জলপাইগুড়ি, 16 অক্টোবর : মর্তে পূজিত হয়ে যাওয়ার পর শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার পথে একাদশীতে দেবী দুর্গার পুজো হয় ভান্ডানী রূপে ৷ কথিত আছে, শ্বশুরবাড়ি ফেরার পথে গ্রামের কৃষকরা মাকে একদিন পুজো দেন। সেই মতো দেবী দুর্গা কৃষকদের সুখ-সমৃদ্ধির জন্য একরাত কাটান ভান্ডানীতে। ময়নাগুড়ির ভান্ডানীতে সেই মত আজও একাদশীর দিন দেবী দুর্গা পূজিত হন মা ভান্ডানী রূপে।
এলাকার কৃষকরাই এই পুজো শুরু করেন। আজ এই পুজো সর্বজনীন মাত্রা নিয়েছে ৷ হাজার হাজার মানুষ এই পুজো দেখতে আসেন ময়নাগুড়ির বার্নিশ গ্রামে ৷ কয়েকশো পাঁঠা বলির পাশাপাশি এখানে পায়রা ছাড়া হয়। দেবীর মূর্তিটি এক চালার উপর দাঁড়িয়ে ৷ মায়ের মূর্তিতে অসুর থাকে না। পুজোর দিন জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থাও করে।
আরও পড়ুন : দশমীর বিষাদের মাঝে জগদ্ধাত্রীর আহ্বান চন্দননগরে
এলাকাবাসী অনিল রায় প্রধান জানান, কথিত আছে এলাকার কৃষকরা তাদের সুখের জন্যই এই একাদশীর দিন পুজোর আয়োজন করেছিল ৷ তারপর থেকে প্রতি বছর ময়নাগুড়ির ভান্ডানীতে এই পুজো হয়ে আসছে ৷ অনেকের মনস্কামনা পুর্ণ হয় বলে হাজার হাজার মানুষ একাদশীর দিন ভান্ডানীতে আসেন পুজো দিতে ৷ একদিনের জন্য বিরাট মেলাও বসে ময়নাগুড়ির বার্নিস গ্রামের ভান্ডানীতে। এখানে একাদশীর দিন মা দুর্গা পূজিত হুলেও প্রতিমার মধ্যে বিস্তর ফারাক আছে ৷ মায়ের সঙ্গে লক্ষ্মী, সরস্বতী থাকলেও কার্তিক, গণেশ থাকে না। বিশেষ করে রাজবংশী সম্প্রদায় মানুষের পুজো বলে পরিচিত হলেও আজ সর্বজনীন রূপ নিয়েছে ৷ এই একটা দিনের জন্য ভান্ডানীর মানুষ অপেক্ষা করে থাকেন।