জলপাইগুড়ি , 18 সেপ্টেম্বর : ছয় মাস পর পর্যটকদের জন্য খুলছে জাতীয় উদ্যান । স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটকদের জঙ্গলে প্রবেশের অনুমতি দিল বনবিভাগ । রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করে পর্যটকদের জঙ্গল ও চিড়িয়াখানায় প্রবেশের জন্য বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করে গাইডলাইন তৈরি করেছেন ।
গাইডলাইনে বলা হয়েছে , জাতীয় উদ্যানে প্রবেশের জন্য সমস্ত ধরনের টিকিট অনলাইনে কাটতে হবে ।বনদপ্তরের অনুমোদিত যানবহন ছাড়া অন্য কোনও যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে না । পর্যটকদের জন্য হাতি সাফারি বন্ধ থাকছে । প্রত্যেকবার জঙ্গলে ঢোকার পর প্রত্যেকটি গাড়িকে স্যানিটাইজ় করা হবে । প্রত্যেক গাড়িতে একটা করে সিট ফাঁকা রাখতে হবে । প্রতিবার ঘুরে আসার পরে প্রতিটি গাড়িকে স্যানিটাইজ় করা হবে ।দশ বছরের নিচে এবং 65 বছরের উর্ধ্বে পর্যটকের প্রবেশে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে । ইকো ট্যুরিজ়ম সেন্টারকে খোলার আগে স্যানিটাইজ় করতে হবে । কোনওরকম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান (পর্যটকদের আদিবাসী নৃত্য দেখানো হয়) করতে হলে সামাজিক দুরত্ব মেনেই করতে হবে । এছাড়া চিড়িয়াখানা , পার্ক খোলার আগে স্যানিটাইজ় করতে হবে ।পাশাপাশি , সামাজিক দূরত্ব মেনেই তাদের ভেতরে থাকার অনুমতি দেওয়া হবে । নজর মিনারে 20 জনের বেশি যাবার অনুমতি দেওয়া হবে না।
চলতি বছরের 17 মার্চ থেকে কোরোনা আতঙ্কের জেরে অনির্দিষ্টকালের জন্য পর্যটকদের জঙ্গলে প্রবেশ নিষেধ করে দেওয়া হয়েছিল । দীর্ঘ ছয় মাস পর আগামী 23 সেপ্টেম্বর থেকে পর্যটকদের জন্য জাতীয় উদ্যান খুলে দেওয়া হচ্ছে । গোরুমারা , জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান , চাপড়ামারি অভয়ারণ্য , বক্সা-টাইগার রিজ়ার্ভ অভয়ারণ্যসহ রাজ্যের সব কটি জাতীয় উদ্যান ও অভয়ারণ্য এবং চিড়িয়াখানায় পর্যটকদের প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল । ফের জাতীয় উদ্যান খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তে খুশি পর্যটক থেকে ব্যবসায়ীরা ৷