলা ।
এ দিন জয়চাঁদ আগরওয়ালের আইনজীবী অত্রি শর্মা জানান, তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে বানারহাট থানায় যে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল তা পুরোপুরি ভিত্তিহীন । তাঁর কথায়, "আদালত আমার মক্কেলকে জামিন দিয়েছে । যেহেতু তফশিলি জাতি ও উপজাতি ধারায় মামলা করা হয়েছে, তাই আমরা অভিযোগকারিণীকে আদালতে ডাকার জন্য আবেদন করেছিলাম । সেই মতো আজ তিনি আদালতে দাঁড়িয়ে আদালতকে জানিয়েছেন, তিনি কোনও অভিযোগ করতে চাননি ৷ তাঁকে দিয়ে অভিযোগ করানো হয়েছে । জয়চাঁদ আগরওয়াল ভগবানের মতো ৷ তিনি তাঁকে অনেক সাহায্য করেছেন । জন বারলাও তাঁকে সাহায্য করেছেন । আমার মক্কেল-সহ অন্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল । আজ আদালতকে ওই মহিলা সবকিছু বলেছেন ।"
আরও পড়ুন: ফুটবলার, চা শ্রমিক থেকে মন্ত্রী জন বার্লা
এ দিন আদালতে গিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ওই মহিলা জানান, "জয়চাঁদ আগরওয়াল আমাকে মেয়ের মতো মানুষ করেছেন । তাঁর বিরুদ্ধে আমার কোনও অভিযোগ নেই ৷ তাঁকে আদালত জামিন দিলে আমার কোনও আপত্তি নেই বলে আমি জানিয়ে দিয়েছি । জন বারলাও আমাকে সাহায্য করেছেন বিভিন্ন সময়ে । আমাকে দিয়ে সাদা কাগজে সই করিয়ে অভিযোগ আনা হয়েছে, আমি জানতামই না এত কিছু হবে । আমার কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই । জন বারলা কোনও আর্থিক প্রতারণা করেননি । আমাকে জন দাদা সাহায্য করেছেন ।" তাঁর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই বলে দাবি করেন ওই মহিলা । তাঁর ভোলবদলের ফলে বিপাকে পড়েছে জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ । কারণ তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ তদন্ত শুরু করে জয়চাঁদ আগরওয়ালকে গ্রেফতার করেছিল ।
আরও পড়ুন: জনের পর এবার সৌমিত্র, ফেসবুক লাইভে জঙ্গলমহলের জন্য পৃথক রাজ্যের দাবি
গত 28 জুলাই ওই মহিলা যৌন নির্যাতনের অভিযোগ এনেছিলেন বানারহাটের এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে । তাঁর অভিযোগ ছিল, সাংসদ জন বারলার কাছে ন্যায় চাইতে গিয়েছিলেন তিনি । কিন্তু সহযোগিতা চেয়েও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ করেছিলেন মহিলা । সাংসদ ও তাঁর সহযোগী অডিপ ভুজেল, সঞ্জয় চৌধুরীরা আর্থিক প্রতারণা করেছেন বলে জানিয়ে বানারহাট থানায় অভিযোগ করেন তিনি । এমনকী তিনি জেলা পুলিশ সুপারের দ্বারস্থও হয়েছিলেন । 28 জুলাই ওই মহিলার অভিযোগ পেয়ে গ্রেফতার করা হয় বানারহাটের অভিযুক্ত ব্যবসায়ী জয়চাঁদ আগরওয়ালকে । অভিযোগ ছিল ওই ব্যবসায়ী একাধিকবার অভিযোগকারিণীকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন ।
আরও পড়ুন : উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য়ের স্বীকৃতির দাবিতে ফের সরব জন বারলা
এ দিকে, জলপাইগুড়ি আদালতের সরকারি আইনজীবী জানান, "আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হব ।"