ETV Bharat / state

পাওনা টাকা চাওয়ায় পাথর দিয়ে থেঁতলে খুন, যাবজ্জীবন

সঞ্জীবের কাছে পাওনা টাকা চাইতে গেলে সে টুনাকে মারধর করত । বিবাদ চরমে ওঠে 8 জুন । বিবাদের জেরে সেদিন ভোরে টুনার পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে খুন করে সঞ্জীব । পরে সঞ্জীবের বাড়ির রান্নাঘর থেকে উদ্ধার হয় টুনার দেহ ।

man gets life imprisonment for murder
অভিযুক্ত
author img

By

Published : Dec 13, 2019, 9:44 PM IST

জলপাইগুড়ি, 13 ডিসেম্বর: পাওনা টাকা চাওয়া নিয়ে বচসার জেরে পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে খুন করা হয়েছিল টুনা নায়েককে । খুনের অভিযোগ উঠেছিল সঞ্জীব মুণ্ডার বিরুদ্ধে । প্রায় দেড় বছর পর সঞ্জীবকে দোষী সাব্যস্ত করে শাস্তি ঘোষণা করল আদালত । বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি জেলা আদালত টুনা নায়েক খুনের মামলায় সঞ্জীবকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে সাজা শুনিয়েছে ।

ঘটনাটি ঘটেছিল 2017 সালের 8 জুন । চ্যাংমারি চা বাগানের বাসিন্দা ছিলেন টুনা নায়েক (55)। রেড ব্যাঙ্ক চা বাগানে সঞ্জীবের সঙ্গে রাজমিস্ত্রীর সহকারী হিসেবে কাজ করত সে । কাজের সূত্রে রেড ব্যাঙ্ক চা বাগানে সঞ্জীবের বাড়িতে থাকত টুনা । সঞ্জীব তার বাড়িতে রান্নাঘরে টুনার থাকার ব্যবস্থা করে দেয় । সঞ্জীবের কাছেই পারিশ্রমিকের টাকা রাখত টুনা । 2017 সালের 6 জুন বাবাকে কাজ ছেড়ে বাড়ি চলে আসতে বলে টুনার ছেলে সুরজ নায়েক । টুনা ছেলেকে জানায় সঞ্জীবের কাছে তাঁর কিছু টাকা রাখা আছে । সেই টাকা পেলেই সে বাড়ি ফিরে যাবে । কিন্তু সঞ্জীবের কাছে পাওনা টাকা চাইতে গেলে সে টুনাকে মারধর করত । বিবাদ চরমে ওঠে 8 জুন । বিবাদের জেরে সেদিন ভোরে টুনার পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে খুন করে সঞ্জীব । পরে সঞ্জীবের বাড়ির রান্নাঘর থেকে উদ্ধার হয় টুনার দেহ । স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে ঘটনাস্থানে আসে পুলিশ । পুলিশের কাছে খুনের কথা স্বীকার করে সঞ্জীব ।

দেখুন ভিডিয়ো

9 জুন সুরজ খবর পায় তাঁর বাবার মৃতদেহ সঞ্জীবের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে । সেখানে গিয়ে জানতে পারে তাঁর বাবাকে খুন করেছে সঞ্জীব । এরপর বানারহাট থানায় সঞ্জীবের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করে সুরজ । সেইদিনই সঞ্জীবকে আদালতে তোলে পুলিশ । সরকারি আইনজীবী প্রণব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আজ জলপাইগুড়ি আদালতের অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট অ্যান্ড সেসন জাজ (ফাস্ট কোর্ট) অনির্বাণ চৌধুরি সঞ্জীবকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছেন । সেই সঙ্গে 10 হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করেন, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সাজা শুনিয়েছে আদালত ।

জলপাইগুড়ি, 13 ডিসেম্বর: পাওনা টাকা চাওয়া নিয়ে বচসার জেরে পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে খুন করা হয়েছিল টুনা নায়েককে । খুনের অভিযোগ উঠেছিল সঞ্জীব মুণ্ডার বিরুদ্ধে । প্রায় দেড় বছর পর সঞ্জীবকে দোষী সাব্যস্ত করে শাস্তি ঘোষণা করল আদালত । বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি জেলা আদালত টুনা নায়েক খুনের মামলায় সঞ্জীবকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে সাজা শুনিয়েছে ।

