জলপাইগুড়ি, 2 অগাস্ট : মজুরি না পাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন উত্তরবঙ্গের প্রায় সাড়ে চার লাখ চা-শ্রমিক ৷ মুখ্যমন্ত্রীর সামনে তাঁদের দুর্ভোগ তুলে ধরার জন্য 'দিদিকে বলো' কর্মসূচির প্রয়োজন নেই ৷ মুখ্যমন্ত্রী এক ঘণ্টা সময় দিলেই এই সমস্যার সমাধান হবে ৷ ডেপুটি লেবার কমিশনারের দপ্তরে নূ্যনতম মজুরির দাবিতে বিক্ষোভ দেখানোর সময় একথা বলেন চা শ্রমিক নেতা পীযূষ মিশ্র ।
চা-শ্রমিকদের অভিযোগ, সরকারের নির্দেশ মানছেন না চা-বাগানের মালিকরা ৷ ফলে নূ্যনতম মজুরি থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন চা-শ্রমিকরা ৷ চরম অর্থাভাবে দিন কাটছে তাঁদের ৷ অনেকেই অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন , অপুষ্টিতে ভুগছেন ৷ যক্ষ্মা রোগে আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে ৷ দ্রুত সরকারি পদক্ষেপের দাবিতে গতকাল ডেপুটি লেবার কমিশনারের দপ্তরে বিক্ষোভ দেখান চা-শ্রমিকরা ৷ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে ডেপুটেশন জমা দেন ৷ বিক্ষোভের সময় পীযূষবাবুর অভিযোগ, চা-বাগানের মালিকরা সরকারের নির্দেশ অমান্য করেন ৷ বাগান চালু হচ্ছে না ৷ তাঁর কথায়, "(মালিকপক্ষ) আপনার নির্দেশ মানে না ৷ এই বিষয়ে শ্রম দপ্তর কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না ৷ "
তাঁর দাবি, নূ্যনতম মজুরির জন্য রাজ্য সরকার একটি কমিটি গঠন করেছিল ৷ সেই কমিটির কাজ শেষ হওয়া সত্ত্বেও সরকার এখনও নূ্যনতম মজুরি ঘোষণা করেছে না । বিষয়টিতে অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেন চা-শ্রমিকরা ৷ পীযূষবাবু বলেন, "রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী 'দিদি বলো' না কি বলো নামে কথা শোনার জন্য একটি ফাঁদ পেতেছেন ৷ রাজ্যের সাড়ে চার লাখ শ্রমিকের কথা শোনার জন্য 21 জুলাই জানিয়েছিলাম ৷ দিদিকে বলছি, ফোনে কথা বলে লাভ নেই ৷ সাড়ে চার লাখ শ্রমিকের কথা শুনতে হলে জয়েন্ট ফোরামকে এক ঘন্টা সময় দিন ৷ সাড়ে চার লাখ শ্রমিকের সমস্যা মিটে যাবে ৷ "