ধূপগুড়ি, 1 সেপ্টেম্বর: মুম্বইয়ে যেদিন 'ইন্ডিয়া' জোটের বৈঠকে পাশাপাশি বসছে তৃণমূল-সিপিএম-কংগ্রেস, সেদিনই রাজ্যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে এককাট্টা লড়াইয়ের ডাক দিয়েছে কংগ্রেস-সিপিএম ৷ তবে এখানেই শেষ নয়, সাগরদিঘি থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার আগেভাগে বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থীকে দিয়ে বলিয়ে নেওয়া হয়েছে, ভোটে জিতলে তিনি কোনও অবস্থাতেই দলত্যাগ করবেন না ৷ এই ঘটনার জেরে কার্যত রাজ্যে বাম-কংগ্রেসের নয়া রণ-কৌশলের ইঙ্গিত মিলল ৷
সাগরদিঘি থেকেই কি মিলেছে শিক্ষা ? সাগরদিঘি উপ-নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী ছিলেন বাইরন বিশ্বাস ৷ উল্লেখযোগ্যভাবে, তৃণমূলকে গোল দিয়ে সেই আসন দখলও করে নেয় বাম-কংগ্রেস ৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা আর হাতে থাকেনি জোটের ৷ ভোট মিটতেই তৃণমূলে যোগ দেন বাইরন বিশ্বাস ৷ একই ঘটনা দেখা গিয়েছে পঞ্চায়েত ভোটের ক্ষেত্রেও ৷ আর সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়েই এবার ধূপগুড়ি উপ-নির্বাচনে আগেভাগে প্রার্থীকে দিয়ে শপথ পাঠ করিয়ে নিল সিপিএম ৷
এদিন মঞ্চেই সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম প্রার্থীকে দিয়ে শপথ পাঠ করান যে, ভোটে জিতলে দলত্যাগ করবেন না । মঞ্চে প্রার্থীকে দিয়ে শপথ পড়ালেন মহম্মদ সেলিম । এদিন ধূপগুড়ির প্রচার মঞ্চে সেলিম বলেন, "একটা কথা ওনাকেও বলতে হবে । সবাই বলছে সাগরদিঘি-সাগরদিঘি । ঈশ্বরবাবু কী করবেন ? তা উনি নিজেই বলবেন ।" এরপরই বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী ঈশ্বর চন্দ্র রায় মাইকে ঘোষনা করেন, "আমি বাম মনোনিত প্রার্থী শপথ করছি। আপনারা যেভাবে আশীর্বাদ করছেন, আপনাদের ছেড়ে কোনও অবস্থাতেই অন্য কোনওদিন, অন্য কোনও রাস্তায় আমি যাব না, যাব না ।"
আরও পড়ুন: রাজ্যে শিল্প আনতে স্পেন সফরে মুখ্যমন্ত্রীর সফরসঙ্গী মহারাজ ?
ধূপগুড়িতে এদিন ডাকবাংলোয় একটি জনসভা করতে আসেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সেলিম এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। এদিন অধীর চৌধুরীর বক্তব্যের পরই সেলিম বক্তব্য রাখতে ওঠেন এবং সেখানে বক্তব্যের মাঝেই তিনি প্রার্থী ঈশ্বর চন্দ্র রায়কে ডেকে নেন মঞ্চে ৷ সাগরদিঘি মডেল প্রসঙ্গ তুলে মাইক প্রার্থীর হাতে ছেড়ে দেন। এরপর সেখানেই প্রার্থী শপথ নেন। এছাড়াও কংগ্রেস এবং সিপিএমের দুই নেতা সভামঞ্চ থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্প এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে একহাত নিয়েছেন ৷ অধীরের দাবি, দিল্লিতে মোদি এবং রাজ্যে দিদি লুঠ করেছে ৷