জলপাইগুড়ি, 24 অগস্ট: সার্কিট বেঞ্চের মামলায় গণনা কেন্দ্রের সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে চেয়েছিলেন খোদ বিচারপতি অভিজিৎ গগঙ্গোপাধ্যায় নিজেই। কিন্তু মেখলিগঞ্জের স্ট্রং রুমের টেকনিক্যাল পার্সন সিসিটিভি ফুটেজ খুলে দেখাতে পারেননি। জানা গিয়েছে, টেকনিক্যাল পার্সন বিচারপতিকে বৃহস্পতিবার জানান, মেখলিগঞ্জে গেলে তিনি সিসিটিভি ফুটেজ দেখাতে পারবেন। সেই মোতাবেক সার্কিট বেঞ্চ থেকে সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে মেখলিগঞ্জে ছুঁটলেন কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। যদিও সেখানেও বিচারপতিকে সিসিটিভি ফুটেজ দেখাতে পারলেন না টেকনিক্যাল পার্সন। ফের রাতে আদালতে বসবেন বলে জানালেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এদিন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, "গণনা কেন্দ্রের সিসিটিভি ফুটে দেখতে চেয়েছিলাম ৷ কিন্তু দেখাতে পারেননি। তাই মেখলিগঞ্জে এসেছিলাম ফুটেজ দেখতে ৷ এখানেও দেখতে পেলাম না। আমি আবার রাতে আদালতে বসব মামলা শুনতে। এখানে এসেছিলাম শুধু ফুটেজ দেখতে।" পঞ্চায়েত ভোটে অভিযোগ উঠেছিল মেখলিগঞ্জ ব্লকের চ্যাংরাবান্ধা স্ট্রং রুমের গণনা কেন্দ্রে গড়মিল হয়। মেখলিগঞ্জের 11 জন প্রার্থী গণনা কেন্দ্রে গড়মিল নিয়ে মামলা করেছিলেন জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে। এরপরই সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে চেয়েছিলেন বিচারপতি ৷ কিন্তু সেই ফুটেজ দেখতে পারেননি তিনি এদিন।
এদিন মামলাকারী ও সরকারি আইনজীবিদের নিয়ে মেখলিগঞ্জ আদালতে আসেন বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখতে মেখলিগঞ্জেও যান বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু মেখলিগঞ্জ মহকুমা আদালতে সিসিটিভি দেখতে না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি। মামলাকারীর আইনজীবী কুণালজিৎ ভট্টাচার্য বলেন, "স্ট্রং রুম, গণনা কেন্দ্রের ফুটেজ বিচারপতি দেখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দেখাতে পারেননি কেউ। তাই বিচারপতি মেখলিগঞ্জে নিজেই আসেন।" এদিন জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে মামলাটি উঠলে সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে চান তিনি ৷ মেখলিগঞ্জের টেকনিকাল পার্সন বলেন, "মেখলিগঞ্জে সফটওয়্যার আছে সেখানেই খুলতে পারে।" এই কথা শুনেই বিচারপতি সরকারি ও মামলাকারী আইনজীবীদের নিয়ে মেখলিগঞ্জে চলে যান।
আরও পড়ুন: সাইবার প্রতারণা মামলায় হাইকোর্ট থেকে গ্রেফতার অভিযুক্ত, সিআইডির আচরণে ক্ষুব্ধ বিচারপতি
মেখলিগঞ্জ আদালতে এসে তিনি মহকুমা শাসক রাম কুমার তামাং ও বিডিও অরুন কুমার সামন্তকে ডেকে পাঠান। মেখলিগঞ্জের চ্যাংরাবান্ধা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকে 11 জন প্রার্থী গণনা কেন্দ্রে গরমিলের অভিযোগ করেছিলেন। মেখলিগঞ্জের চ্যাংরাবান্ধা হাইস্কুলের স্ট্রং রুমের সিসিটিভি ফুটেজে খতিয়ে দেখতে আসেন বিচারপতি।