জলপাইগুড়ি, 9 মে: স্বামী এবং স্ত্রী'র আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার ঘটনায় রক্ষাকবচ পেলেন জলপাইগুড়ির অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা ৷ সুইসাইড নোটে নাম থাকা অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা তথা জলপাইগুড়ি পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের এই মামলা কলকাতা হাইকোর্টের জলাপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে বিচারাধীন ছিল ৷ আদালত মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিয়েছে ৷ আগামী বৃহস্পতিবার ফের শুনানি হবে এই ঘটনার ৷ সেদিন জানা যাবে তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে যাচ্ছে কি না ।
মৃত দম্পতির পরিবারের পক্ষের আইনজীবী কল্লোল মণ্ডল বলেন, "আজ দুটি মামলার শুনানি ছিল । একটি সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদন ৷ অন্যটি এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের আবেদন।" তিনি জানান, কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, আপাতত মুল অভিযুক্ত সৈকতকে গ্রেফতার করা যাবে না। 11 মে ফের সিবিআই তদন্তভার পাবে কি না, তার শুনানি হবে। তবে আমরা আদালতকে জানিয়েছি পুলিশ ঠিকমতো তদন্ত করছে না । অভিযুক্তদের আড়াল করার চেষ্টা করছে । চারজন অভিযুক্তের মধ্যে কাউকেই গ্রেফতার করা হয়নি । সৈকতের জামিনের আবেদনের শুনানি ফের জুনে ৷ সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী সন্দীপ সরকার বলেন, "সৈকতের জামিনের আবেদন করা হয়েছিল । কিন্তু বিচারক তাঁকে আপাতত গ্রেফতার করা যাবে না বলে রক্ষাকবচ দিয়েছেন। দু'পক্ষকেই হলফনামা জমা করতে বলা হয়েছে।"
প্রসঙ্গত, জলপাইগুড়ি পৌরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান অপর্ণা ভট্টাচার্য ও তাঁর স্বামী সুবোধ ভট্টাচার্যের আত্মহত্যার ঘটনায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে কোতোয়ালি থানায় সৈকত চট্টোপাধ্যায়, কাউন্সিলর সন্দীপ ঘোষ-সহ চারজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয় ৷ সৈকত, কাউন্সিলর সন্দীপ ঘোষ-সহ চারজনের নাম ছিল দম্পতির সুইসাইড নোটে ৷ তাঁদের চারজনের বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করে মৃত সুবোধ ভট্টাচার্যের দিদি তথা ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় ।
ইতিমধ্যেই জলপাইগুড়িতে দম্পতি মৃত্যুর ঘটনা কোনও রাজনৈতিক বিষয় নয়। এটা সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত ব্যাপার । এর সঙ্গে দলের কোনও বিষয় নেই বলে জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি মহুয়া গোপ। অন্যদিকে দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতারির দাবিতে সরব হয়েছে বিজেপির জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামী ৷ পাশাপাশি রাজ্য পুলিশের তদন্তে আস্তা নেই তাই তারা বিচারবিভাগের নজরদারিতে তদন্তের দাবি রেখেছেন । পুলিশ প্রভাবশালী যুব সভাপতি তথা পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকতকে গ্রেফতার না-করায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন শিখা ।
আরও পড়ুন: জলপাইগুড়িতে দম্পতির অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় কি রাজনীতির যোগ ? সুইসাইডে নোটে নেতার নাম