ঘটনাটি ঘটেছিল 2017 সালের 8 জুন । চ্যাংমারি চা বাগানের বাসিন্দা ছিলেন টুনা নায়েক (55)। রেড ব্যাঙ্ক চা বাগানে সঞ্জীবের সঙ্গে রাজমিস্ত্রীর সহকারী হিসেবে কাজ করত সে । কাজের সূত্রে রেড ব্যাঙ্ক চা বাগানে সঞ্জীবের বাড়িতে থাকত টুনা । সঞ্জীব তার বাড়িতে রান্নাঘরে টুনার থাকার ব্যবস্থা করে দেয় । সঞ্জীবের কাছেই পারিশ্রমিকের টাকা রাখত টুনা । 2017 সালের 6 জুন বাবাকে কাজ ছেড়ে বাড়ি চলে আসতে বলে টুনার ছেলে সুরজ নায়েক । টুনা ছেলেকে জানায় সঞ্জীবের কাছে তাঁর কিছু টাকা রাখা আছে । সেই টাকা পেলেই সে বাড়ি ফিরে যাবে । কিন্তু সঞ্জীবের কাছে পাওনা টাকা চাইতে গেলে সে টুনাকে মারধর করত । বিবাদ চরমে ওঠে 8 জুন । বিবাদের জেরে সেদিন ভোরে টুনার পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে খুন করে সঞ্জীব । পরে সঞ্জীবের বাড়ির রান্নাঘর থেকে উদ্ধার হয় টুনার দেহ । স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে ঘটনাস্থানে আসে পুলিশ । পুলিশের কাছে খুনের কথা স্বীকার করে সঞ্জীব ।

দেখুন ভিডিয়ো

9 জুন সুরজ খবর পায় তাঁর বাবার মৃতদেহ সঞ্জীবের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে । সেখানে গিয়ে জানতে পারে তাঁর বাবাকে খুন করেছে সঞ্জীব । এরপর বানারহাট থানায় সঞ্জীবের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করে সুরজ । সেইদিনই সঞ্জীবকে আদালতে তোলে পুলিশ । সরকারি আইনজীবী প্রণব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আজ জলপাইগুড়ি আদালতের অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট অ্যান্ড সেসন জাজ (ফাস্ট কোর্ট) অনির্বাণ চৌধুরি সঞ্জীবকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছেন । সেই সঙ্গে 10 হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করেন, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সাজা শুনিয়েছে আদালত ।

Intro:জলপাইগুড়িঃঃপাথর দিয়ে মাথা থেতলে খুন করার পরে সঞ্জীব সবাইকে জানিয়েছিল সেই খুন করেছে।পাওনা টাকা চাইতে গিয়েই বিবাদ চরমে ওঠে।আর বিবাদ থেকেই সঞ্জীব পাথর দিয়ে মাথা থেতলে খুন করা করেছিল টুনা নায়েককে। আজ জলপাইগুড়ি জেলা আদালতের বিচারক সঞ্জীবকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত করে।Body:সরকারি পক্ষের আইনজীবী প্রনব বন্দোপাধ্যায় জানান ঘটনাটি ঘটেছিল ৮/৬/২০১৭ তারিখে। চ্যাংমারি চা বাগানের বাসিন্দা টুনা নায়েক (৫৫) রেড ব্যাঙ্ক চা বাগানের সঞ্জীব মুন্ডার সাথে হেল্পার হিসেবে রাজমিস্ত্রীর কাজ করত।কাজ করার পর টুনা নায়েক তার পারিশ্রমিক সঞ্জীবের কাছেই রাখত।কিন্তু তার মৃত্যুর দুইদিন আগে অর্থাৎ ৬ /৬/২০১৭ তারিখে তার ছেলে সুরজ বাবাকে জানায় তিনি যেন কাজ ছেড়ে বাড়ি চলে আসে । সে সময় টুনা তার ছেলেকে জানায় সঞ্জীবের কাছ থেকে টাকা পেয়ে গেলেই সেই বাড়ি চলে আসবে। এমন পরিস্থিতিতে টুনা সঞ্জীবের কাছে তার গচ্ছিত টাকা চাইতে গেলে সঞ্জীব তাকে মারধোর করে বলে অভিযোগ। বিবাদ চরমে ওঠে ৭/৬/২০১৭ তারিখে পরের দিন ভোরে টুনাকে সঞ্জীব তার রান্না ঘরে পাথর দিয়ে থেতলে খুন করে। সঞ্জীবের বাড়িতে টুনা ৬-৭ বছর ধরেই থাকত।

৯/৬/২০১৭ তারিখে সুরজ খবর পায় তার বাবা মৃত অবস্থায় সঞ্জীব মুন্ডার বাড়িতে পরে আছে।গিয়ে দেখে সঞ্জীব তার বাবাকে পাথর দিয়ে থেতলে খুন করেছে।এরপর বানারহাট থানায় এসে সুরজ নায়েক তার বাবা টুনা নায়েকের[৫৫]কে খুন করার অভিযোগ করে সঞ্জীব মুন্ডার বিরুদ্ধে। এরপর বানারহাট থানার পুলিশ পিএস কেস নম্বর ১৫৩/১৭
৩০২ আইপিসিতে কেস করে তদন্ত শুরু করে।সেইদিনই সঞ্জীব মুন্ডাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায়।Conclusion:সরকারি পক্ষের আইনজীবী প্রনব বন্দোপাধ্যায় জানান আজ জলপাইগুড়ি আদালতের অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট এন্ড সেসন জজ ফাস্ট কোর্টের বিচারক অনির্বাণ চৌধুরী ৮ জনের সাক্ষী গ্রহন করে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেন এবং ১০ হাজার জরিমানা ধার্য করেন অনাদায়ে আরও ছয় মাসের জেলের নির্দেশ দেন।
এদিন সঞ্জীব মুন্ডাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোন মন্তব্য করতে চাননি।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.