ETV Bharat / state

নাগরাকাটায় ছেলেধরা সন্দেহে মাথা থেঁতলে খুন

একজনকে মাথা থেঁতলে খুন করা হল জলপাইগুড়ির নাগরাকাটা বস্তি এলাকার ৷ ছেলেধরা সন্দেহে তাকে খুন করা হয়েছে ৷

author img

By

Published : Jul 22, 2019, 5:32 PM IST

ঘটনাস্থানের ছবি

নাগরাকাটা, 22 জুলাই : জলপাইগুড়ির নাগরাকাটায় ছেলেধরা সন্দেহে পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে খুন করা হল একজনকে ৷ মৃতের নাম বা পরিচয় এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি ৷ তবে, বছর 45-এর ওই ব্যক্তি বৃহন্নলা সেজে এলাকায় ভিক্ষা করতেন বলে জানা গেছে ৷

আজ সকালে নাগরাকাটার সুখানি বস্তিতে শিশু চুরি হয়েছে বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে ৷ সেখানে ওই ব্যক্তি ভিক্ষা করতে এলে তাকে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনি দেয় এলাকাবাসী ৷ পরে রেললাইনের দিকে নিয়ে গিয়ে পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে দেওয়া হয় ৷ পুলিশ ঘটনাস্থানে এসে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তাতেই মৃত্যু হয় তার ৷ দেহটি পরে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় ৷

জানা গেছে, আলিপুরদুয়ারের কালচিনির বাসিন্দা ওই ব্যক্তি এলাকায় নিজেকে বৃহন্নলা পরিচয় দিত ৷ সঙ্গে মহিলাদের নাম ব্যবহার করত ৷ সকাল হলেই বের হত ভিক্ষা করতে ৷ প্রতিদিনের মতো আজও ভিক্ষা করতে যায় সে ৷ সেখানেই তাকে মারধর করা হয় ৷ পালানোর চেষ্টা করলেও লাভ হয়নি ৷ এবিষয়ে পুলিশ জানিয়েছে, যারা খুন করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে ।

এবিষয়ে জলপাইগুড়ির SDPO বলেন, "খুবই দুঃখজনক ঘটনা ৷ সন্দেহের বশে একজনকে মারধর করে মারল ৷ বাচ্চা চোর বলে কিছু নেই ৷ কয়েকজন ইচ্ছে করে এসব গুজব ছড়াচ্ছে আর এলাকায় অশান্তি পাকাচ্ছে ৷ যারা এসব করছে তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে ৷ আমরা বারবার মানুষকে সতর্ক করছি ৷ বলছি সেরকম কিছু হলে আমাদের কাছে অভিযোগ জানান ৷ আমরা দেখছি ৷ আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না ৷ তাতেও কোনও লাভ হচ্ছে না ৷ কিছু বোকা মানুষ গুজবে কান দিয়ে এসব করছে ৷"

নাগরাকাটা, 22 জুলাই : জলপাইগুড়ির নাগরাকাটায় ছেলেধরা সন্দেহে পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে খুন করা হল একজনকে ৷ মৃতের নাম বা পরিচয় এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি ৷ তবে, বছর 45-এর ওই ব্যক্তি বৃহন্নলা সেজে এলাকায় ভিক্ষা করতেন বলে জানা গেছে ৷

আজ সকালে নাগরাকাটার সুখানি বস্তিতে শিশু চুরি হয়েছে বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে ৷ সেখানে ওই ব্যক্তি ভিক্ষা করতে এলে তাকে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনি দেয় এলাকাবাসী ৷ পরে রেললাইনের দিকে নিয়ে গিয়ে পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে দেওয়া হয় ৷ পুলিশ ঘটনাস্থানে এসে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তাতেই মৃত্যু হয় তার ৷ দেহটি পরে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় ৷

জানা গেছে, আলিপুরদুয়ারের কালচিনির বাসিন্দা ওই ব্যক্তি এলাকায় নিজেকে বৃহন্নলা পরিচয় দিত ৷ সঙ্গে মহিলাদের নাম ব্যবহার করত ৷ সকাল হলেই বের হত ভিক্ষা করতে ৷ প্রতিদিনের মতো আজও ভিক্ষা করতে যায় সে ৷ সেখানেই তাকে মারধর করা হয় ৷ পালানোর চেষ্টা করলেও লাভ হয়নি ৷ এবিষয়ে পুলিশ জানিয়েছে, যারা খুন করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে ।

এবিষয়ে জলপাইগুড়ির SDPO বলেন, "খুবই দুঃখজনক ঘটনা ৷ সন্দেহের বশে একজনকে মারধর করে মারল ৷ বাচ্চা চোর বলে কিছু নেই ৷ কয়েকজন ইচ্ছে করে এসব গুজব ছড়াচ্ছে আর এলাকায় অশান্তি পাকাচ্ছে ৷ যারা এসব করছে তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে ৷ আমরা বারবার মানুষকে সতর্ক করছি ৷ বলছি সেরকম কিছু হলে আমাদের কাছে অভিযোগ জানান ৷ আমরা দেখছি ৷ আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না ৷ তাতেও কোনও লাভ হচ্ছে না ৷ কিছু বোকা মানুষ গুজবে কান দিয়ে এসব করছে ৷"

Intro:Body:ছেলেধরা সন্দেহে এক ভিখারিকে পাথর দিয়ে মাথা থেতলে খুনের অভিযোগ। সোমবার সকালে নাগরাকাটা সুখানি বস্তি এলাকার ঘটনা।তাড়া করে রেল লাইনের ধারে নিয়ে পাথর দিয়ে থেতলে খুন। ঘটনাস্থলে পুলিশ।ছেলেধরা সন্দেহে খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নাগরাকাটা এলাকায়।অভিযোগ স্থানীয় বেশ কিছু মানুষ প্রথমে মারধর পরে পাথর দিয়ে মাথা থেতলে দেয়।৪৫ বছরের ঐ ব্যাক্তি বহরুপী সেজে ভিক্ষাবৃত্তি করে দিন যাপন করেন বলে জানা গিয়েছে। সম্প্রতি এলাকায় শিশু চুরি হচ্ছে বলে গুজব ছড়ায়।এই যুবক এদিন বহুরুপী সেজে ভিক্ষা করতে গেলে এলাকার মানুষ অপরিচিত এই বাসিন্দাকে ছেলে ধরা বলে সন্দেহ করে ।এরপরই তাকে তাড়া করে। ঐ ভিক্ষারি পালিয়ে প্রানে বাচার চেষ্টা করলে রেললাইনের ধারে পড়ে যায়।এরপর পাথর দিয়ে মাথা থেতলে মেরে ফেলে কিছু লোকজন। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে জলাপাইগুড়ি জেলাহাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে ।প্রসঙ্গত ছেলেধরার বিষয়ে গুজব বলে পুলিশ প্রশাসন থেকে এলাকায় মাইকিং করে সচেতন করা হলেও কোনো ফল মেলেনি তা এই খুনের ঘটনায় প্রমান।পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যারা খুন করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যাবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.