জলপাইগুড়ি, 31 অগাস্ট : জলপাইগুড়ি পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা প্রাক্তন টাউন ব্লক সভাপতি মোহন বোসের সঙ্গে দেখা করলেন দলীয় মুখপাত্র দুলাল দেবনাথ। জলপাইগুড়ি জেলার জেলা সভাপতি বদলের পরই সভাপতির থেকে মোহন বোসের দূরত্ব তৈরি হয় । শুধু তাই নয়, জলপাইগুড়ি জেলা কমিটিতে বর্ষীয়ান এই নেতাকে রাখা হয়নি । এমনকী পৌরসভার প্রশাসক বোর্ডেও রাখা হয়নি তাঁকে। আর তাতেই জেলা সভাপতির উপর ক্ষোভপ্রকাশ করে আলাদা ভাবেই দলের কাজ করে চলেছেন তিনি ।
মোহন বোসকে দলের সমস্ত কার্যক্রমে থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে দুলাল দেবনাথ। তিনি বলেন," পুরনো রাজনীতিবিদ মোহন বোস জলপাইগুড়ি পৌরসভার 17 বছরের চেয়ারম্যান । তিনি কোনও পদে না থাকায় স্বাভাবিকভাবেই তাঁর আত্মসম্মানে লেগেছে । আমি তাঁকে অনুরোধ করেছি, দলের স্বার্থে যাতে তিনি দলের সমস্ত কর্মসূচিতে অংশ নেন। তাঁর পরামর্শ আমাদের প্রয়োজন কারণ জলপাইগুড়ি শহরের এই প্রবীন নেতা 17 বছরের চেয়ারম্যান শুধু নন, তিনি 23 বছর ধরে কাউন্সিলর ছিলেন। তিনি আমাকে আশ্বাস দিয়েছেন দলের কর্মসূচিতে আসবেন। এবং 16 সেপ্টেম্বর কিষান ক্ষেত মজদুর কংগ্রেসের প্রতিবাদ সভা আছে সেখানেও তিনি যোগ দেবেন।" তিনি আরও বলেন , "দলের সবাইকে নিয়ে যাতে কাজ করা যায় সবার সঙ্গে যোগাযোগ করে চলেছি। নেত্রীর নির্দেশে আমরা কাজ করছি। তৃণমূল কংগ্রেস একটা পরিবার। একটা পরিবারে যেমন মান অভিমান থাকে, এখানেও তাই আছে। আমি চেষ্টা করছি, মোহন বোসের অভিমান ভেঙে আবার যাতে তিনি দলকে শক্তিশালী করার জন্য এগিয়ে আসেন ।"
9 জুলাই তৃণমূল নেতা তথা জলপাইগুড়ি পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করতে আসেন তৃণমূলের জলপাইগুড়ির পর্যবেক্ষক অরূপ বিশ্বাস । জেলা কমিটি ঘোষণা হলেও জলপাইগুড়ি পৌরসভার 17 বছরের চেয়ারম্যান মোহন বোসকে কমিটিতে রাখা হয়নি । এর আগেও পৌরবোর্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে পৌরসভার প্রশাসক বোর্ডের রাখা হয়নি মোহন বোসকে । এতে ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন তিনি । জলপাইগুড়ি শহরের বর্ষীয়ান নেতা মান ভঞ্জন করতে এই মোহন বোসের সঙ্গে দেখা গেছে তৃণমূলের উত্তরবঙ্গের কোর কমিটির চেয়ারম্যান গৌতম দেবকেও । কিন্তু জেলা সভাপতি কিষান কল্যাণীর বিরুদ্ধে দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে নিজের অবস্থান সম্পর্কে জানিয়ে দিয়েছেন মোহন বোস।
জলপাইগুড়ি পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান মোহন বোস বলেন, "আমার অভিমত জানিয়েছি । হাইকমান্ডকে বিষয়টা দেখা উচিত বলে দাবি করেছি। জেলা সভাপতি যেভাবে দল চালাচ্ছেন তাতে করে দলেরই ক্ষতি।"