জলপাইগুড়ি, 5 এপ্রিল : অনেকেই লকডাউন মানছেন না। বাড়ির বাইরে বেরোচ্ছেন। অথচ কোরোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় সোশাল ডিসট্যান্সিংই দাওয়াই। এই পরিস্থিতিতে পুলিশকে কড়া পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে। কোরোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে মানুষকে সচেতন করতে সোশাল মিডিয়ায় কবিতা পোস্ট করলেন পুলিশের জলপাইগুড়ি রেঞ্জের DIG কল্যাণ মুখোপাধ্যায় ৷ কবিতার নাম দিয়েছেন "ঘরে থাকো" ।
কল্যাণ মুখোপাধ্যায় সোশাল মিডিয়ায় লিখেছেন, "এই সময়ে, যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে লড়াইয়ের আরেক নাম ঘরে থাকা। সংক্রমণের শৃঙ্খল বিচ্ছিন্ন করাই কোরোনাকে পর্যুদস্ত করার উপযোগী অস্ত্র, তাই ঘরে থাকুন। রাস্তার লড়াই, হাসপাতালের লড়াই করার জন্য আমরা , স্বাস্থ্যকর্মীরা আছি ৷ আপনারা সংক্রমণের বিস্তার রুখে দিন, ঘরে থাকুন"। "কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করার সময় এটা", মনে করেন DIG।
তিনি শুধু কবিতা লিখেই থামেননি। কবিতাটিকে বাচিক শিল্পী সুমিতা চ্যাটার্জিকে দিয়ে রেকর্ডিং করিয়ে সোশাল মিডিয়ায় আপলোডও করেছেন ।
ঘরে থাকো
কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সবাই
যুদ্ধ করা একসাথে
সে গল্প রূপকথা আজ
ঘরে থাকো দিনে রাতে.
চার দেয়ালে ঘিরে রাখ
বেঁচে থাকার স্বপ্ন আশা,
পরিবারের সঙ্গে থাকো
ঘরে থাকুক ভালোবাসা
যায় না দেখা শত্রুকে আজ
হাওয়ায় কিংবা পাড়ার মোড়ে,
চায়ের দোকান আড্ডা ছেড়ে
চা খেয়ে নাও নিজের ঘরে .
হাতের ওপর হাত রাখা
সহজ নয় সহজ নয়
হাতের মধ্যে লুকিয়ে থাকে
অজানা এক মৃত্যুভয়
হাত ধুয়ে নাও সাবানজলে
মন ভরে নাও একটি শপথ
বাঁচতে হলে ঘরে থাকো
ঘুরো নাকো এপথ সেপথ
যূথবদ্ধ হওয়া এখন
নয় আজকে যুদ্ধরীতি,
এ শত্রুকে জব্দ করার
ঘরে থাকাই পরম নীতি,
আতঙ্কে নয়, শান্ত থাকো
ভালোবাসায় আটকে রাখ,
বাঁচাতে আর বাঁচতে হলে
নিজেকে আজ ঘরে রাখ.