বানারহাট, 10 ডিসেম্বর: আলিপুরদুয়ার থেকে জলপাইগুড়ি পৌঁছেই ফের জনসংযোগে মন দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ রবিবার জলপাইগুড়িতে পৌঁছে জনস্রোতে মিশে গেলেন তিনি । স্থানীয় এক বৃদ্ধার বাড়িতে ঢুকে পড়ে সেখানে চা খেলেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ খোশ গল্প জুড়ে দিলেন উপস্থিত সবার সঙ্গে ৷ মুখ্যমন্ত্রীকে চেনা ছন্দে পেয়ে আপ্লুত স্থানীয় মানুষজন ৷
রবিবার আলিপুরদুয়ারে প্রশাসনিক বৈঠক শেষ করে বানারহাট হাইস্কুলের মাঠে হেলিকপ্টারে নামেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।হেলিকপ্টার থেকে নেমেই প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে পায়ে হাঁটা শুরু করেন তিনি । এরপরই তিনি আদর্শপল্লির শীতলা মন্দিরে পুজো দেন ।পুজো দিয়ে বেরিয়ে রাস্তার পাশে প্রতিভা ভদ্র নামে এক বৃদ্ধাকে দেখে প্রণাম করেন মুখ্যমন্ত্রী । তাঁর শারীরিক খোঁজ খবর নিতে সোজা ঢুকে পড়েন ওই বৃদ্ধার কাঠের বাড়িতে ।
স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীকে এভাবে বাড়ির ভেতরে দেখে তখন সবকিছু তালগোল পাকিয়ে গিয়েছে পরিবারের সদস্যদের ৷ বাড়িতে ঢুকেই ঠাকুরঘর, রান্নাঘর ঘুরে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী । এরপরই তিনি চা খেতে চান ওই বাড়ির লোকেদের হাতে ৷ প্রতিভা ভদ্রের ছেলের বউ মুখ্যমন্ত্রীকে চা বানিয়ে দেন । তাঁদের শীতের চাদর উপহার দিয়েছেন মমতা ।
মুখ্যমন্ত্রীকে চা খাইয়ে আবেগে ভাসছে বানারহাটের আদর্শপল্লির প্রতিভা ভদ্রের পরিবার । প্রতিভা ভদ্র সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, "প্রথমেই মুখ্যমন্ত্রী আমাকে প্রণাম করেন । এরপর আমার শারীরিক খোঁজখবর নেন । আমার বাড়ির ঠাকুরঘর, রান্নাঘর ঘুরে দেখেন । কী রান্না হয়েছে তাও খোঁজখবর নেন মুখ্যমন্ত্রী । আমার অনেকদিনের ইচ্ছে ছিল, মুখ্যমন্ত্রীকে দেখব । সেই স্বপ্ন এ দিন পূরণ হল । এটা আমার কাছে স্বপ্নেরও অতীত ।"
প্রতিভার ভদ্রের পুত্রবধূ রীতা পোখরেল ভদ্র বলেন, "জানতাম না মুখ্যমন্ত্রী আমাদের বাড়িতে আসবেন । এক কাপ চা আর জল খেলেন । আমরা সত্যি খুবই আনন্দিত । কী যে বলব তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না ।"
আরও পড়ুন: